![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতে সদ্য মুক্ত পাওয়া একটি ছবি ব্যাপক ‘আলোড়ন’ তৈরি করেছে। কাঁপিয়ে দিচ্ছে বক্স অফিস! পত্রিকায় শোরগোল বিশেষ করে আনন্দবাজার। যে পত্রিকাটির প্রতি আমরা বরাবরই বিশেষ কৃতজ্ঞ থাকি...পত্রিকাটিতে নায়িকারা যত বেশি খোলামেলা তত বেশি সাহসী বলে বিবেচিত হন...মিডিয়ার মেকিং ভূমিকা আসলেই চমৎকার...
যাহোক সিক্যুয়াল সেই ছবির একটার পর একটা বাজারে আসছে...আমাদেরও মিডিয়ার বিকারগ্রস্ততা এমন পর্যায়ে যে, সামান্য অনুবাদের ‘আলস্যে’ আমরা ভারতীয় বাংলা পত্রিকাগুলোর বিনোদন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বা খেলা যাই হোক না কেন ওই ‘কন্ট্রোল সি আর কন্ট্রোল ভি’...
সেই আনন্দবাজারেরই আরেকটা নিউজ বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো ‘কন্ট্রোল সি আর কন্ট্রোল ভি’ মেরেছে যা হলো-২৮ দিনের শিশুকে ধর্ষণের খবর... আমার মনে হয় ধর্ষক ওই হেট স্টোরি দেখেই উত্তেজিত হয়ে কুকামে লিপ্ত হয়েছে...যাহোক এমন ঘৃণ্য কাজ নিন্দনীয়...কিন্তু আন্দবাজারকে ফলো করতে গিয়ে দেখলাম ওই ছবির নায়িকাদের ‘সাহসী’ চরিত্রের প্রশংসা করতে করতে দর্শকদের উদ্বুদ্ধ করেছে তারাই...তাহলে কি ওসব ‘সাহসী’ চরিত্রই ২৮ দিনের শিশু ধর্ষণের প্লট তৈরি করছে না?
তবে আমরা যেহেতু জাতি হিসেবেই পরনির্ভর অন্যের সহায়তার স্বাধীনতাতেও আমরা তৃপ্ত তাই বাংলাদেশিরা ভারতীয় বাংলা সাইটগুলোর প্রতি বেশ নির্ভর করি...খামাকা অনুবাদ করিয়ে সময় ও অর্থ নষ্ট করবো নাকি?
যাহোক ঝকঝকে ফকফকে যা কিছু তাই গ্রহণ করি...সেটা পচাই হোক আর যাই হোক...মিডিয়া উদ্বুদ্ধ করছে না!!!
আর এতটা ‘ভদ্র’ হয়নি যে চোখের সামনে ওসব ‘সাহসী’ চরিত্র ভাসবে আর দেখবো না...আর দেখে যদি উত্তেজিত না হই তাহলে পুরুষত্ব পরীক্ষার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হবে বৈকি! যাহোক অবিবাহিত যুবক কিছু পানি বেশি করে খেয়ে চাপটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেই আরকি!!!
ভাবনায় ধর্মভয় আর নৈতিকতাও আছে। তাতেই ‘কিছুটা’ রক্ষা...তবে যে পারে না সে ‘সাহসী’ ধর্ষক হয়ে ওঠে...আর কত সামলাবে বিদ্যা-বুদ্ধির দৌড় নির্ঘাত কম...থাকলে কি আর পেশিশক্তি খাটিয়ে ‘প্রশমিত’ হতে হয়...সমউত্তেজিত বিপরীত লিঙ্গও খুঁজে পাওয়া যায়...হোকনা বান্ধবী কিংবা পরের বউ...স্বকীয়া কিংবা পরকীয়া...
আর যেগুলো আমার মতো সুযোগের অভাবে চরিত্রবান তাদের আর কি করার...অপেক্ষা করা...কবে হবে বিয়ে...ইয়ে মানে...তর সইতে দেয়না ‘সাহসী’ চরিত্রওয়ালীরা...এভাবেই পুরুষেরা বুঝি ধর্ষক হয়...আর ধর্ষণের প্লট কি ওগুলো নয়...
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭
গুরুর শিষ্য বলেছেন: আজ সকালে বোধহয় একটা কবিতায় আপনার মন্তব্য পড়েছিলাম আপনি কিসে খুশি হন আর কিসে আপনার মুখ বিকৃত হয়...
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আপনার যদি মনে হয় ওই একটা ছবি কিংবা পর্ণ মুভির সহজপ্রাপতার কারনে সাহসী কিংবা ধর্ষক হয়ে উঠবে কেউ, তাহলে তার শিক্ষা, বেড়ে ওঠা আর সবকিছুতেই বড় ধরনের সমস্যা আছে। এইসব বিকৃতির দিকে যেতে প্রভাবিত করে ঠিকই, কিন্তু এইসবের কারনে যদি নিয়ন্ত্রন হারায় তবে দোষটা তারই হয়। ধরেন, যে ধর্ষন করলো কিংবা এই ধরনের কামনা করে, তাকেই যদি পায়ুকামী একদল ধরে পায়ুসঙ্গমে রক্তাক্ত করে তাহলে সেইটাও কিন্তু ধর্ষন হবে, তার কাছে সেইটা অত্যাচারই হবে, উপভোগ্য না। কারন সে সেইটা চায়নাই। এমন করে কেউ যদি কাউকে জোর করে ধর্ষন করে, তাহলে সেইটা অপরাধ কিংবা অত্যচারই হয়, যা ভিকটিমকে মানসিকভাবেও পঙ্গু করে দে। এইজন্য্যই সম্মতিক্রমে যৌনমিলনে মামলা হয়না, কারন সেইটা দুইপক্ষই উপভোগ করে, কিন্তু ধর্ষনের হয়। কারন এইটা অপরাধ, নির্যাতন। বিচার হয় অপরাধের। যদিও নৈতিক দিক বিবেচনায় দুইটাই খারাপ।
কেউ যদি ভাবে সে এইসব দেখলে ধর্ষন না কইরা থাকতে পারবেনা, তাইলে নাই দেখুক। করলে আইন অনুসারে বিচার হবে। এক আনন্দবাজার কিংবা ভারতী সাইট সবকিছুর জন্য দায়ী না। আনন্দবাজারের চেয়ে পর্নহাব বাংলাদেশেই কম করে হলেও হাজার গুন বেশি দেখা হ। প্রভাব কোনটার বেশি সেটা ভাবেন।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩
গুরুর শিষ্য বলেছেন: নিজের উপস্থাপনার চেয়ে আপনার উপস্থাপনাটাই আমার ভালো লাগলো...
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দুইটা এফেক্ট আছে। কেউ ধর্ষণ করে আর কেউ অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়। তবে এরজন্য সামাজিক এবং পারিবারিক অবস্থা বেশি দায়ী। তবে এইসব ছবি একটা অনুঘটক হিসেবে কাজ করে ঠিকই। কিন্তু সামাজিক আর পারিবারিক অবস্থার উপর নির্ভর করে এইসব অনুঘটক কতটা ক্রিয়াশীল।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২
গুরুর শিষ্য বলেছেন: ঠিকই...
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪
সুলতানা রহমান বলেছেন: হাসতে ইচ্ছে হলো, কিন্তু হাসি না এসে মুখটা বিকৃত হলো। ।
মিডিয়া যাই করুক, যেভাবেই উপস্থাপিত করুক তাই বলে এমন করতে হবে?
এসব বিকৃত মস্তিস্কের মানুষদের এমনিতেই হসপিটালে ভর্তি করা দরকার। যার মিডিয়ার দোহাই দিয়ে ধর্ষকের দোষ খুজে পায়না তাদের এরকম কিছু করা দরকার। ।