নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

হ্যাপী নিউইয়ার

মামুন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারী উইলিয়াম এ এস ঔডারল্যান্ড

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:২২


উইলিয়াম আব্রাহাম সাইমন ঔডারল্যান্ড ছিলেন একজন ওলন্দাজ অস্ট্রেলীয় সামরিক কমান্ডো অফিসার। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব বীর প্রতীক প্রদান করেন। তিনিই একমাত্র বিদেশী যে এই রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত হন।বাংলাদেশের প্রতি অপরিমেয় ভালবাসার জন্য বাঙ্গালী জাতির কাছে তিনি বিশেষভাবে সম্মানিত এবং স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানের একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়।ঔডারল্যান্ড ১৯১৭ সালের ৬ই ডিসেম্বর হল্যান্ডের রাজধানী আমস্টারডাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। অস্ট্রেলিয়া ঔডারল্যান্ডের পিতৃভূমি ছিল।তিনি কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেননি। ১৭ বছর বয়সে তাকে লেখাপড়া ছেড়ে জীবিকার জন্য জুতা পালিশের কাজ নিতে হয় ,এবং পরে তিনি বাটা স্যু কোম্পানিতে যোগ দেন। দুবছর পর চাকরি ছেড়ে ১৯৩৬ সালে জার্মানী কর্তৃক নেদারল্যান্ডস দখলের আগে ঔডারল্যান্ড ডাচ ন্যাশনাল সার্ভিসে নাম লেখান। পরবর্তীতে তিনি রয়্যাল সিগণ্যাল কোরে সার্জেন্ট পদে নিযুক্ত হন এবং তার দলে ৩৬ জন সদস্য ছিল। তিনি ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত উক্ত পদে কর্মরত ছিলেন। তারপর তিনি ওলন্দাজ বাহিনীর গেরিলা কম্যান্ডো হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। জার্মানী কর্তৃক নেদারল্যান্ড ও ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম দখল করার ফলশ্রুতিতে ঔডারল্যান্ডকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তিনি বন্দীদশা থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন এবং জার্মানী থেকে ফেরত সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেবার কাজে নিযু্ক্ত হন। ঔডারল্যান্ড জার্মান এবং ডাচ ভাষায় পারদর্শী ছিলেন আর এর মাধ্যমেই তিনি ডাচ আন্ডারগ্রাউন্ড রেজিসট্যান্স মুভমেন্টের হয়ে গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেন।

ঔডারল্যান্ড ঢাকায় বাটা স্যু কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নেদারল্যান্ডস থেকে ১৯৭০ সালের শেষ দিকে প্রথম ঢাকায় আসেন। কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি নির্বাহী পরিচালক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। টঙ্গী বাটা জুতো কারখানায় কর্মরত অবস্থায় ১৯৭১ সালের ৫ মার্চ মেঘনা টেক্সটাইল মিলের সামনে শ্রমিক জনতার মিছিলে ইপিআর এর সদস্যদের গুলিবর্ষণের ঘটনা কাছে থেকে দেখেছেন। পূর্ব পাকিস্তানের ১৯৭১সাল মার্চের গণ আন্দোলন, ২৫শে মার্চ এর অপারেশন সার্চলাইট এবং এর পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হত্যাকান্ড এবং নৃশংস বর্বরতা দেখে মর্মাহত হন এবং যুদ্ধে বাংলাদেশকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন।বাটা স্যু কোম্পানীর মত বহুজাতিক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়াতে তার পূর্ব পাকিস্তানে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ ছিল। এই সুবিধার কারণে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর নীতিনির্ধারক মহলে অণুপ্রবেশ করার এবং বাংলাদেশের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করার। তিনি প্রথমে ঢাকা সেনানিবাসের ২২ বেলুচ রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্ণেল সুলতান নেওয়াজের সঙ্গে অন্তরঙ্গ শখ্য গড়ে তোলেন। সেই সুবাদে শুরু হয় তার ঢাকা সেনানিবাসে অবাধ যাতায়াত। এতে তিনি পরিচিত এবং ঘনিষ্ঠ হতে থাকলেন আরো বেশি সংখ্যক সিনিয়র সেনা অফিসারদের সাথে। আর এভাবে এক পর্যায়ে লেফট্যানেন্ট জেনারেল টিক্কা খান, পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফট্যানেন্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী,এডভাইজার সিভিল এফেয়ার্স মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি সহ আরো অনেক সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তাদের সাথে তার হৃদ্যতা গড়ে ওঠে। নিয়াজীর ইস্টার্ন কমান্ড হেডকোয়ার্টার তাকে সম্মানিত অতিথি হিসাবে সম্মানিত করেন। সেই সুযোগে তিনি সব ধরনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র সংগ্রহ করেন। তাতে করে সেনানিবাসে যখন তখন যত্রতত্র যাতায়াতে তার আর কোন অসুবিধা থাকল না। তিনি প্রায়শই সেনানিবাসে সামরিক অফিসারদের আলোচনা সভায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেতেন। এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তানীদের গোপন সংবাদ সংগ্রহ করা শুরু করলেন। সেসকল সংগৃহীত সংবাদ তিনি গোপনে প্রেরণ করতেন ২নং সেক্টর এর ক্যাপ্টেন এ. টি. এম. হায়দার এবং জেড ফোর্সের কমান্ডার লেফট্যানেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান এর কাছে।

তিনি গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ, আর্থিক সহায়তা এবং বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গেরিলা কম্যান্ডো হিসেবে স্বীয় অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে স্বয়ং ২নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা শাখার সক্রিয় সদস্যরূপে অকুতোভয় ঔডারল্যান্ড বাটা কারখানা প্রাঙ্গণসহ টঙ্গীর কয়েকটি গোপন ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়মিত গেরিলা রণকৌশলের প্রশিক্ষণ দিতেন। কমান্ডো হিসাবে তিনি ছিলেন অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। এক পর্যায়ে তিনি নিজেই জীবন বিপন্ন করে যুদ্ধে নেমে পড়েন। তিনি বাঙ্গালী যোদ্ধাদের নিয়ে টঙ্গী,ভৈরব রেললাইনের ব্রীজ, কালভার্ট ধ্বংস করে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত করতে থাকেন। তার পরিকল্পনায় এবং পরিচালনায় ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে বহু অপারেশন সংঘটিত হয়। মেজর হায়দারের দেওয়া এক সনদপত্রের সূত্রে জানা যায় যে ঔডারল্যান্ড মুক্তিযুদ্ধে গণযোদ্ধাদের প্রশিক্ষন, পরামর্শ, নগদ অর্থ, চিকিৎসা সামগ্রী, গরম কাপড় এবং অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছেন।তার পাশাপাশি তিনি মুক্তিযুদ্ধের গোড়ার দিকে বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাহিনীর নৃশংস নির্যাতন এবং গণহত্যার আলোকচিত্র তুলে গোপনে বহিঃবিশ্বের বিভিন্ন তথ্যমাধ্যমে পাঠাতে শুরু করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখেন। এ বিষয়ে তিনি নিজেই লিখেছেন ইউরোপের যৌবনের অভিজ্ঞতাগুলো আমি ফিরে পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশে যা কিছু ঘটছে বিশ্ববাসীকে সেসব জানানো উচিত। ইউরোপে ফেলে আসা যুদ্ধস্মৃতির ২৯ বছর পর ১৯৭১ সালে টঙ্গীতে বর্বর পাকিস্তানী সেনাদের মধ্যে আবার তিনি সাক্ষাৎ পেলেন নাৎসি বাহিনীর। টঙ্গীতে বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী দ্বারা নৃশংস হত্যাকাণ্ড বীভৎস মরণযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করে তিনি ব্যথিত হন। তাই ঔডারল্যান্ড ছবি তোলা রেখে সরাসরি যুদ্ধে অংশ্রগহণের সিদ্ধান্ত নেন। যুদ্ধকালে তিনি প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সে সময় তিনি ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়ান ডেপুটি হাইকমিশনের গোপন সহযোগিতা পেতেন। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ শেষ হবার পর তিনি ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং পূর্বতন কর্মস্থলে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করে নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান।

মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ ও অসামান্য নৈপুণ্যতার কারণে পরবর্তীকালে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরপ্রতীক সম্মাননায় ভূষিত করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর প্রতীক পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় তার নাম ২ নম্বর সেক্টরের গণবাহিনীর তালিকায় ৩১৭। ১৯৯৮ সালের ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ঔডারল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় আসতে পারেননি। তিনি বীর প্রতীক পদকের সম্মানী ১০,০০০ টাকা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে দান করে দেন। একমাত্র বিদেশি হিসেবে তাকে বাংলাদেশ সরকার এই খেতাবে ভূষিত করেছে। মৃত্যুর পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত অত্যন্ত গর্ব ভরে ও শ্রদ্ধার্ঘ্য চিত্তে নামের সঙ্গে বীর প্রতীক খেতাবটি লিখেছিলেন তিনি।ঔডারল্যান্ড বাংলাদেশের বাটা স্যু কোম্পানি থেকে ১৯৭৮ সালে অবসর নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ফেরত যান। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় পার্থের এক হাসপাতালে ২০০১ সালের ১৮ মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন ।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট ।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪১

চানাচুর বলেছেন: অনেক ভাল লাগল।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু বা ভাইয়া ।

২| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩২

হয়ত তোমারই জন্য বলেছেন: আন্তরীক ধন্যবাদ লেখক, আমি এটা জানতাম না ৷খুভ ভাল লাগলো লেখাটা ৷

০১ লা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:২৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫০

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ভালো লাগল ।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:২৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সম্পূর্ন অজানা এক বিষয় জানলাম।। শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৩৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ২:১২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অজানা এক বিষয় জানা হলো ।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৩৫

মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগ ম্যান ভাই ।

৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:২১

নাইম রাজ বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ভাই বলেছেন সম্পূর্ন অজানা এক বিষয় জানলাম।। শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।। সহমত

০১ লা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৩৬

মামুন ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৫:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের জাতিকে কস্টের সময় সাহায্য করার জন্য উনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:২৯

লেখা পাগলা বলেছেন: ভালো কিছু জানতে পারলাম আপনার জন ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:২২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পোস্ট প্রিয় তালিকায় ।

১০| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: উইলিয়াম আব্রাহাম সাইমন ঔডারল্যান্ড এর প্রতি অনেক শ্রদ্ধা।

১১| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

হয়ত তোমারই জন্য বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ইসলাম ভাই ৷বলতে পারেন, আপনার পোষ্টে অনুপ্রেরণা পেলাম ৷মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারী বিদেশীদের নিয়ে বেস কিছু পোষ্ট আছে সামুতে ৷তবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বেশকিছু বরোন্য বিদেশী ব্যাক্তিদের তথ্য অপ্রকাশীত তাই আমার পোষ্টে সংযুক্ত করে দিলাম ৷ধন্যবাদ সবাইকে ৷
নিচের লিংক থেকে পরতে পারেন ৷
http://www.somewhereinblog.net/blog/HoytoTomariJonno/30200968#nogo

১২| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট, জেনে ভালো লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.