![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১ম পর্ব:
ঘুম থেকে উঠেই রিফাত, নিজেকে এমন এক জায়গায় আবিষ্কার করল, যে জায়গা ও মানুষকে অপরিচিত লাগছে। কিছু সময় পার হবার পর নিজেকে ঠিক করতে চেষ্টা করে, কিন্তু কিছুতেই নিজের নাম মনে করতে পারছে না। এ কী হল তার? চিন্তায় পড়ে গেল সে। সবকিছু মনে মনে আওড়াতে থাকে, কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর বাইরে থেকে কে যেন, রিফাত বলে ডাকছে। বারান্দা দিয়ে উকি মারে এবং তাকে দিপু বলে সম্বোধন করে বলে, আজ খেলতে যাবো না শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। ঐ ছেলেটি বলল, ওর মাথাটা গেছে। নাহলে আমার নাম ভূল করে? সে বলল, আমার নাম দিপু নয় রাহাত। রিফাত বলল, তাহলে আমার নাম কী? এরকম প্রশ্ন শুনে যে কেউ ঘাবড়ে যাবে। নিজের নাম কেউ ভোলে? রাহাত নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, রিফাত। এবারে রিফাত বলল, একটু মজা করছিলাম আর কি। রাহাত মনে মনে বলল, ওর মাথাটা একটু নয় পুরোপুরিভাবে গেছে। হঠাৎ কি হল রিফাতের যে নিজের নামটা পর্যন্ত ভূলে গেছে?
২য় পর্ব:
নিজের নাম ভূলে যাওয়াতে সে একটু চিন্তিত। সে যে রুমের ভিতরে আছে, সেই রুমটা ভালোভাবে দেখে নেয় কিছু পাওয়া যায় কিনা? সে দেখে রুমে ১টি আলমারি, ১টি ওয়্যারড্রপ, ১টি টেবিল, তারপাশে ১টি সাইকেল ও খেলার কিছু সামগ্রী। রুমটা বেশ গোছানো। এবার সে টেবিলের কাছে গিয়ে তার পরিচয়পত্র দেখে আবার sure হয়ে নেয় তার নাম, বাবা ও মায়ের নাম। এরপর আয়নায় গিয়ে নিজের চেহারাটা দেখে নেয়। কিছুক্ষণপর তার মা দরজায় কড়াঘাত করে এবং নাস্তা খেতে ডাকে। মায়ের আওয়াজ শুনে সে এক দৌড়ে দরজা খুলে দেয়। আর মাকে জড়িয়ে ধরে রুমের ভিতরে নিয়ে আসে। আর বলতে আরম্ভ করে, আমি কে? কোথায় থাকি? তুমি কী সত্যি আমার মা? আমার বাবা কে? এরকম কত প্রশ্ন? মা রিফাতকে বলে, শান্ত হও। তোমার কী হয়েছে? রিফাত বলে, জানি না মা? আমি কিছুই মনে করতে পারছি না। My memory have just lost. মা বলল, ও কিছু না, রাতে ঠিক মত ঘুমাও নি তো তাই এরকম লাগছে। ও ঠিক হয়ে যাবে। যা হোক, টেবিলে নাস্তা দিয়েছি। ঝটপট তৈরী হয়ে নাও। এবারে রিফাত পুনঃরায় মাকে জড়িয়ে ধরে বলে, I'm scared Ma. আমি সত্যি খুব ভীত। আমার কিছু মনে নেই। আমাকে বোঝার চেষ্টা করো। মা বলল, ফ্রেশ হয়ে নাও ভালো লাগবে।
৩য় পর্ব:
নাস্তার টেবিলের দিকে এগিয়ে যেতেই মনে মনে বলল, টেবিলের বাম দিকে মনে হয় বোন, মাঝের জন মনে হয় বাবা। বাবা সম্বোধন করে সালাম দিল। বাবা সালামের জবাব দিয়ে বলল, ঘুম ভাঙলো অবশেষে। রিফাত বলল, ঘুম তো অনেক আগেই ভেংগেছে কিন্তু তারপর সবকিছুই অপরিচিত লাগছে। এমনকি ব্রেনও ঠিকমতো কাজ করছেনা। তোমার ও মায়ের নাম Identity card দেখে মনে করতে হল, পাশে বসে আছে সম্ভবত বোন। আমার কথা হলো, Normally সবকিছু মনে পড়ছে না কেন? বাবা বলল, ঘুম থেকে উঠলে এমন হয় আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়। রিফাতের বোনের নাম, লূনা। লূনা বলল, তোর কিছু হয়নি? ঠিক হয়ে যাবে। এবারে মা এসে বলল, তোর কিছু মনে করতে হবে না। আগে নাস্তা কর, পরে দেখছি কী করা যায়। নাস্তা করতে করতে মা রিফাতকে সব বলে ওকে। ( রিফাত Islamic Studies বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র, Islamic University) এক পর্যায়ে রিফাতের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। মা তড়িঘড়ি করে তাকে ও বাবাকে নিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেলে গেল।
৪র্থ পর্ব:
রিফাতের মামা তার আজ duty ছিল, ফলে বাবা ও মা রিফাতকে ধরাধরি করে নিয়ে মামার চেম্বারে এল। রিফাতের বড় মামার নাম শফিক আহমাদ। মামা অনেক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে বললেন, ওকে ভর্তি করলে ভালো হত। অবশেষে ভর্তি করা হল তাকে। এরপরে মামা রিফাতের মাকে বুঝিয়ে বলে আপা, ওর কন্ডিশন ভালো না তাই বলছিলাম কি ওকে আমার ওখানে নিয়ে গেলে মন্দ হতো না। মা বলল, আপাতত এখানে থাক পরে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরই মধ্যে লূনা ও মৌমিতা চলে এলো রিফাতের অবস্থা দেখতে। নিবীড়ভাবে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পর ডাক্তার বলল, ওর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। ওকে ডাঃ শফিক আহমাদ এর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে গেলে খুব ভালো হবে। সবাই মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, রিফাতকে রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হবে। আর লূনা ও মৌমিতার exam যেহেতু শেষ, সেহেতু ওদের একোটা ট্যুর হয়ে যাবে।
Click This Link _যারা পড়তে পারেন নি তাদেরই জন্য এই লিংক।
©somewhere in net ltd.