নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বড় হচ্ছি আর লেখালেখি করি মনের ইচ্ছামত, যা আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয় আমার সত্ত্বাকে।

নাঈম মাহমূদ

ছাত্র

নাঈম মাহমূদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এরিষ্টোক্রেটিক

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

১০ম পর্ব:

১বছর প্রায় রিফাতকে মুক্ত করে দিয়েছে হাসপাতাল থেকে। মামা-মামী থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকায়, দীর্ঘ ৬ঘন্টা ভ্রমণ করে। ১৬মাস পরে ঢাকায় এসে কেমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমন সুন্দর ও মনোরম খুব একটা লাগত না আগে। সত্যি ঢাকা নিজের আগের রূপ আবার ফিরে পেয়েছে। হাটি হাটি পা পা করে আলতোভাবে দরজায় কড়াঘাত করলো। অসময়ে বেল দিতেই রিফাতের মা একটু বিরক্তিভাব নিয়ে দরজা খুললে কাউকে দেখতে পেলেন না। রিফাতের মা নিজেকেই প্রশ্ন করতে লাগলেন স্বপ্ন দেখছি না তো? এরকমভাবে ৩বার কাউকে না পেয়ে রীতিমত ভয়ই পেলেন। ৪র্থ বার দরজা খুলতেই রিফাত মাকে জড়িয়ে ধরে। রিফাতের মা যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেননা, তার ছেলে ফিরে এসেছে। এবারে ছেলের কান ধরে বললেন, মায়ের সাথে দুষ্টুমি হচ্ছে? মা দ্রুত শুকরিয়া জ্ঞাপন করত নামায পড়তে যাওয়ার সময় রিফাতকে ফ্রেশ হতে বললেন। ইতিমধ্যে লূনা ও মৌমিতা চলে এসেছে। তারা একেবারে মুগ্ধ রিফাতকে পেয়ে। বাসায় কেমন উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিছুক্ষণ পর বাবাও এসে পড়াতে আরেকটু পূর্ণতা পেল। রিফাতের অনেক পরিবর্তন কথাবার্তা ও চালচলনে পরিশীলিত। মা বললেন, আগে আমার বাবাটাকে দেখি তারপর হবে অন্যকিছু। এবারে বাবা বললেন, ছেলেকে পেয়ে স্বামীকে ভূলে গেলে? মা বললেন, তাকি আর হয় কখনো? তুমিই আমার সব, আসলে এত সুখ শেষ কবে পেয়েছিলাম মনে নেই তো তাই। বাবা সূর মিলিয়ে বলল, ঠিক তাই। যা হোক টেবিলে খাবার দিয়েই মা রিফাতকে প্রাণ ভরে দেখার জন্য কাছে টেনে নিলেন।এইভাবে দিনটি পার করল তারা আনন্দ ও ইবাদত করে।

Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.