নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বড় হচ্ছি আর লেখালেখি করি মনের ইচ্ছামত, যা আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয় আমার সত্ত্বাকে।

নাঈম মাহমূদ

ছাত্র

নাঈম মাহমূদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এরিষ্টোক্রেটিক

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

১৪শ পর্ব:

খুব ভোরে উঠে তারা, ৩টায় তাদের সকলের একটি সুঅভ্যাস হল যে সকলেই তাহাজ্জুদ পড়ে ও চোখেরজল ফেলে আল্লাহ্‌ এর কাছে চায়। কুরআন পড়তে পড়তে ফজরের আযান কানে ভেসে আসলে পুরুষগণ জামাতে নামাজ আদায় করতে গেলেন। আর মহিলাগণ নামাজ শেষে নাস্তা তৈরীতে মনোযোগ দিলেন। নামাজ ও হাটাহাটি করে বাসায় ফিরতে সকাল ৬টা বাজলো। মা ও খালা নাস্তা টেবিলে দিয়েই সবাইকে নিয়ে খেতে আরম্ভ করলেন। নাস্তা খেয়ে সকলেই সকলের কর্মস্থলে ফিরে যাবে এমন সময়, খালু মনে করিয়ে দিলেন রিফাতের পড়া ও শিক্ষক বাসায় আসার প্রসঙ্গ। বাসায় থেকে গেল মা, খালা ও রিফাত। কেমন যেন নিস্তব্ধতা বিরাজ করলো বাসাতে। এটায় মোক্ষম সময় মনে করে রিফাত দুজনকে কাছে ডেকে বলল, মা তোমাদের আজ কিছু কথা বলব। রিফাত বলতে শুরু করে, তোমরা তো জানো আমার ও মৌমিতার প্রণয়ের কথা। এখন বলছি লূনা ও রাহাতের প্রণয়ের কথা। এবারে মা ও খালার মুখে হাসির রোল দেখে রিফাতের বুঝতে সমস্যা হল না যে এটাও গোপন রইলো না। রিফাতের মা বললেন, এটা নিয়ে কোনো চিন্তা করিস না পড়ায় মনোযোগ দে। রিফাত বলল, আচ্ছা। এবারে রিফাত তার রুমে গিয়ে মনোজগৎ এ হারিয়ে কল্পনার সব রং আঁকতে থাকে। আর মনের মাঝে একটা প্রশ্ন বারংবার উকি দেয় এতো সুখ সইবে তো? খালা গরমাগরম চা নিয়ে আসলে একথা বলে আর দুজনের চোখ দিয়ে জল নামে। মা ব্যাপার টের পেয়েই দুজনকে থামায় আর বলে আল্লাহকে সবকিছু অর্পণ কর দেখবি মনটা হাল্কা হয়ে গেছে। নিজের মনকে বোঝাবি যে আল্লাহ্‌ যা করেন মংগলের জন্যই করেন। আজ রাহাত ও তার বাবার ফিরতে দেরী হবে বলে খালাকে বাসায় থেকে যেতে বলল যে আমিই তোমাকে দিয়ে আসবো। তখন বেলা ১১টা রিফাতের স্যার যিনি ইংরেজি বাদে সকল বিষয় দেখবেন যার নাম আহমাদুল্লাহ তিনি এসেছেন। আর যিনি ইংরেজি দেখবেন তিনি হলেন একজন শিক্ষিকা যার নাম খাদীজা খানম। তিনি আসবেন তার ক্লাস শেষ করে বিকাল ৪টায়। আজ থেকে শুরু হল রিফাতের পড়ালেখা।

Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.