নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বড় হচ্ছি আর লেখালেখি করি মনের ইচ্ছামত, যা আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয় আমার সত্ত্বাকে।

নাঈম মাহমূদ

ছাত্র

নাঈম মাহমূদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

\\এরিষ্টোক্রেটিক/

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

২৯শ পর্ব:

সবে হাজ্জ্ব করে ফিরেছে তার পরিবার এরপর থেকে যেন তারা আরও সংযত ও পর্দানশীল। ঘরেও এখন যাদের সাথে দেখা দেওয়া যায় তারা ব্যতীত অন্য কেউ ঘরে এলে শুরুতেই হিজাব পড়ে থাকেন তার মা ও তার বউ। যা হোক তাদের ভার্সিটি নিয়মানুযায়ী চলতে থাকে। এভাবে কাটে আরও ১টি বছর। ঠিক এই সময়ে তার মা ও তার বউ সন্তান প্রসব করে। রিফাত একইসাথে ১ভাই ও ১কন্যার বাবা হয়। খুশির সংবাদ দেয় বাসায় থাকা নানী। রিফাত খুশিতে তার বাবাকে নিয়ে উপহারসহ ফিরবে এমন সময় তাদের গাড়ী দুর্ঘটনায় পতিত হয়। রিফাত তার বাবাকে বাঁচাতে নিজেকে তার বাবার বুকের উপর শুইয়ে দেয় যাতে করে তার বাবা আহত না হন। এতে তার শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকেরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। যেখানে কর্মরত চিকিৎসক হচ্ছে হৃদয় ও রাহাত কিন্তু তারা রিফাতকে বাঁচাতে পারল না, পারল শুধু তার বাবাকে। বাচ্চা প্রসব করে মা ও মৌমিতা এখন অনেকটাই সুস্থ। দুজনেরই normal delivery হয়েছে। রিফাতের লাশসহ রাহাত, হৃদয় ও তার বাবা ফিরেছে বাসায়। মানুষের জটলা দেখে মা ও মৌমিতা দুজনেই বের হয়ে বাবাকে জিজ্ঞাসা করছে কী হয়েছে আপনার মুখ এত কালো দেখাচ্ছে কেন? ইতিমধ্যে তার অন্য সকল মাও এসে পড়েছে। যা হোক বাবা শোকে বিহ্বল হয়ে কোনো কথায় বলতে পারলেন না। রাহাতও কিছু বলতে না পারায় হৃদয়ের আম্মা বললেন, আপা আমাদের রিফাত আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করেছে। একথা শুনেই মৌমিতা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আর মা বললেন, এজন্যই সে আল্লাহর কাছে ১টি ভাই চেয়েছিল একথা বলতে বলতে মাও তার শোক সইতে না পেরে জ্ঞান হারায়। দুজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় ৪ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর জ্ঞান ফিরল দুজনের। এদিকে রিফাতকে গোসল দিয়ে জানাযার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এদিকে হাসপাতাল থেকে মা ও মৌমিতা ফিরে এলে দুজনেই দুজনের সন্তান নিয়ে আসে রিফাতের লাশের কাছে। আর বলতে থাকে রিফাত তোর মা তোর ভাইকে নিয়ে এসেছে কোলে নিয়ে আযান দিবি না। এবারে মৌমিতা বলে, তোমার মেয়েকে দেখবে না? এভাবে দুজনেই কাঁদতে থাকে তাদের শান্ত করে তাদের বাবা। বাবা বলেন, তোমরা তার জন্য দোআ কর কারণ এখন ওটাই তার কাজে লাগবে। আমরা তাকে নিয়ে যাচ্ছি জানাজা ঘরে। তার জানাযা পড়ালেন রিফাতের পছন্দনীয় ওস্তাদ। জানাযা শেষ করে দাফন করা হল। আর বাবার বুকটা ফেটে চৌচির হয়ে গেলেও কাঁদোকাঁদো গলায় দোআ পড়লেন ও মাটি দিলেন। আসার সময় তার সীনা বরাবর দাঁড়িয়ে সূরা ইয়াসীন পাঠ করে ফিরে আসলেন। দিনটি ছিল শুক্রবার জানাযা হয় জুমুআর পর আর দাফন কার্য শেষ করতে আসর গড়িয়ে মগরিব হবে হবে ভাব। ভারাক্রান্ত মনে বাবা বাড়ীতে এলে তার নাতি ও ছেলেকে দেখে তিনি তার সব কষ্ট ভুলে গেলেন।

Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.