নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বড় হচ্ছি আর লেখালেখি করি মনের ইচ্ছামত, যা আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয় আমার সত্ত্বাকে।

নাঈম মাহমূদ

ছাত্র

নাঈম মাহমূদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অজানা পথের তরী

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

২য় পর্ব:

দেখতে দেখতে আহমাদের পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। তার বোন হৃদি class seven ও ঋতু class eightএ পড়ে তাদের পরীক্ষা শুরু হওয়ায় তারাও খুব ব্যস্ত। যা হোক, বাবার কাছ থেকে অনুমতি মিলতেই মনে মনে বলে তোমার একাকীত্ব ঘুচাব বাবা। আহমাদ একাই রওনা হল তার নানাবাড়ি যেখানে থাকে তার একমাত্র মামা। মামার পরিবারে তিন মেয়ে কোনো ছেলে নেই তাদের। তুবা, রূহি ও মাহি ওরা তিনজনেই ভার্সিটি পড়ে যথাক্রমে ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষে। আহমাদ ফোন দেয় তার নানীকে আর বলে, আমি আসছি নানী। একথা শুনে নানী তোলপাড় শুরু করে দিলেন আর বললেন আমার একমাত্র নাতি আসছে। আহমাদ ওর মার বংশে একাই ছেলে হিসেবে আর সবার বড়। আর তাই আদরের কোনো কমতি নেই তার। মামা-মামীও তাকে খুব আদর করে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে তার নানাবাড়ি। যেমন ছোট্ট একটি ঘটনা, ওর যখন জন্ম হয় ওর নানা খুশিতে গরু কুরবানি করেছিল যাতে খারাপ কিছু ভর করতে না পারে। আর ওর চেহারা এত মায়াযুক্ত ছিল, যেই তাকে দেখত কোলে নিতে চাইত। মা মারা যাওয়ার পর প্রথম গ্রামে যাবে তাই তাকে একটা ঘোর আচ্ছন্ন করে রাখল। সংবিৎ পেতে সময় লাগল তার। যা হোক হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে চলে গাড়ী চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। তাদের গ্রামের বাড়ী হাটহাজারি এলাকায়। সেটি শহর ও গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে প্রায় ৮ ঘন্টার পথ, সাথে শহর থেকে আধা কিলো দক্ষিণে তাতে আরও আধা ঘন্টা যোগ করতে হয়। আর ট্রেনে করে আসতে প্রায় ১২ ঘণ্টা। আহমাদ ট্রেনে করে আসছে তার নানাবাড়ি। পথে কিছু ঘটনা ঘটে তাই তার আনন্দের শেষ নেই।

Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.