![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৪র্থ পর্ব:
দীর্ঘ ভ্রমণে তারা এখন ক্লান্ত। তাদের গাড়ী ঠিক দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম পৌছল। এবারে আন্টি নাছোড়বান্দা হয়ে বললেন, তুমি আমার সাথে এসো আমি তোমাকে বাড়ী পৌছে দেব। একথা শুনে আহমাদ বলল, আপনি আমার বাড়ী চেনেন কিভাবে? এবারে তিনি আহমাদের বাবার নাম, দাদার নাম ও নানার নাম ও তার মায়ের নাম বলেন। এবারে আহমাদ অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে, আপনি কে? আমি তো এতকিছু বলি নি। এবারে আন্টি তার পরিচয় দেন যে তার নাম আসমা, বাবার নাম ওসমান গনি। এবারে আহমাদ বুঝে যে ইনি তার সেই ফুফু যাকে সে খুঁজছে। যা হোক তারা ১টি অটো নিয়ে তাতে মালামাল তুলল। একপর্যায় তারা আহমাদের বাড়ীতে এসে পৌছলে তারা নেমে পড়ল। কিন্তু আহমাদ তার ফুফুকে ছাড়ল না। বাড়ীতে ঢুকেই নানার সাথে দেখা হলে দুজনেই সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করল। নানী রীতিমতো খুশি,তার নাতিকে পেয়ে। আহমাদ ও তার ফুফু ফ্রেশ হয়ে এলে তাদের খেতে দেওয়া হল। এরপর সকলের সাথে আহমাদ তার বাবার বিয়ের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করল। এদিকে তার ফুফুকে নিতে বাড়ী থেকে লোক এল, আর ফুফু চলে গেল। যা হোক, দাবী উত্থাপন করাতে সকলেই বিষয়টি সিরিয়াসলি নিল। নানা বললেন, তোর দাদাবাড়ির লোকজন কিছু বলে নি। আহমাদ বলল, তুলেছে কিন্তু বাবা কানে তুলে নি। নানী বললেন, তাহলে তোর দাদাকে গিয়ে বিষয়টি ভাবতে বললে সেটি আরো ভালো হবে। এখন আহমাদকে কিছু ডাব পেড়ে খেতে দেওয়া হল, ডাবগুলো প্রচুর মিষ্টি ছিল। এবারে আহমাদকে তার রুম দেখিয়ে দিতেই সে কিছুক্ষণের জন্য রেষ্ট নিতে অনুমতি চাইলে তাকে তার রুম ছেড়ে দেওয়া হল। সে খুব ক্লান্ত তাই বিছানায় পিঠ লাগাতেই ঘুমিয়ে পড়ল। তার একটা সুঅভ্যাস রয়েছে, সে যতই ক্লান্ত থাকুক না কেন নামাযের সময় সে টের পায় এবং নামায পড়ে নেয়। সে এমনি ঘুম দিল যে মামী রাতে ১০টায় খাবার নিয়ে এলে খাবার খাইয়ে দিলেন তাকে জাগিয়ে। আজ তার জন্য তার পছন্দের খাবার রান্না করেছেন তার মামী। আহমাদ খুব তৃপ্তি নিয়ে খেতে থাকল একপর্যায় খাওয়া শেষ হতেই গরুর খাঁটি দুধ খেল। এরপরে সে আবার ঘুমিয়ে পড়ল।
Click This Link
©somewhere in net ltd.