![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৫ম পর্ব:
এক ঘুমে সে ভোর ৩টায় উঠলো। ওযু করে নানীকে বলল, নানী জায়নামাজ কোথায়? মামী তা নিয়ে আসলেন আর বাসায় ফোন দিয়ে জানাতে বললেন। আহমাদ বলল, ফজরের পর ফোন করব। এবারে নামায পড়ে কিছুসময় কুরআন পড়তে থাকল। ফজরের আযান কানে ভেসে আসলে নানা, মামা ও সে নামায আদায় করতে গেল। নামায শেষ করেই আহমাদ বাবাকে ফোন দিল, খোঁজখবর নিল এবং অনেক্ষণ ধরে কথা বলল। এরপরে তারা তিনজন হাটতে থাকল, হাটার পর্ব শেষ করে বাসা ফিরতে ফিরতে ৬টা বেজে গেল। মামী ও নানী সকালের নাস্তা তৈরীতে ব্যস্ত একপর্যায় নাস্তা হয়ে গেলে সকলকেই দস্তরখানায় ডাক দেওয়া হল। সবাই নাস্তা করতে লাগল একপর্যায় নাস্তা শেষ হলে আহমাদ নানীকে বলল, আজ আমি দাদাবাড়ি যাব। নানী বললেন, সবে তো এলি পরে যাস। আহমাদ বলল, বাবার বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমার শান্তি নেই। আগে ওটা হয়ে যাক তারপর বেড়াব। নানা বললেন, ঠিক আছে ওকে বাধা না দিয়ে দোআ করো। তাই তার দাদাবাড়ি যাওয়াটা এখন সময়ের ব্যাপার। তাই দাদাবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হল। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক হাটার পর পৌছল তার দাদাবাড়ি। দাদাসহ সকলেই তাকে পেয়ে চোখের জল ফেলল, তার মায়ের জন্য। দাদী ঠাণ্ডা শরবত দিলেন আর সুমিষ্ট ডাবের পানি। এগুলো খেয়ে তৃপ্ত হল আর বলল, ফাহাদ তার চাচাতো ভাই, এর খবর জানতে চাইলো। ছোট চাচী বললেন, বাজারে গিয়েছে। এইতো এল বলে। আর অন্য সব ভাইবোনের খবরাখবর নিল। এরপরে ফাহাদ এলে নদীতে স্নান করতে গেল তখন কেবল ১১টা বাজে। দিনটা খুব সুন্দর না গরম না ঠাণ্ডা। যা হোক আধা ঘণ্টা পর ফিরে এলে ফুফু তাকে দেখতে এলেন। ফুফু তো তাকে আদর করলেন, আর অনেক্ষণ ধরে কথা বললেন। একপর্যায় জোহরের আযান দিলে নামায পড়তে গেল দাদাসহ। নামায শেষ করে এলে দাদীই আহমাদকে খাইয়ে দিলেন। এতো আদর পাওয়ার কারণ হল, তাদের বাবার বংশে সে আর তার দাদা ছাড়া কোনো আলেম নেই। আজকের দিনটি সে পার করল আনন্দের সাথে।
Click This Link
©somewhere in net ltd.