নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বড় হচ্ছি আর লেখালেখি করি মনের ইচ্ছামত, যা আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয় আমার সত্ত্বাকে।

নাঈম মাহমূদ

ছাত্র

নাঈম মাহমূদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অজানা পথের তরী

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

৬ষ্ঠ পর্ব:

বেশ কয়েকদিন পার হল, আহমাদ এখনো গ্রামের বাড়ী। দাদাকে সে বলে, একটা বলতে চাই। দাদা বললেন, একটা কেন দুইটা বল। আহমাদ বলল, বাবার আরেকটা বিয়ে দেওয়া দরকার বিশেষ করে হৃদি ও ঋতুর জন্য। দাদা বললেন, খুব দরকারি কথা বললি। কিন্তু তোর বাবা? আহমাদ বলল, বাবাকে রাজি করানো সময়ের ব্যাপার। কিন্তু তার আগে যিনি আমার মা হবেন, তাকে তো নিঃস্বার্থ হতে হবে। দাদা বললেন, এক্ষেত্রে একটু সময় লাগবে। আহমাদ বললেন, আমাদের আসমা ফুফুকে? দাদা বললেন, ওসমান গনির মেয়ে? আহমাদ বলল, জ্বি। এবারে দাদী বললেন, ও তো কয়েকবছর ধরে একাই আছে। ভালোই হবে। আহমাদ বলল, চলুন তাহলে পাকা করে আসি কথা। দাদা বললেন, অতো তাড়াহুড়ো করার কিছু নেই, তোর বাবাকে আগে রাজি করায়? আহমাদ বাবার সাথে কথা বলিয়ে দিল। কথার মাধ্যমে বোঝা গেল, বাবাও রাজি কিন্তুটাই ঝামেলা করছে। যা হোক, দাদা বললেন, চল, তোর ফুফুর কাছে। দাদা যেহেতু বড় তাই তিনি নাম ধরে ডাকলেন, ওসমান বলে। ওসমান দাদা বের হয়ে বললেন, কী ব্যাপার ভাইয়া? দাদা বললেন, আব্দুর রহমানের জন্য একটি মেয়ে দরকার তাই। ওসমান দাদা বললেন, আমাদের আসমার সাথে সম্বন্ধ করতে চাইছেন। দাদা বললেন, হ্যা। এবারে আসমা ফুফুকে জিজ্ঞাসা করা হল, তিনি কি রাজি কিনা? ফুফু হ্যাসূচক উত্তর করলে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করা ও মহর ধার্য করা হল। মহর ধরা হল, ২০০০০১ টাকা, আর সেটা হবে ২ সপ্তাহ পর। এবার আহমাদের মুখে হাসি ফুটল, আর বাবার সাথে পুনঃরায় কথা বলাল। এবারে অনেক্ষণ ধরে কথা বলল, আর হৃদি ও ঋতুর পরীক্ষা শেষ হলেই বাবা তাদের নিয়ে আসবেন। আরোও কিছুদিন পার হল, বাবা গ্রামের বাড়ীতে এসে পড়লেন হৃদি ও ঋতুকে নিয়ে। বাবার বিয়ের জন্য প্রস্তুতি চলছে তারই চাচাতো বোনের সাথে।

Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.