![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৮ম পর্ব:
বেশ কিছুদিন দাদাবাড়ি থাকার পর আজ, মে মাসের ৫তারিখ তারা আহমাদের নানাবাড়ি পৌছল সকাল ১০টায়। নানা-নানী তাদেরকে বরণ করে নিলেন। মামা কিছু ডাব পেড়েছিলেন, যেগুলো তাদেরকে দেওয়া হল। আহমাদের বাবা-মা তৃপ্তি নিয়ে খেলেন। নানা আহমাদের বাবার জন্য ১টি খাসি জবাই করেছিলেন। খাসি ছাড়ানো শেষ হলে রান্নার জন্য প্রস্তুত করা হল। সকলেই আনন্দ উৎসব করে দিনটি পার করল। এদিকে ট্রেনের টিকিটের জন্য মামা ও আহমাদ রেলওয়ে অফিসে গেল এবং ২ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে কেবিনের ৫টি টিকিট পেল আগামীকালের জন্য। বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে এসেও যেন আবার তাদের ক্ষিধা লেগে গেছে। তাই তারা হাল্কা কিছু খেয়ে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হল তখন ঘড়িতে বিকাল ৪টা বাজে। আজ রাতে তারা গল্প করে কাটিয়ে দিবে ভাবছে কিন্তু বিপত্তি ঘটল নানাকে নিয়ে, কারণ তার রাত জাগা নিষেধ। তাই এরকম ১টি পদক্ষেপ গ্রহণ করাতে কেউ কেউ নারাজও হল। বেশি রাত না করে তাই রাতে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ গল্প করে ঘুমিয়ে পড়ল সবাই। আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় গাড়ী তাই আজ তারা উপভোগ করবে। সকালে উঠেই আহমাদের মা নানী ও মামীকে সাহায্য করতে গেলেন আর সকলের সহযোগিতায় তাড়াতাড়ি সকল কিছু শেষ হয়ে গেল। এদিকে ব্যাগ আবারো দেখে নিল আহমাদ সকল কিছু নেওয়া হয়েছে কিনা। নাস্তা শেষে তারা সকলেই হাটতে বের হল। তাই তাদের এ ধরনের ঘুরে বেড়ানোটা সকলেই পছন্দ করল। সারাদিন শেষে এখন বিদায় নেওয়ার পালা, নানা-নানী ও মামা-মামী সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রেলস্টেশনে পৌছল বিকাল সাড়ে ৫টায়। তাদের গাড়ী এখনো পৌছে নি। কিছুসময়ের মধ্যে গাড়ী আসলে তারা তাদের বগি মিলিয়ে উঠে পড়ল আর সিট মিলিয়ে তাতে মালামাল রাখল। আজ তারা প্রচুর ক্লান্ত গাড়ী ছাড়তেই তারা এক ঘুম দিল। আর আহমাদ মাঝে মাঝে দেখে নিচ্ছে কোথায় পৌছল গাড়ী। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ভ্রমণ করে তারা ঢাকার বাড়ীতে পৌছল।
Click This Link
©somewhere in net ltd.