নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বড় হচ্ছি আর লেখালেখি করি মনের ইচ্ছামত, যা আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয় আমার সত্ত্বাকে।

নাঈম মাহমূদ

ছাত্র

নাঈম মাহমূদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অজানা পথের তরী

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

৯ম পর্ব:

দেখতে দেখতে ১টা বছর কেটে গেল, আর আহমাদের ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন দিয়েছে। তাই সিরিয়াসলি পড়াশুনা করতে হচ্ছে, কারণ ভালো ১টি ডিগ্রী নিয়ে বাইরে যাওয়া তার মার স্বপ্ন ছিল। এটাকে বাস্তবায়ন করতে পুরো উঠে পড়ে লেগেছে। স্কলারশিপ পেয়ে বাইরে যাওয়া অনেক বড় সম্মানের ব্যাপার। এতে উৎসাহ দিচ্ছেন তার নতুন মা আর তার ভাইবোন। একপর্যায় আহমাদের পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল চলবে প্রায় ২মাস ধরে। এদিকে আহমাদের বাবার পদোন্নতি ঘটেছে এখন তিনি সিনিয়র অফিসার হয়েছেন। তার বেতন স্কেল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০০০টাকা। সুতরাং তাদের সংসারে নতুন মা আসাতে সংসারটি আলোর মুখ দেখছে। যাই হোক হৃদি ও ঋতু পড়ায় মনোযোগী হয়েছে আর বরাবর ভালো করে যাচ্ছে। আহমাদ আজ পরীক্ষা দিতে গেল মায়ের কাছ থেকে দোআ নিয়ে। আজ তাকে অনেক confident লাগছে। পরীক্ষার হলে ঢুকে আনুষঙ্গিক দোআ পাঠ করে, প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর লেখা আরম্ভ করল আল্লাহর নামে। দীর্ঘ ৪ঘণ্টা পরীক্ষা দেওয়ার পর তার হাতের অবস্থা ১২টা থেকে ১৩টা বেজে গেল। তার হাত নাড়াতে কষ্ট হলেও পরীক্ষা ভালো হয়েছে বলে স্বস্তি ফিরে পেল। এবারে মসজিদে গিয়ে নামায শেষ করে বাসার দিকে রওনা হল। বাসায় ফিরে মাকে বলে মা আজ তোমার দোআয় সব কমন পেয়েছি। মা বললেন, আলহামদুলিল্লাহ্‌। আল্লাহ্‌ সহায় হউন। আহমাদ ফ্রেশ হতে গেল মা টেবিলে খাবার দিলেন তার জন্য। তখন ঘড়িতে কেবল সাড়ে ৫টা। আহমাদ ফিরে এসে খাবার খেতে খেতে বলল, মা আজ আশেপাশে কোথাও ঘুরতে যাই? মা বললেন, তোর বাবার আসার সময় হয়ে এল, তিনি এলে তারপর। আহমাদ বলল, সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত তুমি তাই ক্লান্তি দূর করতেই ঘুরতে চেয়েছিলাম। মা বললেন, থাক বাবা আমার জন্য চিন্তা করিস, মনে পড়লে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। একপর্যায় আহমাদের খানা শেষ হলে, আহমাদের বাবা এসে পড়লেন। মাকে পাশে বসিয়ে রেখে আহমাদ খাবার বেড়ে দিল আর কিছু কথা বলতে চাইল। বাবা বললেন, মতলবটা কী? আহমাদ বলল, আসলে হয়েছে কি, একটু তোতলামি করে মা, মানে তুমি না আসলে একটু বেড়াতে? বাবা ও মা হেসেই দিলেন আর বললেন, বুঝেছি। কিন্তু কথা বলতে পারছিলে না তো। বাবার কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর আহমাদের খুশি আর কেউ ধরে রাখতে পারল না। সকলে ঘুরে বেড়িয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল আর যান্ত্রিক জীবনটাকে ধিক্কার জানাল আর বলল, কবে মিলবে মুক্তি?

Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.