![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৩তম পর্ব:
দিন কয়েক পার হল,আহমাদ এখন ইফতা পড়তে "কিং আব্দুল আজীজ ইউনিভার্সিটি জেদ্দা" যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আনুষঙ্গিক কাজ শেষ কিছু কাগজ-পত্র জমা দিতে হবে, এরপর ওরা কিছু টেস্ট দিবে এরপরে ভিসার জন্য আবেদন করবে। তার মানে এখনো মাস দুয়েক লাগবে আর ভিসা আসতে আসতে আরও ৩মাস। যা হোক আহমাদ কম্পিউটারের গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর কাজ শুরু করেছে। এছাড়া আরও কিছু কাজ শিখে নিচ্ছে। এবারে ডাক পড়েছে এমবাসি থেকে ভেরিফাইয়ের জন্য। আহমাদ বাবা ও মার কাছ থেকে দোআ নিয়ে রওনা হল। এমবাসিতে পৌঁছতেই ৩ঘণ্টা লেগে গেল। এরপর কিছুকাল অপেক্ষা করার পর ভেতরে ঢুকে আহমাদ। প্রায় ঘণ্টা খানেক থাকার পর আহমাদ খুশি মনে বেড়িয়ে এল। এরপরেই সুসংবাদ দিল মাকে ফোন করে। আজকালের মাঝে টেস্টের রিপোর্ট জমা দিলেই আপাতত কাজ শেষ। আজ আহমাদ বাসায় ফিরে গেল, কারণ সে আজ খুব ক্লান্ত। বাসায় ফিরতে ফিরতেই সন্ধ্যা হয়ে গেল। মা কিছু হাল্কা নাস্তা ও চা নিয়ে এলেন। আহমাদ মাকে আরোও বেশি বেশি দোআ করতে বলে। বাবার খবর জানতে চাইলে মা বললেন পাশের রুমে আছেন। আহমাদ নাস্তা ও চা শেষ করে বাবার পাশে বসলো আর বলল, বাবা এমবাসি থেকে হ্যাসূচক উত্তর পাওয়া গিয়েছে এখন কিছু টেস্ট করতে হবে। বাবা বললেন চিন্তা করবি না, আল্লাহই সবকিছু করার মালিক। আহমাদ বলল, এমবাসির লোকেরা আমার উপর খুব সন্তুষ্ট হয়েছিল তাই আজকেই খুশীর সংবাদটি দিল। এরকমভাবে গল্প করতে করতে একপর্যায় রাতের খাবার এরপরে ঘুম। সকালে ফজরের নামায পড়ে হাটাহাটি করে বাসায় এসে নাস্তা করে মেডিকেলের উদ্দেশ্য করে বের হল যার নাম তারাই বলে দিয়েছিল। ঐ মেডিকেলে উপস্থিত হয়ে সবকিছু বিস্তারিত বললে তারাই তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করে দিল। এরপরে আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে রিপোর্ট নিয়ে বাসায় ফিরে গেল। বাসায় প্রবেশ করে মাকে সালাম দিয়ে রিপোর্টটি ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিল। কাজ মোটামুটি শেষ এখন ভিসার অপেক্ষা।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Naeeim/editpost/30039948/blog/0
©somewhere in net ltd.