![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৪তম পর্ব;
দীর্ঘ ২ মাস অপেক্ষা করার পর ভিসা হাতে পেল আহমাদ। এখন শুধু ফ্লাইটের অপেক্ষায় দিনাতিপাত করা। খুশির সংবাদ মাকে দিতে ভূল করেনি, দিয়েছে বাবাকেও। আহমাদ আজ বাসায় এসে পড়ল, তখন বাজে সকাল ১০টা। বাসায় ফিরে গোসল করে ২ রাকাত নামায পড়ে মাকে কিছু সাহায্য করে। তাই আজ কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল ১১টার মাঝেই। মা ও তিন ভাইবোন মিলে ছোটখাটো আড্ডা জমাল। এরপরে কিছুকাল বিরতি দিয়ে গোসল সেড়ে ফেলল একে একে সবাই। ফ্লাইট এখনো ১৫ দিনের মতো বাকি শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতির জন্য বাবা মায়ের কাছে আবদার করে বসলো আহমাদ, সেটি হলো ২-৩দিনের জন্য কোথাও থেকে ঘুরে আসা। কিন্তু মা কিছুতেই যেতে দিতে রাজি নন। তিনি বললেন, তোর নানা-নানী ও দাদা-দাদী তোকে দেখতে আসবেন। তাই তোর কোথাও যেতে হবে না। এবার তাকে খোজ করার জন্য একজন দরজায় কড়াঘাত করল। আহমাদ দরজা খুলেই হতচকিয়ে বলল, আরে ফারিহা যে তুমি কোথা থেকে? ফারিহা বলল, তোমার বাসা খুঁজতে খুঁজতে জান বেরিয়ে গেল। এরপর আহমাদ তার মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলল, মা আমরা একই ডিপার্টমেন্ট এ পড়ি। ও আর আমি একসাথে জেদ্দা যাচ্ছি। মা বললেন, বুঝেছি তোরা কথা বল আমি আসছি। এখন ফারিহা ও আহমাদ একে অপরকে বলছে, তুমি শেষ পর্যন্ত বাসা এসে ছাড়লে? ফারিহা বলল, আমি না এসে পারলাম না। আমার বাবা-মা আমাকে পাগল করে দিচ্ছে। বলে কিনা বিয়ে করতে? আহমাদ বলল, এ আর এমন কী? ফারিহা বলল, আবারো দুষ্টুমি হচ্ছে? আহমাদ বলল, স্যরি ভুল হয়েছে। দাঁড়াও মাকে তোমার ব্যপারে হাল্কা টাচ দিয়েছি দেখি মা কী বলেন? এরই মধ্যে মা এসে পড়লে আহমাদ বলে, মা তোমাকে না একটি মেয়ের কথা বলেছিলাম, তুমি তাকে দেখতে চেয়েছিলে? এই সেই মেয়ে। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে, ওর বাবা-মা ওকে বিয়ে দিতে চায় কিন্তু আমরা দুজনেই চাই পড়া শেষ করতে। মা বললেন, এতে ক্ষতি কী? পড়ালেখা বিয়ের পরেও করা যায়। নাস্তা করতে করতে এসব কথা হচ্ছিল। এবারে মা বললেন ফারিহাকে তোমার বাবা- মার পরিচয় দাও? ফারিহা বলল, আমার বাবার নাম আতাউর রহমান এবং মায়ের নাম আসমা রহমান। এবারে মায়ের চোখে পানি, বললেন, আহমাদ ও তোর বড় খালার মেয়ে। অনেকদিন তার কোনোই খোঁজখবর নেই। যা হোক ফারিহা তোমার মায়ের নম্বরটা দাও আমি কথা বলব। আর তোরা শপিং সেড়ে আয় আমি একটা ব্যবস্থা করছি।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Naeeim/editpost/30042674/draft/0
©somewhere in net ltd.