![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৫তম পর্ব:
ফারিহা ও আহমাদ মাকে নম্বরটি দিয়ে শপিং এর উদ্দেশ্যে বের হলো। আর মা বললেন ফারিহা বাসা হয়ে যেয়ো। ফারিহা বলল, ঠিক আছে। এই বলে দুজনেই বিদায় নিলো। মা এবারে ফোনটা নিয়ে কল করলেন কাঁদোকাঁদো গলায়। ফোনটা ধরলেন মায়ের বড় আপা, কে বলছেন? ওপাশ থেকে শুধুই কান্নার আওয়াজ। এবারে বড় আপা বললেন, খাদীজা এতোদিন পর? মা বললেন, অবশেষে চিনলে তাহলে। এরকম অনক্ষণ কথা বলার পর একপর্যায় মা জিজ্ঞেস করলেন, তুমি আহমাদকে চিনো? বড় আপা বললেন, চিনি, ফারিহা বলেছিল ওর সম্পর্কে কিন্তু ওভাবে না। মা বললেন, ও আমার ছেলে। বড় আপা বললেন, তাই নাকি! এবারে মা বললেন, ওরা দুজন দুজনকে ভালোবাসে কিন্তু ওরা কেউই এখনি বিয়ে করতে রাজি নয়। বড় আপা বললেন, কিন্তু সবই ঠিক আছে আমি চাচ্ছিলাম কাবিন করে রাখতে। আর যেহেতু জামাই ঘরেরি সেহেতু আর কোনো চিন্তা নেই। যাক নিশ্চিত হলাম আমার মেয়ের পছন্দ আছে। এপাশ থেকে মা বললেন, কাবিন কখন করতে চাও? বড় আপা বললেন, ওদের ফ্লাইট তো ২৫ তারিখ, আমি চাচ্ছি যে ২০ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করতে। মা বললেন, আপা তোমরা থাকো কোথায়? ২২ জনসন রোড, সদরঘাট। আপা বললেন, তোরা না করবি না তো? মা বললেন, কতোদিন তোমাদের খুঁজেছি তার কোনো ইয়াত্তা নেই। আপা বললেন, তুই কোনো চিন্তা করিস না আমাদের আবার দেখা হবে ইনশা-আল্লাহ। কথা যেন ফুরাতে চায় না তাদের। এবার বড় আপা বুদ্ধি করে বললেন, একদিন বেড়াতে চলে আয় সবাই আগামী শুক্রবার। মা বললেন, ঠিক আছে আপা। আজ তবে রাখি, তোমার ছেলেরা চলে এসেছে। বড় আপা বললেন, আচ্ছা।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Naeeim/newpost
©somewhere in net ltd.