নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বড় হচ্ছি আর লেখালেখি করি মনের ইচ্ছামত, যা আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয় আমার সত্ত্বাকে।

নাঈম মাহমূদ

ছাত্র

নাঈম মাহমূদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অজানা পথের তরী

২১ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

১৭তম পর্ব:রাত পেরিয়ে ভোর হতে না হতেইতোড়জোড় শুরু করে দিলেন আহমাদের মা। তিনি বললেন, দূরের পথ ফজর পরেই রওনা হতে হবে। আহমাদ নামাজ শেষ করতে না করতেই ডাক পড়ল, কৈ তোর হলো? আহমাদ বলল, হ্যা মা আসছি। ড্রাইভারকে গাড়ী বের করতে বলা হলে, সে গাড়ী বের করতেই সকলে উঠে পড়লো গাড়ীতে। গাড়ী তাদের নিয়ে চলতে আরম্ভ করল। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার পথ, জ্যাম ছাড়া স্রেফ ২ ঘণ্টা। কিন্তু আহমাদের তো সময় ফুরাচ্ছে না। মা যেন কী বলতে চাইলেন আহমাদকে, কিন্তু তার সংবিৎ ফিরে পেতে সময় লাগলো। কিছুক্ষণ পরে আহমাদ বলল, কিছু বলছিলে? মা বললেন, তুই ফারিহার সাথে সুখি হবি তো? আহমাদ বলল, তোমার কাছে আর লুকাব না, আমরা একে অপরকে প্রচুর ভালোবাসি। যা হোক, মা রেগে না গিয়ে হাত বুলিয়ে দিলেন গালে আর বললেন, তোরা সুখি হ এই দোআ করি। একপর্যায় তারা জনসন রোডে পৌছে। এবার আহমাদের মা তার বোনকে ফোন দিলেন। ওপাশ থেকে বলা হল, সাত নম্বর বাড়ীতে চলে আয়। এখন তারা সাত নম্বর বাড়ী খুঁজতে থাকে, অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর পেল সাত নম্বর বাড়ী। আবারো খালাকে ফোন দেওয়া হলে, খালা-খালু দুজনেই নেমে আসলেন আর তাদেরকে উপরে নিয়ে গেলেন। এবার ফারিহা তার খালা-খালুকে সালাম দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করল। কিছুসময় গল্প করে হাল্কা জলখাবার নিয়ে এলেন খালা। খাওয়া শেষ করে আহমাদ বলল, খালা আমি একটু গোসল করব প্রচুর গরম লাগছে। ফারিহা তাকে নিয়ে গেল এবং বাথরুম দেখিয়ে দিল আর লুঙ্গি ও তোয়ালে দিল। কিছুক্ষণ পরে আহমাদ বেরিয়ে এলে দেখল সবকিছু তার ধারনার বাইরে অর্থাৎ মা ও খালা রান্নাঘরে আর বাবা ও খালু তাদেরকে সাহায্য করছে, সাথে গল্পও হচ্ছে বেশ। এদিকে তার ও ফারিহার বিয়ের কথা হচ্ছে বেশ তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে কারণ তাদের ফ্লাইটের বেশিদিন নেই হাতে আর মাত্র ১৫ দিন। যা হোক, আহমাদ অনুমতি নিয়ে বলল, খালামণি তোমাদের কোনো সাহায্য লাগবে? খালা বলল, আপতত নয় তুমি বরং ফারিহার সাথে রুমগুলো দেখ আর তার সাথেই সময় দাও। আহমাদ বলল, তোমাদের না বুঝে উঠতে পারিনা। এখন একরকম আর পরে অন্যরকম। ফারিহা আহমাদকে রুম দেখিয়ে নিজের রুমে গিয়ে বসলো। তারা প্ল্যান করতে লাগলো কীভাবে সবকিছু গুছিয়ে নেওয়া যায়। এভাবে একপর্যায় রান্না-বান্না শেষ হয়ে এলো, আর পরিবেশনের জন্য টেবিলে রেখে দিলেন আহমাদের মা। এবারে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম, খালা-খালু ও আহমাদের বাবা-মা ফ্রেশ হতে গেলেন। এসকল arrangement করতে বিকেল ৩টা বেজে গেল।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Naeeim/editpost/30055844/blog/0

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.