নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বড় হচ্ছি আর লেখালেখি করি মনের ইচ্ছামত, যা আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয় আমার সত্ত্বাকে।

নাঈম মাহমূদ

ছাত্র

নাঈম মাহমূদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অজানা পথের তরী

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৩৯

পর্ব ২২:
আজ দুজনেরই প্রথম ক্লাস তাই ফজরের আগে নাস্তা তৈরি করে নিয়ে যাচ্ছে বাটিতে করে। এখানে আহমাদ নিজে পড়ছে আর ১টা কম্পিউটারের দোকানে ৪ঘণ্টা part time job করে তাই ক্লাস শেষে বাড়ী ফিরতে বিকাল ৪টা বাজে। কিছুদিনের ব্যবধানে এলাকা ও মানুষের সাথে চেনা জানা তৈরি হয়েছে। আর ফাক পেলেই বাবার বাড়ী ও শ্বশুরবাড়ি ফোন দেয় আর বুদ্ধি নেয়। এভাবে তারা সংসারটাকে গুছিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে যে রিয়াল এনেছিল তা প্রায় শেষের পথে, তাই তার বসকে ব্যপারটি বলতেই কিছু রিয়াল দিল যাতে তারা চলতে পারে। প্রথম দিকে এইভাবেই চলছে পরে হয়তোবা মাদ্রাসায় job হতে পারে। যা হোক তাদের পড়াশোনা কেমন হচ্ছে তা ক্লাস টেস্টে বোঝা যাবে। তাই তারা কাজের ফাঁকেফাঁকে নিজেদের পড়াটা চালিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকে কয়েকদিন, ক্লাস তাদের চলছে পুরো দমে। সামনের সপ্তাহে তাদের ক্লাস টেস্ট তাই preparation নিয়ে রাখছে। এখানে তারা আরবি ভাষা, ইফতা ও তাফসীর এবিষয়গুলোর উপর উচ্চতর ডিগ্রি নিতে এসেছে। এভাবে সময় পার হতে থাকলে পড়ার চাপও বাড়তে থাকে। দেখতে দেখতে ক্লাস পরীক্ষা চলে এল আর তাদের আজ আরবি ভাষার উপর পরীক্ষা। প্রতিদিনের মত আজও নাস্তা সাথে করে নিয়ে গেল। মাদ্রাসায় ওস্তাদদের সাথে পরিচিত হল, যাতে তারা তাদের প্রতি যত্নবান হন। একপর্যায় পরীক্ষা শেষ হলে ওস্তাদের সাথে তার ব্যাপারে আলাপ করে পড়ার পাশাপাশি কোনো চাকরী মিলে কিনা? ওস্তাদ জিজ্ঞেস করলেন, কম্পিউটার চালাতে পার? আহমাদ মাথা নাড়লে তাকে ওস্তাদ মুহতামীমের কাছে নিয়ে গেলেন আর তার ব্যাপারে কথা বললেন। মুহতামীম সাহেব কিছু প্রশ্ন করলেন আর আহমাদ তার সঠিক জবাব দিলে তার কম্পিউটার সেকশনে চাকরী হয়ে গেল। আর আহমাদ তার টাকা দুইবারে চাইলে তাকে বলা হল পরে দেখা যাবে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Naeeim/newpost

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.