উল্টো পথে বাস চলতে বাধা, সার্জেন্টকে মারধোর

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

গতকাল একটা পোস্ট দেখলাম "উল্টো পথে বাস চলতে বাধা, সার্জেন্টকে মারধোর"

ঢাকা শহর ব্যস্ততম একটি শহর। তাই রাস্তায় জ্যাম থাকাটাই স্বাভাবিক। জ্যামে কত মানুষ বসে থাকতে পারে কিন্তু এরা পারে না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের নামকরা একটি প্রতিষ্ঠান। তারা উল্টো পথ দিয়ে যাবে সার্জেন্ট তো ধরবেই। দোষ তাদেরই, তারা ভুল স্বীকার না করে সার্জেন্টকে মারধোর করলো। দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদেরই দুর্নাম সবথেকে বেশি। তারা মনে করে যে তারাই সব। আর কেউ কিছু করে না। কিন্তু আসলে বাস্তব তা না। আসলে প্রতিষ্ঠান কিছুই না। নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়াটাই আসল। এমন অনেক উদাহরণ আছে যে দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রি ধারণকারীও বেকার বসে আছে আবার দেখা যায় কোনো মতে টেনে-টুনে পাস করা একটি ছেলে অনেক বড় কিছু হয়েছে। আসলে মানুষের মতো মানুষ হওয়াটাই আসল। এর জন্য উচ্চশিক্ষিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
কথায় আছে "ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ"

কিন্তু সব ছাত্র ভবিষ্যৎ না এদের মধ্যে কিছু কুলাঙ্গার আছে, যারা দেশের জন্য অভিষাপ।
ঢাবি, বুয়েট সহ দেশের অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদেরকেই দেখা যায় কিছুদিন পরপরই বাস ভাঙে, গাড়ি ভাঙে। এদের হতে পারে অনেক মেধা আছে, কিন্তু কোন বুদ্ধি নেই। গাড়ি ড্রাইভার চালায়, গাড়ি নিজে চলে না। সুতরাং গাড়ির ও কোন দোষ নেই, গাড়ির মালিকের ও নেই। তাহলে গাড়ি কেনো ভাঙবে?
ড্রাইভারের দোষ, ড্রাইভারকে যা ইচ্ছা করো। মারো কাটো তোমার যা মন চায় করো? গাড়ি কেনো ভাংগো?
গাড়ির মালিকের অনেক কষ্টের টাকায় কেনা গাড়ি। একটা গাড়ির দাম কতো তা তো জানোই। অনেক ধার-দেনা করে কিনতে হয়।

কিন্তু দেশের অখ্যাত প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা কিন্তু এসব কাজ করে না। তারা এত ভাব মেরেও চলে না, তাদের মন-মানসিকতাও ভালো।

ভালো প্রতিষ্ঠানে যারা পড়ে তাদের উচিত তাদের নাম ধরে রাখা, এমন কিছু না করা যাতে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ো চেষ্টা করো আরো ভালো কোথাও যাওয়ার। এতো ভাব মারার কিছু নাই।

দেশটা আসলে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

জয় বাংলা।

০ টি +০/-০