তাহসান-মিথিলার বিচ্ছেদ, আমাদের হিপোক্রেসি ও নোংরামির ঢল

২১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০২

জনপ্রিয় গায়ক, অভিনেতা, শিক্ষক, মডেল তাহসান খান আজ তার ফেসবুকে অফিসিয়াল পেইজে জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরে তাদের সম্পর্কে চলা নানা সংকট ও মতানৈক্য সমাধানের আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় তিনি এবং মিথিলা বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছেন যে তারা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন যে তাদের এই সিদ্ধান্ত তাদের ভক্ত এবং শুভানুধ্যায়ীদের জন্য অনেক বড় ধাক্কা হয়ে আসবে এবং তারা এর জন্য আন্তরিক দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। তবে দীর্ঘদিন যে পারস্পারিক সম্মান ও মর্যাদার সাথে তারা সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছেন, বিচ্ছেদের পরেও তারা একইভাবে পরষ্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় রাখবেন। তাদের সন্তানকেও তারা দুজনেই কো-প্যারেন্টিং-এর মাধ্যমে বড় করবেন। শেষে তিনি করজোড়ে অনুরোধ করে জানিয়েছেন যে, তাদের এই কঠিন সময়টায় তাদের ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীরা যেন সমব্যাথী হয়ে তাদের পাশে থাকেন।

শব্দগুলো ভালোভাবে খেয়াল করুন। খুব সহজ এবং সরল ভাষায় মানুষটা জানিয়েছেন যে তিনি এবং তার স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা পরস্পরের প্রতি যে শ্রদ্ধা আর সম্মান বজায় রেখে এসেছেন, তারা সেটা অব্যাহত রাখবেন এবং তারা এই ইস্যুতে তাদের ভক্তরা যেন জাজমেন্টাল হয়ে কাউকে দোষারোপ না করে বরং সমব্যাথী হয়ে তাদের পাশে থাকেন, করজোড়ে তারা দুজনেই সেই মিনতি জানিয়েছেন। আর আমরা কি করছি? বরাবরের মতোই আমাদের সুখ্যাতি বজার রেখে কমেন্টবক্সে একেবারে ঢাল-তলোয়ার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে চরম মাত্রায় জাজমেন্টাল হয়ে কেউ তাহসানকে ধুয়ে দিচ্ছি, কেউ মিথিলাকে ব্লেইম দিচ্ছি, কেউ পরিচিতদের ট্যাগ করে বলছি, তাহসানকে প্রপোজ করার এই তো সুযোগ, কেউ বা আবার ডিভোর্স নেওয়ায় তাদের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে বলছি, আপনাদের মতো আইডলদের জন্য ডিভোর্স একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে, দেশের ডিভোর্সের পরিমাণ বাড়ছে ইত্যাদি।

০ টি +০/-০