![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নগ্ন আমি কিম্ভুতকিমাকার আমি সকল নষ্টের রাজা । আমি পতিতার ক্রন্দন নিটশের স্পষ্ট ব্যাঞ্জন । আমি ষোড়শীর টানটান স্তন প্রকৃতির নগ্নতা । আমি হিটলার করি ছারখার সকল পুরান আমি খলিফা করি সকল অন্যায়ের পরিত্রান । আমি বিনয় ,আমি মলয় করি চুঁচি আর রিরংসার ব্যাখ্যান । তুমি কে হে পথ দেখাও মোরে , আমি নিজেই রচিয়েছি ঈশ্বরের আখ্যান ।
বাঙ্গালীয়ানা-বাঙ্গালিত্ব , দেশাচার-শিষ্টাচার সবকিছুকে ছাপিয়ে পুরুষতান্ত্রিকতাকেই প্রমোট করছে । বাংলাদেশ নিবাসীরা নিরেট বাঙ্গালী কিনা এ প্রশ্নে বিস্তর আলোচনা হয়েছে , হচ্ছে এবং আলোচনা জারি আছে । এ প্রশ্নের উত্তর একটিমাত্র শব্দেই সেরে নেওয়া যায় “না” । উত্তর জানার জন্য কোন ইতিহাসবিদ হওয়ারও দরকার পড়ে না । বাংলাদেশবাসি বাঙ্গালী বাঙ্গালীত্বে চিনি কম মুসলমানিত্বে সরগরম । তাই প্রশ্ন উঠে উত্তর হয় “মুসলমান বাঙ্গালী” । শুধু বঙ্গভুমিতেই না যেখানেই ইসলামের ঝাণ্ডা পতপত করে উড়েছে সেখানেই প্রাগ সংস্কৃতিকে ইসলাম বাতিল করেছে । তাহলে প্রশ্ন হল এ কোন জাতের বাঙ্গালী !! জাতীয়তারও তবে কি বর্ণ আছে । হেন্দু বাঙ্গালী , মুসলমান বাঙ্গালী ও সহি বাঙ্গালী ? পহেলা বৈশাখ , পহেলা ফাল্গুনেই শুধু না আরও অনেক বাঙ্গালীত্ব জাহির করবার উৎসব আছে যেমন ধরুন পৌষপার্বণ , নবান্ন ইত্যাদি । কথা না বাড়িয়ে মূলে দৃষ্টি দেওয়া আবশ্যক নইলে আতেল হওনের বাড়তি সুবিধা আছে । আপনি বলেছেন- “পয়লা ফাল্গুন এবং পয়লা বৈশাখ এই দুই দিবসেই আমাদের বাঙ্গালীয়ানা জেগে উঠে সাথে জেগে উঠে পৌরুষ দন্ড । দিবস দুটো যুবক যুবতীদের যৌন আকাঙ্খা মেটানোর অন্যতম হাতিয়ার । অধিকাংশ মেয়েই চায় স্বাধীন ভাবে থাকার নামে স্বল্পবসনা হয়ে, সাজুগুজু করে নিজেকে পুরুষের কাছে জাহির করতে এমনকি তার যদি কোন পুরুষ সংগী থেকে থাকে তবুও । নারী নিজেকে উন্মুক্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে নৈতিকতার যে অধঃপতন শুরু করাচ্ছে এবং সেই সাথে যে যৌনতা বা শরীর নির্ভর ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলছে তার ফলাফল কি ? স্বাধীনতা যদি হয় নিজের শরীরের উন্মুক্ত প্রদর্শনী । নারী স্বাধীনতা মানে যদি হয় নিজের খেয়াল খুশিমতো চলা এবং নারী স্বাধীনতা মানে যদি হয় অবৈধ শারীরিক মেলামেশা তবে চাই না সেই নারী স্বাধীনতা । যে স্বাধীনতা নারীকে স্বল্পবসনা হয়ে উপস্থাপন করে সমাজের যুব অংশকে যৌনতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে চাইনা সেই স্বাধীনতা । নারী স্বাধীনতা যদি হয় নারীকে কেবল মাত্রই যৌন বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা, তবে দরকার নেই সেই স্বাধীনতার । যে নারী স্বাধীনতা নারীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সেই স্বাধীনতার আদতে কোন দরকার নেই । যে স্বাধীনতা নারীকে যৌন নিপিড়নের কেন্দ্রে পরিনত করে, সে নারী স্বাধীনতা পুরুষকে করে ধর্ষকামী সেই স্বাধীনতা পদদলিত করার ও যোগ্য নয় । চাইনা সেই স্বাধীনতা”।
আমার প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে নারীর পোশাক এবং নারী কি পুরুষদণ্ড খাড়াবার মহৌষধ ? এদুটো দিবসেই কি শুধু বেহাল্লাপনা হয় ? একমাস সিয়াম সাধনের পর ঈদে কিংবা পূজায় কি এরুপ দেখা যায় না ? নারীর পোশাক আর নারীর যৌনতাই কি সমাজের উন্নতির আন্তরায় ? কে কি পড়ে কীভাবে সাজুগুজু করে নিজেকে উপস্থাপন করবে এটা কি পুরুষের মর্জিমাফিক ? নারী কয়টা সম্পর্কে জড়াবে এর তসিলদারি কি পুরুষের জন্মান্তরবাদীয় পৌনঃপুনিক অধিকার ? নারীই কি বেহায়াপনার আড়ত ? সমাজের উন্নতিতে কি নারী মূল আন্তরায় ? নারীর শরীর কি তার জীব নৈবত্তিক কাঠামোর বাইরে শুধুই সেক্সের মাংসপিণ্ড ?
সহস্র বছরের পুরুষতান্ত্রিকতা চর্চায় নারীকে কখনও দেবী , কখনও মা , বৌ , রাক্ষসী , নরকের দুয়ার আরও কত কিছুই না বলা হয়েছে । ভার্জিনিয়া উল্ফের একটি বিখ্যাত উক্তি আছে তা হল “নারী সম্ভবত মহাজগতের সবচেয়ে আলোচিত প্রাণী”। আমরা আমাদের যাপিত জীবনে সবকিছুকেই পুরুষতান্ত্রিক মোড়কে পেতে চাই । তাই নারীর পোশাক , সাজুগুজু সর্বোপরি নারীর স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করি । নিজের ছাঁচে না হলে বলি বেশ্যা আর হলে দেবী । দুটোই নারীর মুক্তির দেয়ালসরূপ । প্রশ্ন তুলি নারীর চলনে, কথায় । নারীকে আস্ত একটা মনুষ্যসরূপ প্রাণী না ভেবে ভাবি দাসরুপে । তাই সকল চাহিদা পুরুষেরা চাপিয়ে দেয় নারীর স্কন্ধে ।
যা কিছু হারায় গিন্নী বলেন কেষ্টা ব্যাটাই চোর !!!!!!!!
©somewhere in net ltd.