নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্ঞানের প্রজ্জ্বলিত মশালকে নিভিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা রুখে দিন

২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০



ইরাকে অবস্থিত ইমাম আযম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহির কবর।

ইমাম আযম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রখ্যাত তাবেয়ী। জগতের আলেমকুল শিরোমনি। 'খইরুল কুরূন' তথা, উত্তম জামানাগুলোর শ্রেষ্ঠতম ফকীহ-সিপাহসালার। এ উম্মতের আধ্যাত্ম পথের অপ্রতিদ্বন্ধী রাহবার। সত্যপন্থী মুসলিম জাতির মাথার তাজ তিনি। আজকের যুগের পথচ্যুত এক শ্রেনির মানুষ তাঁকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে উল্লাস করেন। তাঁর নামে অযাচিত অপবাদের নহর বইয়ে মজা লুটে নিতে আনন্দ পান। এদের জন্য দু:খ হয়। আল্লাহ পাকের দরবারে তাদের জন্য নিরন্তর হেদায়েতের দোআ।

স্বার্থান্বেষী এই মহলটির বক্তব্য, তিনি নাকি তাবেয়ী ছিলেন না। কোনো কিতাবাদি নাকি তিনি রচনাও করেননি। তারা আরো প্রচার করে বেড়ান, ইমাম আযম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি নাকি হাদিস জানতেন না। হাদিসের উপর তাঁর নাকি তেমন দখল ছিল না। তাঁর ছাত্র, শিষ্য এবং শাগরেদগনই নাকি কিতাবের পর কিতাব রচনা করে তাঁর নামে মাযহাব চালু করেছেন। হায় সেলুকাস! অজ্ঞতার - অন্ধকারের এ কোন্ অমানিশায় নিমগ্ন এরা! অপপ্রচার - মিথ্যাচারের এ কোন্ জিহালতে ডুবন্ত এই ব্যক্তিগন! এদের জন্য সুপথপ্রাপ্তির দোআ।

তবে, এই শ্রেনির বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী জ্ঞানপাপীদের এসব অপপ্রচারে এখন আর আশ্চর্য্য হই না। খোদ রাসূলে মাকবুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে, তাঁর জীবদ্দশায় স্বয়ং আল্লাহর নবীকেও বিরুদ্ধবাদীদের পক্ষ থেকে সম্ভব-অসম্ভব সকল প্রকার অপপ্রচার, অপঘাত, মিথ্যাচার আর অন্যায় আক্রমনের সম্মুখিন হতে হয়েছে। সুতরাং, তাঁর অনুসারীগনের ভেতরে যারা সত্যের পথে অবিচল থাকবেন, তাদেরও কিছু কথা হয়তো শুনে যেতে হবে, কিছু ব্যথা, কিছু আঘাত এভাবেই যুগে যুগে হয়তো আসতে থাকবে- আর এটাইতো ধারাবাহিকতা। এটাইতো স্বাভাবিক। হাদিসেও একথার প্রমান পাওয়া যায়। আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'আশাদ্দু বালা-য়িল আমবিয়া, ছুম্মাল আমসালু ফাল আমসাল'। 'নবীদের উপর সবচেয়ে বড় পরীক্ষা এসেছে। এরপরে পর্যায়ক্রমে অন্যদের প্রতি।'

সুতরাং, যিনি যত উঁচু মর্যাদার হবেন, তাঁর পরীক্ষাও তত কঠিন হবে। ইমাম আযম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি যেহেতু মুসলিম মিল্লাতের সর্বজন স্বীকৃত ফকিহ, হাদিস বিশারদ, মুখলিস, আবিদ, অতএব তাঁর উপরে আক্রমনের মাত্রাও তেমনি কঠিন হওয়া স্বাভাবিক বৈকি। তবু, অপপ্রচার, মিথ্যাচারের ভয়াবহ অবস্থা দর্শনে কেঁপে উঠি। মনের কোনে অজান্তেই প্রশ্ন জেগে ওঠে, জ্ঞানের প্রজ্জ্বলিত মশাল, এই আলোর মিনারকে নিভিয়ে দেয়ার এত চেষ্টা কেন? দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম সাধক, হাদিসের দিকপালের নামে হাদিস না জানার অপবাদ কেন? প্রায় দেড় সহস্র বছর যাবত জগতের স্বীকৃত শ্রেষ্ঠতম ফকিহ, ফিকাহ বিশারদের নামে মিথ্যাচারের এমন হীন প্লাবন কোন্ উদ্দেশ্যে?

ইমাম আযম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহির বিরুদ্ধে যারা এই অপপ্রচার আর মিথ্যাচারের নিকৃষ্টতম অপকর্মের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন, তাদের পরিচয় দেবার নতুন কিছু নেই। তারা পুরনো ব্যবসায়ী। তারা ঈমান বিকিকিনির ব্যবসা করেন। মুসলিমদের ঈমান কিনে নেন কৌশলে। শত চেষ্টা করেও এদের জন্য অন্তরে শ্রদ্ধার আসনটি ধরে রাখা কঠিন। এরা বর্নচোরা। নিজেদের পরিচয় দিতেও জালিয়াতির আশ্রয় নেন। নিজেদের পরিচয়ে এরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারেন না, আমরা 'মুসলিম'। কায়দা কানূন করে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, মানুষদের ধোঁকায় ফেলার উদ্দেশ্যে এই ভদ্র সম্প্রদায় নিজেদের পরিচয়ে যুক্ত করেন 'হাদিস' কথাটি। এরা এই জাতীয় আরও কিছু শব্দ তাদের পরিচয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন।

আসুন, এদের চিনে নিই। এদের কৌশল বুঝে নিই। সকলের সচেতনতাই এদের চক্রান্ত রোধে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আল্লাহ পাকই ঈমান এবং আমল হেফাজতের উত্তম অভিভাবক। তাঁর কাছেই সাহায্য চাই। তাঁরই সকাশে সত্য ইতিহাস জানার তাওফিক প্রার্থনা। মিথ্যার মায়াজাল ছিন্ন করে সত্য-সুন্দরকে আকড়ে ধরার যোগ্যতা বৃদ্ধির সকাতর আবেদনও তাঁর দরবারে।

আসলে ইমামুল মুহাদ্দিসীন উস্তাযুল আসাতিযা ইমাম আযম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি যেমন স্বীয় যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফকিহ, মুনাযির, মুতাকাল্লিম, মুফতি, কাযী, রাত জাগরনকারী অাবেদ, আখেরাতমুখী, দুনিয়াবিমুখ, অশ্রুপাতকারী উম্মতের কল্যানকামী, দরদী চিন্তক ছিলেন, তেমনি বিজ্ঞ সূফী সাধক পুরুষ ছিলেন। একই সময়ে ইলম ও ফযল, যুহদ ও পরহেজগারী, তাক্কওয়া ও পবিত্রতা, ইবাদত ও আবদিয়্যাতের উত্তম প্রকাশ, অনুসরনীয় উত্তম আদর্শের বিমলিন চরিত্র মাধুর্য্য, তীক্ষ্ণ মেধা ও বিচক্ষনতাসহ মানবিক যোগ্যতার সকল বিষয়ে উচ্চমার্গতা এবং সীমিত জীবনে সীমাহীন কর্মদক্ষতা দর্শনে ঈর্ষান্বিত না হয়ে পারেন, এমন কে আছেন? এজন্যই বোধ করি, তাঁর সময় থেকে আজ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত মাযহাবের বিরুদ্ধে ঈর্ষা, হিংসা, গীবত ও মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপিত হয়ে আসছে। আল্লাহ পাকের দরবারে মিথ্যাচারের জন্য তাদের অবশ্যই একদিন দাঁড়াতে হবে। আরেকটি বিষয় উল্লেখের দাবি রাখে, মাযহাব বিরোধিতা একটি বড় ধরনের অপরাধ। কারন, এর মাধ্যমে মুসলমানদের ঈমানহীন ও বিপদগামী করার উদ্দেশ্যই প্রবল থাকে। বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম মাযহাবপন্থী এবং স্বয়ং হাদিস প্রনেতা ইমামগন মাযহাবপন্থী ছিলেন। -হাদিস চর্চায় ইমাম আযম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহির অবদান বইয়ের ভূমিকার একটি অংশ। কিছুটা পরিমার্জিত।

ইমাম আযম আযম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহির জীবনী নিয়ে অসংখ্য কিতাব রচিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী প্রচলিত নানা ভাষায়। আলহামদুলিল্লাহ, বাংলা ভাষায়ও রয়েছে তাঁকে নিবেদিত অনেক প্রকাশনা। তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনালেখ্যসহ হাদিস শাস্ত্রে তিনি কতখানি গভীর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন তার প্রমান পাবেন নিচের সুলিখিত বইটিতে। বিদগ্ধ ব্লগার এবং পাঠক বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক আহবান, আসুন, তাঁর জীবনালেখ্য অধ্যয়ন করে মহান এই জ্ঞানতাপসকে জানার চেষ্টা করি, বিশ্ববাসীর কল্যানের জন্য জ্ঞানের পথে-আলোর পথে তাঁর নিরন্তর এবং আমৃত্যু সাধনা উপলব্ধি করে অপপ্রচারে লিপ্ত ভ্রান্ত শ্রেনির মুখোশ উম্মোচনে সজাগ ভূমিকা রাখি-

হাদিস চর্চায় ইমাম আযম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহির অবদান





ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত ইমাম আযম মাসজিদ।



ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত ইমাম আযম মাসজিদের আরেকটি ভিউ।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
বাস্তব সত্য উনি একজন জ্ঞানীগুণী মানুষ ছিলেন।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ। সত্য উচ্চারনে অভিনন্দন।

অনেক ভাল থাকুন।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আমি বুঝিনা চার মাযহাবের মধ্যে মৌলিক বিষয়ে কোন মতপার্থক্য নেই তবে সামান্য কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য আছে যে গুলো নগণ্য ধর্তব্যের মধ্যে নয় অথচ কিছু লোক এই নগণ্য মতপার্থক্য নিয়ে শতাব্দী শ্রেষ্ঠ আলেমদের কতইনা ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে! ভাবতে অবাক লাগে এই বিদ্রুপকারীরা সত্যিই কি মুসলিম?

২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। সুন্দর কথা বলেছেন। ধন্যবাদ।

যাদের কথা বলা হয়েছে, তারা সকল ভব্যতা ছাড়িয়ে। তাদের পছন্দের ইমামের অনুসরন তারা ঠিকই করেন, আবার ফতোয়া দিয়ে বেড়ান, মাযহাব মানা হারাম।

ভাল থাকুন অনেক।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্ঞানের উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি এদের সীমাহীন বেআদবি দেখে, এদের ব্যঙ্গ বিদ্রুপ দেখে, যাচ্ছেতাই অপপ্রচার দর্শনে স্তম্ভিত হয়ে যাই।

হায় হায়! এই বুঝি তোমাদের আদর্শ!

আল্লাহ পাক যদি হেদায়েত দান করেন।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আরবেরা শিয়া, সুন্নী, ওয়াহাবী, আহমেদিয়াতে ভাগ হওয়ার পেছনে কাহারা ছিলেন? তাদের এই বিভক্তি তাদের দেশ, মানুষ সব ধ্বংস করে দিয়েছে; আগামীতে বিভক্তি বাড়বে, নাকি কমবে?

২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্যের উত্তর টারজান০০০০৭ দিয়ে দিয়েছেন।

ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

আবু আফিয়া বলেছেন: ইমাম আবু হানিফা (রহ) নি:সন্দেহে আল্লাওয়ালা মানুষ ছিলেন।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক ভাল কথা বলেছেন। জাজাকুমুল্লাহ।

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সুন্দর লেখা। ধন্যবাদ নকিব ভাই।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



এসব বিষয়ে নিতান্ত বাধ্য হয়েই কলম ধরতে হয়। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তখনই কেবল কলমের আশ্রয় নিতে হয়।

জাজাকুমুল্লাহু খাইর।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এসবের পিছনে সউদ গং এর কাঁচা ডলারের লোভ কাজ করে!

অজ গাঁয়ে গিয়েও অবাক! গায়ের লোক দীনহীন কিন্তু মসজিদে টাইলস!!!!
আহলে হাদী নামে, ওহাবী গং সউদ শয়তানের দোসরদের তেলের কাঁচা টাকায় মানুষের ঈমান কিনে নিচ্ছে!
আর গরিব, অসহায় সাধারন বিশ্বাসীরা তাদের বাহ্য লেবাসে, আপাত মিষ্টি কথায় তাদের ফাদে পা দিচ্ছে!

তাদের ষ্টাইল লাল সালুর মজিদের মত! জ্ঞানে হেরে গেলেই-দাড়ি নাই কেন মিয়া! টাইপ কোনঠাসা করা যুক্তি দিয়ে
প্রতিবাদী মূখ গুলো বন্ধ করতে চায়!

সুন্নীয়াতের অনুসারীদের একত্রিত হয়ে এক যোগে কাজ করতে হবে।
নবীর প্রকৃত অনুসরন আর কর্ম দিয়েই সত্যালোক জ্বালাতে হবে।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সবের পিছনে সউদ গং এর কাঁচা ডলারের লোভ কাজ করে!

অজ গাঁয়ে গিয়েও অবাক! গায়ের লোক দীনহীন কিন্তু মসজিদে টাইলস!!!!
আহলে হাদী নামে, ওহাবী গং সউদ শয়তানের দোসরদের তেলের কাঁচা টাকায় মানুষের ঈমান কিনে নিচ্ছে!
আর গরিব, অসহায় সাধারন বিশ্বাসীরা তাদের বাহ্য লেবাসে, আপাত মিষ্টি কথায় তাদের ফাদে পা দিচ্ছে!


-যথার্থ বলেছেন। অবস্থা ক্রমাবনতির দিকে। অর্থের লোভে অনেক মানুষ বিভ্রান্ত। এরা ফাঁদ পেতেছে। ফাঁদে ফেলে ঈমান কিনে নিচ্ছে মানুষের।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের পতাকাতলে বিশ্ব মুসলিমকে একত্রিত করতে হবে। শুধু মুখে নয়, আমলে-আখলাকে, সীরাতে-সূরতে সত্যিকারার্থে পরিপূর্ন সুন্নতের অনুসারী হতে হবে আমাদের।

অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন নিরন্তর।

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আরবেরা শিয়া, সুন্নী, ওয়াহাবী, আহমেদিয়াতে ভাগ হওয়ার পেছনে কাহারা ছিলেন? তাদের এই বিভক্তি তাদের দেশ, মানুষ সব ধ্বংস করে দিয়েছে; আগামীতে বিভক্তি বাড়বে, নাকি কমবে?

@চাঁদগাজী

বিভক্তি কাহাদের মধ্যে নাই কাহু ? খোদ বামাতীদের ১২ জন তের খান দল খাড়া কইরা একে অপরের ইয়ে মারিতেছে ! রাজনীতির কথা বাদ দিলাম। অন্য ধর্মগুলোর সেক্টগুলোও গুনিয়া শেষ করা যাইবে না ! হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, ইহুদি সবধর্মেই বিভক্তি আছে ! পার্থক্য হইল তাহারা নিজেদের স্বার্থে একত্রিত হইতে পারিতেছে, মুসলমান পারিতেছে না ! কারণ, একত্রিত হওয়ার সূত্রগুলোতেই ব্যাপক দুর্বলতা আসিয়া গিয়াছে ! আগামীতে কমার সম্ভাবনা নাই ! প্রফিসি এমনই !

২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর জবাব দিলেন চাঁদগাজী ভাইকে। অনেক শুভকামনা।

ভাল থাকুন।

৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

সূচরিতা সেন বলেছেন: সুন্দর লেখা।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকে ধন্যবাদ।

অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

আলোর পথে বিডি বলেছেন: "নিজেদের পরিচয় দিতে এরা জালিয়াতির আশ্রয় ন্যায় ।নিজেদের পরিচয়ে মুসলিম না বলে 'হাদিস'এর নাম যুক্ত করে মানুষ কে ধোঁকায় ফেলতে চান এই শ্রেণিটি। "
কথাগুলির সাথে একমত নই। 'আহলে হাদিস' মুসলিমদের একটা বৈ শিষ্ট গত নাম। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) কে তারা সম্মান করেন।‘‘ইলমুল ফিকহ ও এর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ে নেতৃত্বের মর্যাদা এ ইমামের জন্য সংরক্ষিত। এতে কোনোই সন্দেহ নেই। "
‘‘আল্লাহর দীন বিরোধী সকল কিছুকে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন আপোষহীন। তিনি অত্যন্ত পরহেযগার ও আল্লাহভীরু ছিলেন। দীনের বিষয়ে না জেনে কিছুই বলতেন না। তিনি চাইতেন যে, আল্লাহর আনুগত্য করা হোক এবং তার অবাধ্যতা না হোক। তিনি তাঁর যুগের দুনিয়ামুখি মানুষদেরকে পরিহার করে চলতেন। জাগতিক সম্মান-মর্যাদা নিয়ে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করতেন না। গভীর জ্ঞানের অধীকারী হওয়া সত্ত্বেও তিনি অধিকাংশ সময় নীরব থাকতেন এবং চিন্তা-গবেষণায় রত থাকতেন। বেশি কথা বলা বা বাজে কথা বলার কোনো স্বভাব তাঁর ছিল না। কোনো মাসআলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি শ্রুতি বা হাদীসের ভিত্তিতে তার জবাব দিতেন। সে বিষয়ে কোনো শ্রুতি না থাকলে সঠিক কিয়াসের মাধ্যমে উত্তর দিতেন ও তা অনুসরণ করতেন। তিনি তাঁর নিজেকে ও তাঁর দীনকে সংরক্ষণ করতেন। তাঁর জ্ঞান ও সম্পদ তিনি অকাতরে খরচ করতেন। তিনি সকল মানুষের থেকে নিজেকে অমুখাপেক্ষী রাখতেন। কোনো লোভ তাকে স্পর্শ করতো না। তিনি গীবত বা পরচর্চা থেকে দূরে থাকতেন। কারো কথা উল্লেখ করলে শুধু ভাল কথাই বলতেন।’’
তাঁর রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে: (১) আল ফিকহুল আকবার, (২) উসমান আল-বাত্তীকে লেখা চিঠি, (৩) আল-আলিম ওয়াল-মুতায়াল্লিম, গ্রন্থটি মুকাতিল তাঁর থেকে বর্ণনা করেছেন, (৪) আর-রাদ্দ আ’লাল-কাদারিয়াহ।’’

জাজাক আল্লাহ খাইরান ।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



'আহলে হাদিস' মুসলিমদের একটা বৈ শিষ্ট গত নাম। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) কে তারা সম্মান করেন।‘‘ইলমুল ফিকহ ও এর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ে নেতৃত্বের মর্যাদা এ ইমামের জন্য সংরক্ষিত। এতে কোনোই সন্দেহ নেই। "

-আপনি নি:সন্দেহে একজন ভাল মানুষ। আপনার মন্তব্যই তা প্রমান করে। আহলে হাদিস হয়েও হয়তো তাদের পরিপূর্ন নীতিতে আপনি বিশ্বাসী নন। আপনার জন্য আন্তরিক দোআ।

তবে, আপনার প্রতি অনুরোধ থাকবে, নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে এই গোষ্ঠীর মানুষজনের আচরন লক্ষ্য করে দেখুন। তাদের হাসি-তামাশা আর উপহাসের পাত্র সালাফ-সালেহীনগন। যা, এই জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। সাহাবীগনের অনেকে পর্যন্ত এদের আক্রমনের শিকার।

নি:সঙ্কোচে, নি:শর্তভাবে ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি কিংবা আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানি রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগনকে এরা যখন ফলো করেন, তখন তা 'মাযহাব' মানা যেমন হয় না, আবার 'অন্ধ অনুকরনের কারনে' তা হারাম সাব্যস্তও হয় না। হারাম শুধু ইমাম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহিসহ বাকি তিন ইমামের অনুসরন।

যাদের দিয়ে দ্বীন ইসলাম পেলাম, যাদের সাধনা আর আজীবনের ত্যাগ-তিতিক্ষার ফসল ভোগ করে নিজেদের মুসলমানিত্ব টিকিয়ে রাখি, তাদের গালি-গালাজ না করলে পেটের ভাত হজম হয় না- এই না হলে প্রকৃত মুসলিম! হায়রে অভাগা জাতি! হায়রে দুর্ভাগা জাতির করুন পরিনতি!

নিতান্ত অপারগ না হলে এই পোস্ট দেয়ার চিন্তায় যেতাম না। তবু এই পোস্ট এবং মন্তব্যের কথাগুলোর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আসলে, আমাদের সকলেরই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভেদ ভুলে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে একে অপরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত। সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, আমরা আজ করছি কী? আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত! আমাদের যদি লজ্জা বলতে কিছু থাকতো!

সুন্দর মন্তব্যে অকপটে আপনার সত্যের স্বীকৃতি দেখে ভাল লাগলো। জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।
আপনার জন্য শুভকামনা আবারও।

১০| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান বলেছেন: ইমাম আবু হানিফা (রঃ)‘‘ইলমুল ফিকহ ও এর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ে নেতৃত্বের মর্যাদা এ ইমামের জন্য সংরক্ষিত। এতে কোনোই সন্দেহ নেই।"
আলোর পথে বিডি ভাই ভালো বলেছেন|
নতুন নকিব ভাই ভালো লিখেছেন, কয়েকটি অংশ বিশেষ করে কারো প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা ঠিক হয়নি|আল্লাহ সবাইকে সঠিক ইসলাম বুঝার ও মানার তৌফিক দান করুন | আমিন |

২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



আলোর পথে বিডি ভাই ভালো বলেছেন। আপনিও ভাল বলেছেন। তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। আপনাকেও পাঠ এবং মন্তব্যে আসায় অভিনন্দন জানাচ্ছি।

তবে, আমার কোন্ কোন্ অংশে বিদ্বেষমূলক কথা এসেছে দয়া করে যদি ক্লিয়ার করতেন, অনেক খুশি হতাম। সংশোধনেরও হয়তো সুযোগ পেতাম।

জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা আহসানাল জাজা।

১১| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: প্রাথমিক যুগে মানুষের ইমান ছিল পাঁকা আর মসজিদ ছিল কাঁচা, আর বর্তমানে মানুষের ইমান হয়েছে কাঁচা আর মসজিদ হয়েছে পাঁকা।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



এক্সাক্টলি। মোস্ট ওয়েলকাম।

কেমন আছেন প্রিয় ভাই?

১২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

আলোর পথে বিডি বলেছেন: সালাফদের অনুসব্রনে আছে মুসলিমদের মুক্তি ।অযথা হানাফি, সাফি, মালিকি , হাম্বলি বা আহলে হাদিস নিজেদের মধ্যে ছোট খাট বিষয়ে মত পার্থক্য কে সামনে নিয়ে এসে মতানৈক্য কে মতবিরোধ , মতবিরোধকে দৃষ্টিকটু ভাবে ঝগড়ায় রূপান্তরিত করে ফেলি । যা বিশ্ব মুসলিম এর জন্য ফেতনা । আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন ।

নতুন নকিব ভাই, সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। জাজাক আল্লাহ খাইরান ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আবারও কষ্ট করে অত্যন্ত সুন্দর মন্তব্য নিয়ে আসায় অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা আপনাকেও। ভাই, মাফ করবেন, আগেই বলেছিলাম, নিতান্ত বাধ্য হয়েই এই পোস্ট দেয়া। কারও কারও উগ্র আচরন দেখে যখন আহত হতে হতে, হৃদয়ে রক্তক্ষরন ঘটতে থাকে, তখন বোবা চোখ মানে না। অন্তরের কান্না চোখের অশ্রু হয়ে ঝড়ে পড়ে। এই লেখাগুলো যেন অশ্রুরই এক একটি আঁচর। অশ্রুর আঁচর থেকেই যেন এই পোস্ট। তবু বলি, দ্বন্ধ নয়, সংঘাত নয়, আসুন, মুসলিম মিল্লাত একতাবদ্ধ হই। বিশ্বজুড়ে মার খাওয়া এই জাতিটার ভবিষ্যত উজ্জ্বল করি। ছোটখাট অসঙ্গতি ভুলে গিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যাই। তাওহীদের পতাকাকে সমুন্নত করে আখেরাতের অন্তহীন জীবনের সঞ্চয়ে কোমর বাঁধি।

জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা আহসানাল জাজা'।

১৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান বলেছেন: "নিজেদের পরিচয় দিতে এরা জালিয়াতির আশ্রয় ন্যায় ।নিজেদের পরিচয়ে মুসলিম না বলে 'হাদিস'এর নাম যুক্ত করে মানুষ কে ধোঁকায় ফেলতে চান এই শ্রেণিটি।"

গুটি কয়েক 'হয়তো অল্পবিদ্যা সম্পন্ন আহলে হাদিস' বা 'আহলে হাদিস' নামধারীরাই ইমাম আবু হানিফা কে নিয়ে কটূক্তি করে থাকে 'প্রকৃত আহলে হাদিসগণ' ইমাম আবু হানিফাকে শ্রদ্ধা করে সম্মান করে ,এটা আমার দেখা অভিজ্ঞতা |জাজাক আল্লাহ খাইরান |

পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ নয় চাই মহব্বত |

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার দেখা অভিজ্ঞতা যদি সকলেরই নসিব হত!

অনেক সুন্দর মন্তব্য নিয়ে পুনরাগমনে কৃতজ্ঞতা আবারও।

আপনার অবারিত কল্যান করুন মহান আল্লাহ তাআ'লা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.