নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
প্রতিটি দিন যায় আর আমরা যেন নতুন নতুন পাপের আগমন দেখি। নতুন নতুন বিভীষিকা আমাদের বিবেককে দংশন করার জন্যই যেন আমাদের বেঁচে থাকা। ভেবে আকুল হই, কেন পুরনো ঘটনাটির চেয়ে নতুনটি আরও বহুগুনে বিভতস, বিভীষিকাময় এবং লোমহর্ষক হয়ে দেখা দেয়! গত কয়েক দিনে আমাদের দেশে বিদেশে বেশ কিছু মর্মান্তিক, অবর্ননীয় এবং রীতিমত অমানবিক ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। দখলদার ভারতের উগ্রবাদীরা বিশ্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, মন্দিরকে কিভাবে লাগাতার পালাক্রমে ধর্ষনের জন্য নিরাপদ আস্তানায় পরিনত করা যায়। অষ্টম বর্ষে পদার্পনকারী নিষ্পাপ একটি নাবালিকাকে আট দিন ধরে খুঁচিয়ে খুচিয়ে এমন নির্মম এবং পৈশাচিক উল্লাসে হত্যা করার ঘটনা বিশ্ব বোধ হয়, ইতিপূর্বে প্রত্যক্ষ করেনি। আফগানের কুন্দুজে ঘটে গেল এর আগে আরেক মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক গনহত্যার ঘটনা। পাইকারীভাবে সেখানে মাদরাসার নিরপরাধ কুরআন হিফজ সমাপনকারী ছাত্রদের হত্যা করা হয়েছে, যা বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়ে গেছে।
কুরআনুল কারীম হিফজ করার রীতি রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুরু হয়ে অদ্যাবদি চলে এসেছে। ইনশা-আল্লাহ তাআ'-লা চলতে থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সর্ব প্রথম এবং জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ হাফিজ কে ছিলেন আপনার কি জানা আছে? তিনি আর কেউ নন, রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুল আমবিয়া ওয়াল মুরছালীন সাইয়িদুনা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হ্যাঁ, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন প্রথম, প্রধান এবং সর্বশ্রেষ্ঠ হাফিজে কুরআন। তিনি কুরআনুল কারীম মুখস্ত করার জন্য তাঁর জিহবাকে দ্রুত চালনা করলে, আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় হাবিবের সেই কষ্টটুকুও বরদাশত করেননি। তিনি সাথে সাথে জিবরাইল আলাইহিসসালামকে ওহি নিয়ে পাঠান-
لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ
তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্যে আপনি দ্রুত ওহী আবৃত্তি করবেন না।
إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ
এর সংরক্ষণ ও পাঠ আমারই দায়িত্ব।
فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ
অতঃপর আমি যখন তা পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠের অনুসরণ করুন।
ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ
এরপর বিশদ বর্ণনা আমারই দায়িত্ব। (সূরাহ আল ক্কিয়ামাহ, আয়াত ১৬-১৯)
কুরআনুল কারীম হিফজ সমাপনান্তে ক্ষুদে হাফেজদের পাগড়ি প্রদানের রীতিও পুরনো। সম্মানের পাগড়ি তাদের পড়িয়ে দেয়া হয় অানুষ্ঠানিকভাবে। অাফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের একটি মাদ্রাসাও এর ব্যতিক্রম ছিল না। সেখানে আয়োজন করা হয়েছিল পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠানের। কিন্তু সেখানকার নিষ্পাপ কচিকাঁচা হাফেজ ছাত্ররা পাগড়ি পাননি। তাদের জন্য আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পর্যবসিত হয়েছে ভয়াবহ শোকের আবহে। তারা বোমার তাজা স্পিলিন্টার পেয়েছেন। তাদের বুক ঝাঁঝড়া হয়েছে যার আঘাতে। কলিজা বিদীর্ন হয়েছে ছোট্ট কুরআনের পাখিদের। শরীর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ক্ষত বিক্ষত হয়েছে তাদের কচিমুখ। থেঁতলে গেছে তাদের নরম দেহের মাংসপিন্ডগুলো। বোমার আঘাতে ঝলসে গেছে হাত-পা। নিথর নিস্তব্দ হয়ে গেছে তাজা কুরআনের পাখিদের তাজা প্রান। তারা আর গাইবে না। পাখির মত করে পৃথিবীকে তারা আর কুরআনের সুর শোনাতে আসবে না। তারাবীহর জামাআতে কুরআনের মিষ্টি মধুর তিলাওয়াতে তারা আর কখনও মাতিয়ে দিবে না মুসল্লিদের প্রান মন। তাদের তিলাওয়াতের সুমধুর সুরের তন্ময়তায় হারিয়ে যাবেন না তাদের হতভাগা বাবা মায়েরা। তারা পৃথিবীর আলো বাতাসের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। অকালে ঝড়ে গেছেন ফুল হয়ে না ফুটতেই। কুরআনের সুরভিত সুরের মূর্চ্ছনায় জগত আলোকিত করার অভিপ্রায় তাদের পূর্ন বিকশিত হয়ে ধরা দিল না। বোমার আঘাতে তাদের স্বপ্নগুলো পিষ্ট হয়ে গেল কুন্দুজের পাহাড়ি মাটির অন্তরালে।
বর্বরোচিত মানবতার মূলে কুঠারাঘাতকারী নির্মম এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বিশ্বব্যাপী তথাকথিত মানবতার ঠিকাদার ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনীর নেতৃত্বে দেশটির সেনাবাহিনী। সংবর্ধনাস্থলে, মাদরাসা মসজিদ কম্পাউন্ডের ওপর বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। এতে প্রান হারিয়েছেন প্রায় ১৫০ ক্ষুদে হাফেজ। শুধু নিষ্পাপ ছাত্রগনই নন, তাদের শিক্ষক ও অভিভাবকরাও রয়েছেন লাশের সারিতে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে- নিহতের সংখ্যা অন্তত ২০০ এর কম হবে না। চলতি মাস অর্থাত, ০২ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার এই বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। আল-জাজিরা, ওয়াশিংটন পোস্টসহ বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সংবাদ মাধ্যম যার সংবাদ প্রচার করেছে।
তালিবানদের না কি খুঁজছিলেন হামলাকারী বোমাবাজগন। বলি, তালিবানদের ধরার নামে তোমরা সাধারন মানুষের উপর নির্বিচার বোমা বর্ষন করলে কেন? নিরীহ হাফেজে কুরআন মাসুম বাচ্চাদের রক্তে তোমাদের হাত রাঙালে কেন? খুনের নেশায় তোমরা কি অন্ধ হয়ে গিয়েছো? শত মায়ের বুক খালি করার স্পর্ধা কেন দেখালে, হে বোমার অধিকারী সভ্যগন? তোমাদের উত্থিত আস্পর্ধা, হিংস্র অমানবিকতা, রোবটতুল্য মমতাহীনতা, এই নিরেট জংলী আচরনের পরেও কি তোমরা নিজেদের সভ্য দাবি কর? করতে পার? করার অধিকার থাকতে পারে? তোমরা কি তোমাদের বিবেকের কাছে একবার প্রশ্ন করে দেখবে, পৃথিবীতে সবচে' বড় জঙ্গী এখন কারা? সে কি তোমরা নও? তোমরা নও?
এই সংক্রান্ত নিউজের কয়েকটি লিঙ্ক-
Afghan Air Attack In Kunduz Killed 101 Hafiz e Quran On Their Awarding Ceremony
Afghanistan: 'Civilians killed' in attack on Kunduz madrassa
কুরআনের ক্ষুদে হাফেজরা পাগড়ির বদলে পেল বোমা
আবারও ফিরে এলাম: হ্যাঁ, আবারও ফিরে এলাম। না বলে পারছি না বলে। পোস্টটি পাবলিশ করার পরে দেখি, শততম পোস্ট এটি। সকলকে মোবারকবাদ এ অধমের শততম পোস্টে। সামু ভাল থাকুক। ভাল থাকুন সকল ব্লগারবৃন্দ। বাংলা ভাষার প্রিয় এই ঠিকানায় স্থান খুঁজে নিক বিশ্বের অগনন মুক্তিকামী মানুষ। তাদের প্রানের কথা মূর্ত হয়ে উঠুক সামুর আলোয়।
আমরা না থাকলেও সামু যেন কথা বলে যায় বঞ্চিত মানবতার পক্ষে। যুগে যুগে। কালে কালে।
পুনশ্চ: নিরাপরাধ হাফেজে কুরআনদের নির্মম হত্যাযজ্ঞের এই করুন বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন ব্লগার 'ক্স'। তিনি এ বিষয়ে একটি পোস্টও দিয়েছিলেন। ব্যস্ততার কারনে যথাসময়ে পোস্ট দিতে পারিনি। কিছুটা দেরি হল বলে দু:খ প্রকাশ করছি। তাকে উৎসর্গ করছি এই পোস্টটি। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। তার ব্লগ- ক্স এর ব্লগ
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
শুভকামনা অশেষ।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নিন্দা জানাবার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা,
আবু লাহাবের দুই হাত ধ্বংস হোক।
ধ্বংস নেমে আসুক তার নিজের উপরেও
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
মোবারকবাদ। সুন্দর মন্তব্যে অভিনন্দন। এ যুগের খুনি আবু লাহাবদের জন্য আপনার কামনা প্রতিফলিত হোক।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪২
ক্স বলেছেন: আমার অনুরোধ রাখার জন্য ধন্যবাদ। আমার লেখা পোস্ট সবার পড়ার জন্য উম্মুক্ত নয়, তারপরেও ৯০ বার পড়া হয়েছে, ১২ টি মন্তব্যও এসেছে। এরকম হৃদয় বিদীর্ণ করা ঘটনা নিয়ে সামুর প্রথম পাতায় এক্সেস পাওয়া ব্লগারদের কারো মাথাব্যাথা না দেখে বেশ বিচলিত হয়েছিলাম। আপনি তা থেকে মুক্তি দিলেন। আমার নিচের কথাগুলো দোয়া করে ইতিবাচক ভাবে নেবেন।
হাফেজরা যদিও অন্তরে নূর ধারণ করে, কিন্তু দেশজ উৎপাদনে তাদের সত্যিকারের কোন অবদান নেই। তাদের উপার্জন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্যের দয়া দাক্ষিণ্যের উপর নির্ভরশীল। এদের বেশিরভাগই সমাজের জন্য বোঝা বই কিছু নয়। তবে এটা ঠিক, তাদের বাবা-মায়েরা হাশরের দিনে ভিয়াইপি মর্যাদা পাবেন। এই শিশুরা মারা যাওয়ায় সেদিক থেকে দুটো লাভ হলঃ
১। তাদের বাবা-মায়ের ভিয়াইপি স্ট্যাটাস বজায় থাকল।
২। দেশের বোঝা তারা খানিকটা কমিয়ে দিয়ে গেল।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা। আপনার দ্বিতীয় অংশটি নিয়ে ইনশা-আল্লাহ পরবর্তীতে মতামত দেয়ার ইচ্ছে থাকল।
শুভকামনা নিরন্তর।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
হাফেজরা যদিও অন্তরে নূর ধারণ করে, কিন্তু দেশজ উৎপাদনে তাদের সত্যিকারের কোন অবদান নেই। তাদের উপার্জন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্যের দয়া দাক্ষিণ্যের উপর নির্ভরশীল। এদের বেশিরভাগই সমাজের জন্য বোঝা বই কিছু নয়। তবে এটা ঠিক, তাদের বাবা-মায়েরা হাশরের দিনে ভিয়াইপি মর্যাদা পাবেন। এই শিশুরা মারা যাওয়ায় সেদিক থেকে দুটো লাভ হলঃ
১। তাদের বাবা-মায়ের ভিয়াইপি স্ট্যাটাস বজায় থাকল।
২। দেশের বোঝা তারা খানিকটা কমিয়ে দিয়ে গেল।
--- পৃথিবীর স্রষ্টা এবং মালিক মহান আল্লাহ তাআ'লা। মহাগ্রন্থ আলকুরআন তাঁর অমৃতমাখা ঐশী বানী। মালিকের বানী কন্ঠস্থ যারা করবেন, তাদের জন্য তাঁর হাবিব, প্রিয় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরকালে জান্নাতের উঁচু মর্যাদা প্রাপ্তির সুসংবাদ শুনিয়েছেন অনেক হাদিসে। তারা (হাফেজে কুরআনগন) নিজেরাই শুধু জান্নাতে যাবেন না, একজন হাফেজে কুরআন কমপক্ষে অন্য (দশ জনের) জন্য সুপারিশ করার ক্ষমতালাভের মর্যাদায়ও ভূষিত হবেন, যাদের প্রত্যেকের জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং, হাশরের দিন, পরকালে হাফেজে কুরআনদের এই ভিআইপি মর্যাদা যে দেয়া হবে তাতে সন্দেহ নেই। এখন প্রশ্ন হল, দুনিয়াতেও তারা ভিআইপি মর্যাদা কেন পাবেন না? অথবা, পাচ্ছেন না?
এর উত্তর আমার মনে হয়, প্রথমত: তাদের দায়িত্ব গ্রহনের কথা ছিল রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র সেটা না করার কারনে, সমাজের উপর এসে পড়েছে তাদের ভরনপোষনের এই দায়িত্ব। তারা ছাত্রদের কুরআন হাদিস শেখান। এর মধ্যেই তারা মগ্ন থাকেন। আল্লাহ পাক তাদের রুজি রোজগারের ব্যবস্থা এর মাধ্যমেই করে দেন। এতে তাদের ভিআইপি স্ট্যাটাস তো ঠিকই থেকে যায়।
দ্বিতীয়ত: এই যে তারা সমাজের সাথে মিলেমিশে থাকেন। সমাজ তাদের প্রতি ভালবাসার হাত সম্প্রসারিত করে দেয়, এর মাধ্যমে আল্লাহ পাক হয়তো সমাজের লোকদের নাজাতের এক একটি উসিলা তৈরি করার সুযোগ আমাদের দিয়ে দিচ্ছেন। এটাও তো নি:সন্দেহে শুকরিয়া আদায়ের বিষয়।
আলহামদুলিল্লাহ। আর হাফেজে কুরআনগন দেশের বোঝা হবেন কেন? বরং, কোনো দেশ ও জনপদে হাফেজে কুরআন না থাকলে, সেটাকে সেই দেশ ও সমাজের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয় মনে করি আমরা।
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নিন্দা ও ঘৃনা জানাই ওদের যারা এমন বর্বচিত হামলা করেছে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
শাস্তিও যোগ করলাম। ধন্যবাদ।
৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: নিন্দা জানাবার ভাষা নেই। কিন্তু ওদের রুখবে কে? আমাদের একতা কোথায়? সৌদি নতুন প্রিন্স তো পাগল কুত্তা!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই! কার গোয়াল কে দেয় ধুয়া? আমাদের অবস্থা তো সেরকমই। দুআ করুন, এই অবস্থা থেকে মুসলিম জাতিকে আল্লাহ পাক উদ্ধার করুন।
ভাল থাকবেন।
৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মহান আল্লাহ নিশ্চয় এই সব জালিমদের উপযুক্ত শাস্তি দিবেন।
এই সব ঘটনা দেখলে সত্যি মনটা বিষাদে ভরে যায়।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। অবশ্যই মহান আল্লাহ এদের পাকড়াও করবেন। আমরা তো নগদটা দেখি, তাই বিচলিত হই।
৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭
তানভির জুমার বলেছেন: পশ্চিমারা মালালাদের মাথায় গুলি লাগিয়ে নোভেল দেয় আর কোরআনে হাফেজদের বিনা কারণে মেরে ফেলে। ধিক্কার জানাই তথাকথিত পশ্চিমা মানবতাবাদীদের কে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
এটাই ওদের মানবতার ধরন। এই তথাকথিত মানবতার ফেরি করেই ওরা বিশ্বকে শাসন এবং শোষন করে যাচ্ছে। ওদের দিকে আঙুল তোলে সাহস কার?
ধন্যবাদ।
৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭
সনেট কবি বলেছেন: এটাই যদি ওদের সভ্যতা হয় তবে অসভ্যতা কাকে বলে?
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
'অসভ্যতা' বলতে ওদের সংবিধানে কিছু যদি থাকতো তাহলে নিরপরাধ, নিরীহ কুরআনের ফুল পাখিদের উপর এমন নির্মম মানবতাবিরোধী হত্যাযজ্ঞ চালায় কী করে? আপনি কি মনে করেন, এর জন্য তারা অনুতপ্ত? কোনও ধরনের অনুশোচনা কি তাদের দগ্ধ করেছে এই পাশবিক হত্যাকান্ডের ঘটনায়? আমার তো মনে হয়, মোটেই নয়।
৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: নকিব ভাই এই রকম পোষ্ট দিয়েন না। খুব কষ্ট হয়। খুব।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার অনুভূতি শক্তি তীব্র। আর কেউ না বুঝলেও আমি অনুভব করি। স্পর্শকাতরতা যাদের কাঁদায়, তারা জগতের আলো। শক্ত, কঠোর, হৃদয়হীনরা দয়াময়ের দয়া থেকে বঞ্চিত।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
পোস্ট দেয়া মানে, একটু কাঁদতে পারা, কান্নার সুযোগ পাওয়া। এছাড়া আর কিছু করাতো আমাদের ক্ষমতার বাইরে। আমরা শুধু কাঁদতে পারি। এটা এখনও কেউ ছিনিয়ে নিতে পারেনি। দু'হাত তুলে মালিকের দরবারে কাঁদি, আসুন। কিন্তু, আমরা তো কাঁদতেও ভুলে গেছি। আসুন, হৃদয়হীনদের দুনিয়া সাফাইর এসব কলিজায় কাঁপন ধরানো দৃশ্য দেখে দু'দন্ড কেঁদে যাই।
১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: নিন্দা জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই। মর্মান্তুদ এবং হৃদয় বিদারক এসব মানবতা বিরোধী গনহত্যার ঘটনা সুশীল নামক প্রানীদের চোখ এড়িয়ে যায়। মুষ্টিমেয় ব্যতিত বিশ্ব মিডিয়ার অধিকাংশও বরাবরই এগুলোতে অন্ধ।
১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
এভো বলেছেন: ভাই আপনি ক্স সাহেবের অনুরোধে এই ব্লগটি লিখেছেন , তাহোলে এখন মুসলমানদের হাতে মুসলমানদের মর্মান্তিক মৃর্তুর ঘটনা কিন্তু অনেক বেশি হচ্ছে - অমুসলনিমদের হাতে মুসলমানদের মৃর্তুর ঘটনার চেয়ে । আমি চাই এই বিষয়ে আপনি যদি কিছু লিখেন এই ব্লগে । অনেকে মুসলমানের হাতে মুসলমানদের নিগ্রহটাকে এক তরফা ভাবে সম্রাজ্য বাদের সরযন্ত্র বলে এক লাইনে শেষ করে দেয় কিন্তু আমি মনে করি এটা শুধু অমুসলিমদের সরযন্ত্র বলে দায় এড়ানো যায় না , মুসলমানদের ভিতরে বিভক্তি আছে বলে অনেক সুযোগ সন্ধানি সুযোগ নেয় এবং এই বিভক্তি না থাকলে এটা হতো না। আপনি যদি দয়া করে লিখেন তাহোলে খুব ভালো হয় । আমার যেহেতু প্রথম পাতায় লিখার এক্সেস নেই তাই আমি এখন লিখা পোষ্ঠ করা বন্ধ করে দিয়েছি শুধু মন্তব্য করি । ধন্যবাদ
২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ছয় মাস পেরিয়ে গেল, অথচ এখনও আপনার প্রথম পাতার এক্সেস হল না? আপনার অনুরোধ রক্ষা করার চেষ্টা থাকবে। তবে, আমাকে এ ব্যাপারে সূত্র উল্লেখ করে তথ্য দিয়ে যদি সাহায্য করেন, কৃতজ্ঞ থাকব।
হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনি পোস্ট দেয়া বন্ধ করবেন না। ভাল ভাল বিষয় নির্ধারন করুন। আকর্ষনীয় উপস্থাপনার মাধ্যমে নিয়মিত পোস্ট দিতে থাকুন। বানান এবং লেখার মানের দিকে একটু লক্ষ্য রেখে চললেই হল। আমরা আপনার জন্য রিকোয়েস্ট করব। আমি কথা দিতে পারি, মানসম্মত পোস্ট দেয়া অব্যহত রাখলে আপনি অবশ্যই প্রথম পাতায় যাবেন। সম্মানিত মডারেটরবৃন্দ আশা করি, আপনার প্রতি তাদের সদয় দৃষ্টি দিবেন।
ভাল থাকবেন।
১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
টারজান০০০০৭ বলেছেন: হাফেজরা যদিও অন্তরে নূর ধারণ করে, কিন্তু দেশজ উৎপাদনে তাদের সত্যিকারের কোন অবদান নেই। তাদের উপার্জন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্যের দয়া দাক্ষিণ্যের উপর নির্ভরশীল। এদের বেশিরভাগই সমাজের জন্য বোঝা বই কিছু নয়। তবে এটা ঠিক, তাদের বাবা-মায়েরা হাশরের দিনে ভিয়াইপি মর্যাদা পাবেন। এই শিশুরা মারা যাওয়ায় সেদিক থেকে দুটো লাভ হলঃ
১। তাদের বাবা-মায়ের ভিয়াইপি স্ট্যাটাস বজায় থাকল।
২। দেশের বোঝা তারা খানিকটা কমিয়ে দিয়ে গেল।
@ক্স !
হাফেজ কি জিনিস, তাহাদের মর্যাদা কি ইহা বুঝিতে হইলে ঈমানের নূর, আখেরাতের উপর বিশ্বাস থাকিতে হইবে ! মুসলামানের দুনিয়ার দুনিয়াবী শান্তি, সমৃদ্ধিও ঈমানের মজবুতি ও নেক আমলের উপর নিভর করে। হইতে পারে এই অনুৎপাদনশীল (!) হাফেজদের কারণেই আপনি আমি রিজিক পাইতাছি। হাদিসে দুর্বলদের কারণে সবলদের রিজিক পাওয়ার কথা আছে ! তাই অনুৎপাদনশীল(!) হাফেজদের চেয়ে নিজেরে কামেল মনে করার কোন কারণ নাই !
১. হাফেজ হওয়া আর হেফ্জ রক্ষা করার যে কষ্ট ও পরিশ্রম তাহা দুনিয়ার যেকোন ডিগ্রি, যেকোন ক্রাউন অর্জনের চেয়ে কঠিন ! তাই হাফেজের বাবা মায়ের ভিআইপি স্ট্যাটাসই হওয়া উচিত !
২. হাফেজরা অনুৎপাদনশীল(!) হওয়ার কারণে নিহত হইয়া যদি দেশের বোঝা কমাইয়া দিতে পারে , তাহা হইলে আমাদের শিক্ষিতের যে ৪০ % বেকার রহিয়াছে তাহাদের বোঝা কমাইবার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করিতে পারেন ! আপনিও এই বোঝাদের একজন কিনা কে জানে !
আপনার মন্তব্য যদি রিভার্স হয় তবুও হাফেজদের শানে এমন কথা বলা সঙ্গত হয় নাই। যদি রিভার্স না হয় তাহা হইলে সামুতে বিচি প্রদর্শন না করার অনুরোধ রইল ! পাঁঠাদের বিচি প্রদর্শনের অনেক ব্লগ আছে। সেখানে যাইতে পারেন !
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার অসাধারন এই মন্তব্যটি পড়লাম। ভাল লাগলো। শেষের দিকে এসে না হেসে পারলাম না।
ভাল থাকার প্রার্থনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
এমন বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানাই।