নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ পাক সকল অভিযোগ থেকে চিরমুক্ত

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৭



মহান আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআ'লার বিস্ময়কর সৃষ্টি অনন্ত সুন্দর অন্তহীন মহাকাশ। যার শুরু এবং শেষ একমাত্র তিনিই জানেন। লক্ষ কোটি আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্ররাজি আবিষ্কার হচ্ছে আজও। এগুলো আবিষ্কার হচ্ছে আর বিজ্ঞানের আশির্বাদে চক্ষু খুলে যাচ্ছে আমাদের। আসলে এসব আবিষ্কারের ধারায় বিশাল অন্তহীন মহাকাশ গবেষনায় এখনও বিজ্ঞানের আবিষ্কারের জগতের সকল সাফল্যকে শিশু বলে মনে করারও সময় আসেনি। তাঁর অন্তহীন ক্ষমতার কাছে আমরা যা দেখি বা না দেখি পার্থিব এই সৃষ্টিজগত কিছুই নয়। তাঁর সৃষ্টির কণা্মাত্রকেও ধারণ করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা এতই ক্ষুদ্র যে, তাঁর বড়ত্ব পরিমাপের ক্ষমতা ও যোগ্যতাও আমাদের নেই। তাঁর সৃষ্টি সৌন্দর্য্যে বিমোহিত অনন্ত মহাশুন্যের কিছু ছবি যুক্ত করা হলো পোস্টে, যা চিন্তার খোড়াক যোগায়, দেখে চক্ষু শীতল হয়। জ্ঞানীদের জন্য এসবের ভেতরে রয়েছে উপদেশ।

জীবন মৃত্যুর মহান মালিক কাউকে পুরষ্কার না দিলেও কারও অভিযোগ করার কিছু থাকে না। জান্নাতের নাজ নেআমতও তাই। তিনি দয়া করে এগুলো সৃষ্টি করেছেন। আমাদের জন্য বানিয়ে রেখেছেন। আমাদের সুখ শান্তি আর আরাম আয়েশের জন্য এসবই তাঁর অপার কুদরতে তিনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি ইচ্ছে করলে এসব আমাদের জন্য না-ও রাখতে পারতেন। আর তিনি না রাখলে আমাদের কিছুই করারও থাকতো না। সুতরাং, মালিকের পক্ষ থেকে লোভ দেখানো নয়, জান্নাতের নাজ নেআমতের আগাম ঘোষনাকে আমরা শুধু সুসংবাদ মনে করি। আর তিনি তো যেমন তেমন কোনো মালিক নন। তাঁর ক্ষমতা অসীম। তাঁর কুদরত সীমাহীন। তাঁর ইচ্ছাই চূড়ান্ত। তিনি 'কুন' বললেই সব হয়ে যায়। তিনি তাকিয়ে থাকলেই শস্য শ্যামল সবুজ পৃথিবী বেঁচে থাকে। তিনি ইশারা করলেই গোলাপ কলি মেলে দেয়। সৌন্দর্য্যের বিপুল বিচ্ছূরণে জেগে ওঠে মৃত ধরালোক। এমনই শক্তিমান তিনি। এমনই মহাক্ষমতার অতল উতস তিনি।



সুতরাং, তাকে প্রশ্ন করার সাহস কার? কিয়ামতের দিন তার সামনে দাঁড়ানোর সাহস পাবে না কেউ। কেবলমাত্র তিনি যদি কাউকে অনুমতি প্রদান করেন। কবরবাসীগন উঠে আসবেন। দলে দলে হাশরের মাঠে সমবেত হতে থাকবেন সকলে। সকলেই উলঙ্গ। কারও শরীরে কোনো পোষাক পরিচ্ছদের চিহ্ণমাত্র নেই। কারও দিকে কেউ তাকানোর ফুরসত পাবে না। সকলেই ব্যস্ত ত্রস্ত। এতই ব্যস্ত যে, মা তার দুগ্ধপোষ্য সন্তানকে ভুলে যাবে। গর্ভধারিনীর অজান্তেই গর্ভপাত হয়ে যাবে। মা তার সন্তানকে ভুলে যাবে। স্ত্রী স্বামীকে, স্বামী স্ত্রীকে, সন্তান বাবা মাকে ভুলে যাবে। গোটা সৃষ্টিজগত থরথর কম্পমান। আসমান ফেটে চৌচির হয়ে যাবে। জমিন উল্টে যাবে। পাহাড়গুলো ধুনিত তুলার মত, সফেদ ফেনার মত উড়তে থাকবে। সাগরে, সলিলে, নাহারে-আনহারে আগুন ধরে যাবে।



গোটা হাশরবাসী ভয়, আতঙ্ক আর সীমাহীন কষ্টে থাকবেন নিমজ্জিত। তখন নাফসী নাফসী ছাড়া আর কোনো আওয়াজ থাকবে না। একজন। সৃষ্টিকুলের ভেতরে কেবলমাত্র একজনই তখন 'রব্বি হাবলি উম্মতি', 'রব্বি হাবলি উম্মতি' -বলে আরশের নিচে সিজদায় পড়ে কাঁদতে থাকবেন। দীর্ঘ দীঘল সেই সিজদাহর সৌন্দর্য্য বর্ণনা করে সাধ্য কার? এই সিজদা 'অ-হিদুল ক্কহহার', 'জুল জালা-লি ওয়াল ইকরাম' পরম প্রতিপালক মহামহিয়ান মালিকের গোস্বাকে থামিয়ে দিবে। তিনি ঘোষনা দিয়ে দিবেন, 'হাবিব আমার, ইরফা' রা'ছাক, ইশফা' তুশাফফা'। দোস্ত আমার, আপনি আজ আর কাঁদবেন না। আজ আপনাকে আর কাঁদতে দেয়া হবে না। দুনিয়ার ৬৩ বছরের জীবন আপনি কেঁদে কাটিয়েছেন। আজ আপনার খুশি হওয়ার দিন। আমি আপনাকে আজ অনুমতি দিচ্ছি, আপনি মাথা তুলুন। শাফাআত করুন। যাকে খুশি করতে থাকুন। আপনার শাফাআত মঞ্জুর করা হবে। আপনার সুপারিশ কবুল করা হবে। হাবিব, আপনাকে তো আগেই বলেছিলাম-

'অলাল আ-খিরাতু খইরুল্লাকা মিনাল উ-লা।'

'নিশ্চয়ই আপনার জন্য আখিরাত পার্থিব জীবন থেকে উত্তম।'



অতএব, মহান প্রভূ বারি তাআ'লার পক্ষ থেকে পুরষ্কারপ্রাপ্তির এসব বার্তা বিশ্বাসী বান্দাদের অন্তকরণে তাঁর বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করে তোলে। তাঁর অনাবিল দয়ারই ভিন্নরকম প্রকাশ।

ছবি: অন্তর্জাল।









মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৪

আমি মুক্তা বলেছেন: সুবহানাল্লাহ! অবশ্যই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সকল অভিযোগ থেকে মুক্ত। কারণ তিনি তো আমাদের পরিচালনার ভার আমাদের হাতেই ন্যাস্ত করেছেন। এখন যদি আমরা ভুল পথে চলে বলি এটা আমার বরাতে ছিল তাহলে আমার দোষ কোথায়, তা কি কোন যৌক্তিক কথা? মোটেই নয়।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ। আপনার হৃদ্যতাপূর্ণ মন্তব্যে আপ্লুত!

আপনিও অনেক সুন্দর বলেছেন-

সুবহানাল্লাহ! অবশ্যই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সকল অভিযোগ থেকে মুক্ত। কারণ তিনি তো আমাদের পরিচালনার ভার আমাদের হাতেই ন্যাস্ত করেছেন। এখন যদি আমরা ভুল পথে চলে বলি এটা আমার বরাতে ছিল তাহলে আমার দোষ কোথায়, তা কি কোন যৌক্তিক কথা? মোটেই নয়।

ভালো থাকুন সারাক্ষন।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৪

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: একদম সঠিক কথাটা বলেছেন জনাব নকিব। আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত।পরম করুণাময় আল্লাহ পাক আমাদের সব্বাইকে মাফ করুন এবং তওবা করার তৌফিক দান করুন। আমীন, সুম্মা আমীন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



হৃদ্যতামাখা মন্তব্য পেয়ে সুখী হলাম। আপনার আগমন সবসময় উদ্দীপ্ত উজ্জীবিত করে।

আমাদের জন্য দুআ চাই।

নিরন্তর শুভকামনা। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.