নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুখে-দুঃখে যেমন হবে বিশ্বাসীদের আচরণ

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

ছবিঃ অন্তর্জাল।

সুখে-দুঃখে যেমন হবে বিশ্বাসীদের আচরণঃ

পৃথিবী চির সুখের জায়গা নয়। এখানে সুখ-দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন। দুঃসহ দুঃখ কখনো গ্রাস করে নেয় মানব জীবন, আবার দুঃখ-যাতনা-কষ্টের ঘনঘটার পরেই সুখের ঝিরিঝিরি স্নিগ্ধ মলয়ে সিক্ত করেন মহান মালিক। সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের পরশ বুলিয়ে দেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা।

আল্লাহ তায়ালা কুরআনে হাকিমে ইরশাদ করেন,

إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا

Verily, with every difficulty there is relief.

‘নিশ্চয় দুঃখের পরেই সুখ।’ -সূরা ইনশিরাহ, আয়াত:৫

কুরআনুল কারিমের এই বাণীর বাস্তব রূপই প্রতিনিয়ত ফুটে ওঠে আমাদের সামনে। হাসির পরে কান্না, সুখের পরে দুঃখ ঘুরেফিরে আসে আমাদের জীবনজুড়ে। তাই সুখ কিংবা দুঃখ, সর্বাবস্থায় বিশ্বাসী মুসলিম মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করবে। আল্লাহ তায়ালার প্রতি নিজেকে সোপর্দ করবে। এটাই হওয়া উচিত প্রকৃত বিশ্বাসী ব্যক্তির আচরণ। এছাড়া একজন বিশ্বাসী মানুষ দুঃখের সময় ধৈর্যধারণ করবে। আর সুখের সময় নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করবে। তার রাগ প্রশমন ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ অনেক সাওয়াবের কাজ। এটা বিশ্বাসী মুসলিমের জন্য জরুরিও বটে।

নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে সর্বাবস্থায়ঃ

কুরআন সুন্নাহর আলোকে সর্বাবস্থায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণের উপদেশ দেয়া হয়েছে। আবেগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

لِكَيْلَا تَأْسَوْا عَلَى مَا فَاتَكُمْ وَلَا تَفْرَحُوا بِمَا آتَاكُمْ وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ

In order that ye may not despair over matters that pass you by, nor exult over favours bestowed upon you. For Allah loveth not any vainglorious boaster,

‘এটা এ জন্য যে, তোমরা যা হারিয়েছ তাতে যেন তোমরা বিমর্ষ না হও এবং যা তিনি তোমাদের দিয়েছেন তার জন্য তোমরা আনন্দিত না হও। ‌গর্বকারী ও অহংকার কারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না।’ -সুরা হাদিদ : আয়াত ২৩

সর্বাবস্থায়ই মধ্যম পন্থা কামনা করাঃ

বরং সুখ ও দুখের সময় নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হাদিসে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা ও আশ্রয় চাওয়ার দোয়া শেখানো হয়েছে। তা হলো-

اَللَّهُمَّ اِنِّى اَسْئَالُكَ الْعَدْلَ فِىْ الْغَضَبِ وَ الرِّضَا

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আদলা ফিল গাদাবি ওয়ার রিদা।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ক্রোধ ও সন্তুষ্টি উভয় অবস্থায়ই মধ্যম পন্থা কামনা করি।

শেষের প্রার্থনাঃ

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে এমন মেজাজ মর্জির অনুগামী করে দিন, যাতে আমরা সুখে দুঃখে সর্বাবস্থায় ধৈর্য্যধারণ করে তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট থেকে আমাদের পার্থিব জীবনের সংক্ষিপ্ততম সময়ের পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারি। তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের অনন্ত অভিলাষই যেন হয় আমাদের সকল কাজের মূল অনুপ্রেরণা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আদলা ফিল গাদাবি ওয়ার রিদা।’ অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ক্রোধ ও সন্তুষ্টি উভয় অবস্থায়ই মধ্যমপন্থা কামনা করি।
ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিশ্বাসীরা সর্ব অবস্থাতেই সন্তুষ্ট থাকে।

“মুমিনের ব্যাপারটা খুবই আশ্চর্যজনক। যখন তার সাথে ভালো কিছু ঘটে, তখন সে কৃতজ্ঞ হয় আর এটাই তার জন্য উত্তম।
আর যখন তার কোনো ক্ষতি হয়, তখন সে সবর করে আর এটাও তার জন্য উত্তম।”
[সহীহ মুসলিম, হাদিস নং : ২৯৯৯]

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোস্ট টি ভালো লেগেছে। তা জানিয়ে দিলাম।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:০৩

জাফরুল মবীন বলেছেন: যারা আল্লাহর উপর নির্ভরশীল থাকেন তাদের দুঃখ সইবার সক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়।পরবর্তীতে অকল্পনীয় প্রাপ্তিও ঘটে হয়ত অন্য কোন পরিস্থিতিতে।মুমিনরা কষ্টের ঘটনার ও প্রাপ্তির ঘটনার যোগসূত্র খুঁজে পান তাই তাদের ঈমান আরও বৃদ্ধি পায়।আমি সেটা অবলোকন করেছি আল্লাহর অনুগ্রহে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.