নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজান মাসে করণীয় মাসনূন কিছু আমল

০৭ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৪৭

রমজান মাসে করণীয় মাসনূন কিছু আমল

ছবিঃ অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

রমজানুল মোবারক। ইসলাম ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র ও বরকতময় একটি মাস। হাদিসে এই মাসকে অভিহিত করা হয়েছে ইবাদতের মওসুম হিসেবে। এই মাসে মুসলিমরা রোজা রাখা, ইবাদত করা এবং কুরআন অধ্যয়ন করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে। রমজান মাসের করণীয় মাসনূন কিছু আমল কুরআন হাদিসের আলোকে নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

১. রোজা রাখা:

রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন:

شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ ۚ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ

"রমজান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য হিদায়াত এবং সত্যপথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর হক ও বাতিলের মাঝে ফারককারী। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোজা রাখে।" -সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৫

২. তারাবিহর সালাত আদায় করা:

রমজান মাসে তারাবিহর সালাত আদায় করা সুন্নত। নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেন:

مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

"যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় রমজান মাসে রাতের সালাত (তারাবিহ) আদায় করে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।" -সহিহ বুখারী, হাদিস নং: ৩৭

৩. কুরআন তিলাওয়াত করা:

রমজান মাসে কুরআন তিলাওয়াত করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। এই মাসেই কুরআন নাযিল করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:

شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ

"রমজান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে।" -সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৫

নবী (সা.) রমজান মাসে জিবরাইল (আ.)-এর সাথে কুরআন মুতালা করতেন। -সহিহ বুখারী, হাদিস নং: ১৯০২

৪. দান-সদকা করা:

রমজান মাসে দান-সদকা করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। নবী (সা.) এই মাসে বেশি দান করতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন:

كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدَ النَّاسِ، وَكَانَ أَجْوَدُ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ

"রাসূলুল্লাহ (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল। আর রমজান মাসে তিনি আরও বেশি দানশীল হতেন।" -সহিহ বুখারী, হাদিস নং: ১৯০২

৫. ইতিকাফ করা:

রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নত। নবী (সা.) প্রতি রমজানে ইতিকাফ করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন:

كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ

"নবী (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন, যা তিনি মৃত্যু পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছিলেন।" -সহিহ বুখারী, হাদিস নং: ২০২৬

৬. সাহরি খাওয়া:

সাহরি খাওয়া রোজার জন্য বরকতময়। নবী (সা.) বলেন:

تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً

"সাহরি খাও, কারণ সাহরিতে বরকত রয়েছে।" -সহিহ বুখারী, হাদিস নং: ১৯২৩

৭. ইফতার করা:

ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়। নবী (সা.) বলেন:

لِلصَّائِمِ عِنْدَ فِطْرِهِ دَعْوَةٌ مُسْتَجَابَةٌ

"রোজাদারের ইফতারের সময়ের দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না।" -ইবনে মাজাহ, হাদিস নং: ১৭৫৩

৮. লাইলাতুল কদর তালাশ করা:

রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন:

لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ

"লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।" -সূরা আল-কদর, আয়াত: ৩

নবী (সা.) বলেন:

تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ

"রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।" -সহিহ বুখারী, হাদিস নং: ২০২১

৯. বেশি বেশি ইস্তিগফার ও দোয়া করা:

রমজান মাসে বেশি বেশি ইস্তিগফার ও দোয়া করা উচিত। আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ ۖ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ

"আমার বান্দারা যখন তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তখন আমি নিকটেই আছি। যখন কেউ আমাকে ডাকে, আমি তার ডাকে সাড়া দেই।" -সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৬

১০. গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা:

রোজা শুধু খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকা নয়, বরং সব ধরনের গুনাহ থেকে দূরে থাকাও এর অংশ। নবী (সা.) বলেন:

مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ فِي أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ

"যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও মন্দ কাজ ত্যাগ করে না, আল্লাহর তার খাবার ও পানীয় ত্যাগ করার কোনো প্রয়োজন নেই।" -সহিহ বুখারী, হাদিস নং: ১৯০৩

উপসংহার:

রমজান মাসে উল্লিখিত আমলগুলো পালন করা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসে বেশি বেশি ইবাদত, দান-সদকা, কুরআন তিলাওয়াত এবং গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে রমজানের পূর্ণ বরকত ও ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমীন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:১২

এনামেল হউক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টের জন্য। আলহামদুলিল্লাহ্‌।

আল্লাহ্‌ আমাদের রমজান মাসের দোয়া ও ইবাদত যেন কবুল করে নিন, মানবজাতিকে যেন সঠিকপথে পরিচালনা করে দিন।

০৯ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টের জন্য। আলহামদুলিল্লাহ্‌।

-আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।

আল্লাহ্‌ আমাদের রমজান মাসের দোয়া ও ইবাদত যেন কবুল করে নিন, মানবজাতিকে যেন সঠিকপথে পরিচালনা করে দিন।

-আমিন।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: এইসব পোষ্টের ভাত নাই।
কাস্টমার পাবেন না। একদম খরা।

ভালো কিছু লিখুন।

০৯ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা আপনার নেই। আপনি যে বিভ্রান্ত তা দিবালোকের মত স্পষ্ট। সংশয়বাদের ভয়ানক রোগে আপনি আক্রান্ত।

আপনার কল্যান কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.