![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
কার্যক্রম বন্ধ, কিন্তু দল বহাল: তাহলে ফ্যাসিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলা হচ্ছে কিভাবে?
ছবিটি তৈরি করা হয়েছে DALL·E দ্বারা—OpenAI-এর ইমেজ জেনারেশন মডেল।
বাল (Bangladesh Awami League = BAL), অর্থাৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মাশাল্লাহ, দেশের মানুষ এই ঘোষণায় পরম আনন্দিত। দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের গুম, খুন, দুঃশাসন, দুর্নীতি আর বিচারহীনতার দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে মানুষ আজ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। মনে হচ্ছে, বুকের উপর থেকে যেন এক জগদ্দল পাথর সরে গেছে।
তবে বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে—শুধু ‘কার্যক্রম’ নিষিদ্ধ হলেও দলটি এখনো আইনত বহাল। তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়নি, সাংগঠনিক কাঠামো অক্ষত, প্রচারযন্ত্রও সচল। ফলে প্রশ্ন উঠছে—শুধু কার্যক্রম বন্ধ করলেই কি একটি দল ও তার ফ্যাসিবাদী আদর্শ নির্মূল হয়?
বালের অনলাইন কর্মী ও তথাকথিত বিশ্লেষকরা এখনো ফেসবুক, ইউটিউব, সামহোয়্যারইন ব্লগসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সক্রিয়। তারা ইতিহাস বিকৃত করছে, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, লেখকদের মতপ্রকাশে বাধা দিচ্ছে। নিষিদ্ধ কার্যক্রমের এই ছায়া-রূপ এখনো সক্রিয় রয়েছে, যা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তকে কার্যত ব্যঙ্গ করে চলেছে। প্রশ্ন হচ্ছে—যদি দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েই থাকে, তাহলে এই অনলাইন প্রেতাত্মারা এখনো কীভাবে সক্রিয়? তারা কাদের ছত্রচ্ছায়ায়, কাদের মদদে চলমান?
এই পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ ফ্যাসিবাদ শুধু দলীয় কার্যালয়ে সীমাবদ্ধ থাকে না—এটা ছড়ায় চিন্তায়, সংস্কৃতিতে, ডিজিটাল পরিসরে। শুধু মঞ্চের পর্দা নামিয়ে দিলে ফ্যাসিবাদ থেমে যায় না; নাট্যকার ও অভিনেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হয়। অন্যথায় তারা আড়ালেই রচনা করবে নতুন নাটক—নতুন নামে, নতুন মুখোশে।
অতএব, প্রয়োজন—
দলীয় নিবন্ধন বাতিল, সাংগঠনিক কাঠামো বিলুপ্তি, সম্পদের তদন্ত, অনলাইন-অফলাইনে নজরদারি, এবং যারা এখনো ডিজিটাল মাধ্যমে ‘বাল’-এর প্রচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।
এখন সময় এসেছে একটি সর্বাত্মক রাজনৈতিক শুদ্ধি অভিযানের। সত্যিকারের রাষ্ট্রীয় শুদ্ধি ও রাজনৈতিক ময়লা পরিষ্কারের। শুধু কার্যক্রম নিষিদ্ধ করলেই চলবে না—দল, দলীয় ফ্যাসিবাদী আদর্শ, এবং দালালদেরও নির্মূল করতে হবে—যদি আমরা সত্যিই একটি মুক্ত, গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়তে চাই।
কার্যক্রম বন্ধ—তবে দল বহাল থাকলে প্রভাবও অক্ষত থাকে। তাই চাই অর্ধেক নয়, পূর্ণ মুক্তির পদক্ষেপ।
১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, ধন্যবাদ ভাই। আপনার কথা ঠিক আছে। রয়ে সয়ে আগানোই ভালো। কিন্তু অনলাইন তো তাদের জন্য এখনও উম্মুক্ত ময়দান। যাচ্ছেতাই করে বেড়াচ্ছে। অফলাইনের মত অনলাইনকেও সুরক্ষিত করতে হবে।
২| ১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফ্যাসিবাদের শিকড় উপরে ফেলতে হলে ফ্যাসিবাদ যা করেছে তার চেয়ে উত্তম কাজ করতে হবে। জনতার কাছে তখন ফ্যাসিবাদী দল অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে।
১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, আপনি ঠিকই বলেছেন—ফ্যাসিবাদকে অপ্রাসঙ্গিক করতে হলে উত্তম বিকল্প দিতে হবে। তবে সেই বিকল্প প্রতিষ্ঠার পথ ফ্যাসিবাদ নিজেই বন্ধ করে রাখে। তাই উত্তম কাজের পাশাপাশি ফ্যাসিবাদী কাঠামো ভাঙাও জরুরি। দুই পথই একসাথে প্রয়োজন।
৩| ১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪
নতুন বলেছেন: মানুষের কন্ঠ রোধ করা কি জায়েজ?
আয়ামীলীগের কিছু সন্ত্রাসী অন্যায় করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
কিন্তু বর্তমানে যেই ভাবে আয়ামীলীগ নিষেধ করার কথা বলছেন তাতে মনে হচ্ছে আয়ামীলীগ যেই পথে হেটেছে তেমনটাই করতে চাইছেন আপনারা।
আয়ামীলীগের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেছে এটা ঠিক আছে। কিন্তু এখন আপনি আয়ামীলীগের পক্ষে কথা বলাও বন্ধ করতে চাইবেন সেটা কি ঠিক?
অনলাইনেও আয়ামীলীগের পক্ষে কথা বললে মামলা করা যাবে এটা বাড়াবাড়ী। বাড়াবাড়ী করলে কোনদিন ভালো ফল আসেনা।
শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে সবকিছু দখল করতে চেয়েছে বর্তমানে তার হাল দেখুন। এইভাবে বাড়াবাড়ী করছে জনগনই আয়ামীলীগকে ডেকে নিয়ে আসবে।
জনগনের জন্য সত্যি কল্যানকর কাজ শুরু করলেই জনগন আয়ামীলীগকে ঘৃন্যা ভরে মনে রাখবে। আয়ামীলীগের সাথে পাল্লা দিয়ে খারাপ কাজ গুলি করার দরকার আছে বলে মনে করি না।
১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার বক্তব্যটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ভিন্নমতের প্রতি যে সম্মান থাকা উচিত, তা আপনি স্পষ্ট করে তুলেছেন। এখন কিছু জবাব ও পরিস্কার ব্যাখ্যা দিই—
প্রথমত, কোনো ব্যক্তির কণ্ঠ রোধ করা ইসলামি শরীয়ত, গণতন্ত্র, বা মানবাধিকার কোনোটির দৃষ্টিতেই গ্রহণযোগ্য নয়—এই কথায় একমত। কিন্তু বিষয়টি শুধু মতপ্রকাশ নয়, বরং নিষিদ্ধ রাজনৈতিক কার্যক্রমের ছদ্ম-রূপে পরিচালিত প্রচারণা নিয়েই প্রশ্ন।
আওয়ামী লীগের কিছু সন্ত্রাসী নয়—পুরো দলীয় কাঠামোই দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মানুষ হত্যা, গুম, দমন-পীড়ন, দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। এই অবস্থায় দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা যেমন আইনগত পদক্ষেপ, তেমনি প্রয়োজন গণতন্ত্র রক্ষারও।
এখন, অনলাইনে "আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলাও বন্ধ করতে হবে"—এটা সাধারণ সমর্থকদের জন্য নয়। যারা মুক্তভাবে মত দেয়, যুক্তিনির্ভর আলোচনা করে, তারা অপরাধী নয়। কিন্তু যারা নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও দলীয় প্রচারণা চালায়, বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায়, রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে—তাদের ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ একেবারে যুক্তিসঙ্গত।
সুতরাং, এটি বাড়াবাড়ি নয়—এটি একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা ঠেকানোর নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ।
আপনি ঠিকই বলেছেন—আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিবাদী আচরণ অনুকরণ করা উচিত নয়। বরং আরও নৈতিক, স্বচ্ছ ও কল্যাণকর রাজনীতি প্রতিষ্ঠাই হতে হবে মূল লক্ষ্য।
শেষ কথা, যারা সত্যিকারের মতপ্রকাশ করছেন, তারা কখনোই শত্রু নয়। কিন্তু কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি সংগঠনের মুখপাত্র হয়ে যারা কাজ করছেন, তাদের আইনি কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে। গণতন্ত্র মানে দায়িত্বপূর্ণ স্বাধীনতা—নির্বন্ধ স্বেচ্ছাচার নয়।
এই ভারসাম্যই ভবিষ্যতের জন্য কল্যাণকর পথ।
৪| ১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৬
কাঁউটাল বলেছেন: ফ্যাসিবাদের (ভারতীয় কুকুরদের) অতীত ইতিহাস জানার মাধ্যমে এদেরকে উপড়ে ফেলতে হবে, এইটা দেখেন
১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
লিঙ্ক দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ফ্যাসিবাদের ইতিহাস জানাটা অবশ্যই জরুরি—বিশেষ করে যদি সেটা হয় আমাদের জাতীয় বাস্তবতার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আপনি যে দৃষ্টিকোণ থেকে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী চরিত্র ব্যাখ্যা করেছেন, বিশেষ করে ভারতের সহায়তায় তাদের উত্থান ও টিকে থাকার প্রক্রিয়া—তা নিঃসন্দেহে গবেষণা ও বিশ্লেষণের দাবি রাখে।
যে ইউটিউব ভিডিও লিংক আপনি দিয়েছেন, আমি তার কিছুটা দেখেছি, বাকিটা সময় করে দেখে নেওয়ার ইচ্ছে থাকলো। আসলে আওয়ামী লীগের ভারত-নির্ভর রাজনীতি, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্বাধীন নীতি-নির্ধারণে হস্তক্ষেপ, এবং জাতীয় স্বার্থ বিসর্জনের বিষয়টি বারবারই সামনে এসেছে। একে শুধু রাজনৈতিক দুর্বলতা বলা যাবে না—এটা দীর্ঘমেয়াদে একধরনের প্রতিনিধিত্বমূলক ফ্যাসিবাদ, যেখানে একটি দল রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে বিদেশী স্বার্থ রক্ষায় নিয়োজিত থাকে।
আমরা যদি সত্যিই ফ্যাসিবাদ নির্মূল করতে চাই, তাহলে ইতিহাস জানার পাশাপাশি প্রয়োজন জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বাস্তব প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ইতিহাস শুধু জ্ঞান নয়, কাজের পথনির্দেশক।
আলোচনায় যুক্ত থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা। সত্য জানতে চাইলে সকল সূত্রকেই যুক্তিসহকারে মূল্যায়ন করাই শ্রেয়।
৫| ১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বেশী আশা করবেন না। যা হচ্ছে, যতোটুকু হচ্ছে, সেটাও কম না। দেশের বাস্তব আবস্থাটা কি? আপনাকে ভেঙ্গে বলি...........
বিএনপি এখন ভারতের কোলে উঠে বসে আছে। জামায়াতও চেষ্টা করছে, কিন্তু জায়গা পাচ্ছে না। পুলিশ, আর্মি, প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের লোকজন পুরা মাত্রায় সক্রিয়। উপদেষ্টাদের মধ্যে বেশকিছু আছে যারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার বিরুদ্ধে। এমনকি এনসিপির মধ্যেও পরোক্ষভাবে তারা আছে। ''র'' তাদের স্লীপিং সেলগুলোকে এখন সক্রিয় করেছে। এতো প্রতিকূলতার মধ্যে আর কি আশা করেন? বাস্তবতা বুঝতে হবে সবাইকে।
ব্লগার নতুনকে বলি, সুশীলতা দিয়ে ডাকাতদের মোকাবেলা করা যায় না। আপনার মন্তব্যের প্রতিটা লাইনের ব্যাখ্যা দিতে গেলে আমাকে একটা পোষ্টের সমান মন্তব্য করতে হবে। শুধু বলি...........আপনি যে বললেন, ''আওয়ামী লীগের কিছু সন্ত্রাসী'' এই কথাটা চরম ভুল। তাদের নেতা-কর্মীদের কথা বাদই দেন, এখন পর্যন্ত একজন আওয়ামী সমর্থক পেয়েছেন, যে বলেছে আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে দেশটাকে ধ্বংস করেছে, খুন-রাহাজানি-ধর্ষনসহ যতো ধরনের অন্যায় করা সম্ভব, সব করেছে; আর ভুল করেছে? আমি পাই নাই। এমন যদি গুটিকতক থেকেও থাকে, এরা শতকরা হিসাবে ৫%ও হবে না। এরা জেনেটিক্যালি বেইমান, দেশ ধ্বংসকারী আর চেতনা ব্যবসায়ী। জার্মানীর ন্যাজি পার্টির মতো এদের সমূলে উৎপাটন করা অবশ্য কর্তব্য, নয়তো এরা আবার জেকে বসবে, পুরানো কার্যক্রম শুরু করবে.............নিশ্চিত থাকেন।
ফ্যাসিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলা কঠিন, খুবই কঠিন!!!!
১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভুয়া মফিজ ভাই, আপনার স্পষ্ট, বাস্তবভিত্তিক বিশ্লেষণের জন্য। আপনি একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে হাত দিয়েছেন—ফ্যাসিবাদের নির্মূল শুধু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সম্ভব নয়, এর জন্য প্রয়োজন এক সর্বাত্মক জাতীয় প্রতিরোধ।
আপনি ঠিকই বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে "বেশি আশা" করাটা তাৎক্ষণিক ফলের দিক থেকে হয়তো বাস্তববাদী নয়, কিন্তু যতটুকু হচ্ছে, সেটাই এক ঐতিহাসিক অগ্রগতি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের দুঃশাসনের পরে, এদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
আপনার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতরে এখনো তাদের শেকড় ছড়িয়ে রয়েছে—প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী এমনকি পরামর্শদাতা স্তরেও ফ্যাসিবাদীদের স্লিপিং সেল সক্রিয়। পাশাপাশি, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা R-এর সহায়তায় এই প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে, এটাও দীর্ঘদিনের জানা বাস্তবতা।
এখানে ‘সুশীল’ প্রতিক্রিয়ার সময় শেষ। যারা এখনো মনে করে “কিছু সন্ত্রাসী” ছিল—তারা হয় অন্ধ, না হয় সুবিধাবাদী। কারণ আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটা ছিল একটি ব্যবস্থা—একটি ফ্যাসিস্ট নেটওয়ার্ক—যারা গঠনতন্ত্র, নির্বাচন, আইন-শৃঙ্খলা, বিশ্ববিদ্যালয়, মিডিয়া—সবকিছুকে করায়ত্ত করে নিয়েছিল।
তাই জার্মানির নাৎসি পার্টির মতো এদের সমূলে উৎপাটন ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। যদি আজ এদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে না ফেলা হয়, তবে কাল তারা আবার রূপ বদলে ফিরে আসবে।
ফ্যাসিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলা কঠিন—তাই ধৈর্য, কৌশল আর দৃঢ়তা নিয়ে এগোতে হবে। আমরা কেউ ভবিষ্যৎ দেখতে পারি না, তবে একটি জিনিস নিশ্চিত—ফ্যাসিবাদকে আধা-মাত্রায় থামালে, সে পূর্ণ মাত্রায় ফিরে আসে।
আপনার মন্তব্য আমাদের এই সংগ্রামে আরও সাহস জোগায়।
৬| ১৩ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৩
কাঁউটাল বলেছেন: পিনাকির ভিডিও নিরামিষ ভাবে সারাংশ করলেও যা দাড়ায়:
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে, কিন্তু এই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ইলিয়াস কাঞ্চনের মতো ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন কীভাবে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা একাধিক ভোট দিয়েছে, এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্করাও ভোট দিয়েছে। পাকিস্তানের মার্শাল ল কর্তৃপক্ষ এই অনিয়মগুলো উপেক্ষা করেছিল, কারণ তারা মনে করেছিল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দায়িত্বশীল আচরণ করবে।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫৬ সালে প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। ১৯৫৬ ও ১৯৬২ সালের সংবিধানে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সমতা রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের নেতারা জনসংখ্যার ভিত্তিতে উভয় কক্ষে আসন চেয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের মতো ফেডারেল মডেলের বিপরীত ছিল। পশ্চিম পাকিস্তানের প্রদেশগুলোকে একত্রিত করে 'ওয়ান ইউনিট' তৈরি করা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের সাথে ভারসাম্য রক্ষার জন্য। ফলে পাকিস্তানের প্রদেশের সংখ্যা কমে দুইটি হয়, পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান।
১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধ এবং ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর ভারত পাকিস্তানকে দুর্বল করতে আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। আওয়ামী লীগের ছয় দফা দাবি (১৯৬৬) প্রকৃতপক্ষে ভারতের এজেন্ডাকে এগিয়ে নেয়, যেখানে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবি করা হয়েছিল। সিরাজুল আলম খানের মতো নেতারা সরাসরি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র'র সাথে যুক্ত ছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় (১৯৬৭) প্রমাণিত হয়েছিল কীভাবে ভারতীয় এজেন্টরা পূর্ব পাকিস্তানে বিদ্রোহ সংগঠনের চেষ্টা করেছিল। এসব কিছুর উদ্দেশ্য ছিল ১৯৬২ সালের ঐক্যমত্যের সরকার ব্যবস্থাকে বাদ দিয়ে একধরণের অনৈক্য তৈরীর মাধ্যমে পূর্বপাকিস্তান সহ সম্ভব হলে পুরো পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করে তোলা।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর ইয়াহিয়া খান আওয়ামী লীগের সাথে আলোচনা শুরু করেন। কিন্তু মুজিবুর রহমান ক্রমাগত নতুন নতুন শর্ত আরোপ করতে থাকেন - মার্শাল ল প্রত্যাহার, পৃথক সংবিধান কমিটি, আলাদা মুদ্রা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইত্যাদি। আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সংবিধান প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানকে একটি দুর্বল কনফেডারেশনে পরিণত করার ষড়যন্ত্র ছিল।
অপারেশন সার্চলাইট শুরুর আগেই মার্চ ১৯৭১-এ আওয়ামী লীগের ক্যাডার ও সশস্ত্র গ্রুপগুলো অবাঙালি মুসলমানদের (বিহারি, উর্দুভাষী) লক্ষ্য করে গণহত্যা চালায়। চট্টগামের ফিরোজশাহ কলোনিতে শতাধিক পরিবারকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, খুলনা, ঢাকা ও ময়মনসিংহেও একই রকম নৃশংসতা চালানো হয়। চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় তার স্মৃতিকথায় এসব হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছেন। সাংবাদিকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শতাধিক শিশুর লাশের স্তূপ দেখেছেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রথমদিকে হস্তক্ষেপ করেনি, রাজনৈতিক সমাধানের আশায়।
নীচে আওয়ামী ক্যাডারদের গনহত্যার কিছু বিবরণ দেওয়া হল:
অ্যান্থনি মাসকারেনহাস, দ্য সানডে টাইমস, ২ মে ১৯৭১:
বিদ্রোহী বাঙালি সেনা ইউনিট, আধা-সামরিক বাহিনী এবং পুলিশের ১,৭৬,০০০ সশস্ত্র ও প্রশিক্ষিত সদস্য, যারা সশস্ত্র আওয়ামী লীগ কর্মী ও ছাত্রদের সমর্থন পেয়েছিল, শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া স্লোগান—"বাংলাদেশ খালি করো, পাঞ্জাবিদের মারো"—কে ভয়াবহ বাস্তবতায় রূপ দিতে চেয়েছিল।
৮০টিরও বেশি সাক্ষাৎকারে চোখে-দেখা বর্ণনায় ধর্ষণ, নির্যাতন, চোখ উপড়ে ফেলা, প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত, নারী-পুরুষের স্তন কেটে ফেলা এবং অঙ্গচ্ছেদের পর গুলি বা বেয়নেট দিয়ে হত্যার ভয়াবহ কাহিনী জানা যায়। পাঞ্জাবি সেনা সদস্য, সরকারি কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গকে বিশেষ নিষ্ঠুরতার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
চট্টগ্রামে, সামরিক একাডেমির কমান্ডিং কর্নেলকে হত্যা করা হয়, তার আট মাস গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে বেয়নেট চালিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
চট্টগ্রামের অন্য অংশে, একজন ইপিআর অফিসারকে জীবিত অবস্থায় চামড়া ছাড়ানো হয়। তার দুই ছেলেকে শিরচ্ছেদ করা হয় এবং স্ত্রীর পেটে বেয়নেট চালিয়ে তার নগ্ন দেহে ছেলেদের মাথা রেখে মরতে দেওয়া হয়।
অনেক তরুণীর লাশ পাওয়া যায় যাদের ক্ষতস্থানে বাংলাদেশের পতাকার খুঁটি বিদ্ধ ছিল।
চট্টগ্রাম ও খুলনা ছিল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহর, যেখানে পশ্চিম পাকিস্তানিরা বেশি সংখ্যায় বসবাস করত। চট্টগ্রামে প্রায় ৯,০০০ এবং খুলনায় একই সংখ্যক হত্যার রেকর্ড রয়েছে।
অন্যান্য স্থানেও গণহত্যার খবর পাওয়া গেছে:
ঠাকুরগাঁও (দিনাজপুরের কাছে): ৩,০০০ নারী ও শিশু হত্যা
ঈশ্বরদী (যশোরের কাছে): ২,০০০ হত্যা
ভৈরব বাজার (ডাক্কার উত্তর-পূর্বে): ৫০০ হত্যা
কালুরঘাট জুট মিল শেড: ২৫৩ হত্যা
ত্রিপুরা সীমান্তের কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, ৮২ শিশুকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। জেলখানায় আরও ৩০০ অবাঙালির লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, যাদের বিদ্রোহীরা পশ্চিম পাকিস্তানি সেনার অগ্রগতির আগে হত্যা করে পালিয়েছিল।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের আগেই ভারত একটি ভারতীয় এয়ারলাইন্সের বিমান হাইজ্যাক করে লাহোরে পাঠিয়ে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে। আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রব প্রকাশ্যে 'স্বাধীন বাংলা'র পতাকা উত্তোলন করেন ও বাঙালি সৈন্যদের বিদ্রোহের আহ্বান জানান। সিরাজুল আলম খান ও তার সহযোগীরা সরাসরি ভারতের নির্দেশে পূর্ণাঙ্গ বিদ্রোহ সংগঠনের চেষ্টা করেন।
ইয়াহিয়া খান ২৫শে মার্চ অপারেশন সার্চলাইট শুরু করেন যখন আলোচনা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও তাদের ভারতীয় মিত্ররা ইতিমধ্যে অবাঙালি মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা শুরু করেছিল। প্রচলিত 'মুক্তিযুদ্ধ' এর ন্যারেটিভ এই সত্যগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করে যে হত্যাযজ্ঞ প্রথম শুরু করেছিল কারা।
আজও বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিরা (বিহারি) নাগরিকত্ব ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে সংঘটিত অপরাধগুলো কখনই স্বীকার করা হয়নি। প্রকৃত ইতিহাস পুনর্লিখন করা প্রয়োজন, যা পাকিস্তানের ঐক্য রক্ষার প্রচেষ্টা এবং ভারতের বিভেদ সৃষ্টির ভূমিকাকে সঠিকভাবে তুলে ধরবে।
১৩ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার বিশ্লেষণমূলক মন্তব্যের জন্য। ইতিহাসের নানা দিক উঠে এসেছে এই বিশ্লেষণে, তবে এ বিষয়ে নানা মত ও তথ্যভিত্তিক বিতর্ক রয়েছে—যা আরও গবেষণা ও আলোচনা দাবি করে।
৭| ১৩ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: হুট করে হয়তো নিষেধ করা যায় না তাই । আবার এমন ও হতে পারে, আসিফ নজরুল সাহেব রোজা ভাঙ্গার ভয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন। তবে বিপ্লবী সরকার যে ভাবে কাজ করার কথা ছিলো , তা করতে ব্যর্থ হয়েছে । উপদেস্টারা আছে নিজ নিজ পাওয়ার উপভোগের আনন্দে বিভোর ।
১৩ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ বাবন ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। বাস্তবতার আলোকে বিশ্লেষণটি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন, যা ভাববার সুযোগ তৈরি করে।
৮| ১৩ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:০১
যামিনী সুধা বলেছেন:
কি পরিমাণ মানুষ শেখ হাসিনাকে হত্যা করার কথা ভাবে?
১৩ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ যামিনী সুধা আপনার মন্তব্যের জন্য। এমন ভাবনার পেছনে কী কারণ রয়েছে বলে আপনি মনে করেন? এত বড় একটি দলের সভানেত্রীর এমন করুন পরিনতির জন্য আপনি কাকে দায়ী করবেন? আওয়ামীলীগের/ ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে কোটিপতি ছাড়া কাউকে দেখেছেন? তাই স্বীকার না করে উপায় নেই, উহাদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, তাই নয় কি?
৯| ১৩ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:০৪
যামিনী সুধা বলেছেন:
কোন কোন গাছ আপনি টেনে শিকড়সহ তুলতে পারবেন না? আপনি রমনার বটগাছটা শুকড়সহ তোলার চেষ্টা করেছেন কোনদিন?
১৩ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
উহা আগাছা মাত্র। উহা বটবৃক্ষ নয়। আগাছা উপড়ে ফেলাই স্বাভাবিক। আপনি অহেতুক আতঙ্কিত। অনর্থক ম্যাঁওপ্যাঁও করে লাভ নেই। দেশের অগ্রগতির স্বার্থেই ভাগাড় পরিষ্কার করতে হবে।
বিঃ দ্রঃ "ম্যাঁওপ্যাঁও" আপনার শব্দ সম্ভার থেকে নেওয়া। এই কারণে আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা।
১০| ১৩ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৩
কাঁউটাল বলেছেন: যামিনী সুধা বলেছেন: কোন কোন গাছ আপনি টেনে শিকড়সহ তুলতে পারবেন না? আপনি রমনার বটগাছটা শুকড়সহ তোলার চেষ্টা করেছেন কোনদিন?
১৩ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
মূলোৎপাটিত বৃক্ষের এমন চাক্ষুষ প্রমান উপস্থাপন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ১৪ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: আসল ফ্যাসিস্ট হলো- জামাত শিবির আর এই অন্তবর্তী সরকার।
আর নব্য ফ্যসিস্ট হলো কট্রর ধার্মিকেরা।
১৪ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি যাদের ফ্যাসিস্ট বলছেন, তারা হয়তো রাজনৈতিক বা ধর্মীয়ভাবে আপনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে। কিন্তু দ্বিমত মানেই ফ্যাসিজম নয়।
ফ্যাসিজমের মূল বৈশিষ্ট্য হলো—ভিন্নমত দমন, বাকস্বাধীনতা হরণ, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দিয়ে মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়া। আপনি যদি গায়ের জোরে ধর্মকে 'কট্টোর' আর বিশ্বাসীদের 'নব্য ফ্যাসিস্ট' আখ্যা দেন—তাহলে সেই আচরণটাই বরং ফ্যাসিবাদের ঘ্রাণ দেয়।
শুনুন, ফ্যাসিজম রুখতে হলে তর্ক নয়, যুক্তি দরকার—গালাগালি নয়, সহনশীলতা দরকার। তাই আলোচনা হোক তথ্য দিয়ে, ট্যাগ দিয়ে নয়।
১২| ১৪ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
ধন্যবাদ।
১৪ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, ধন্যবাদ আপনাকেও।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধীরে বন্ধু ধীরে....