![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ইসলামের হৃদয়ছোঁয়া আহ্বান: দায়িত্ববোধের একটি সরল স্বীকারোক্তি সূরা আন নাহল -এর ১২৫ নং আয়াতের প্রথম অংশ, যার সরল বঙ্গানুবাদ: "আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে", অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।
প্রিয় পাঠক,
যখন আমি “.................... ইসলামের হৃদয়ছোঁয়া আহ্বান” শীর্ষক চিঠিটি লিখেছিলাম, তখন থেকে একটি প্রশ্ন আপনাদের অনেকের মনে ঢেউ তুলেছে—“কেন তাকে এই আহ্বান জানালেন?” কেউ কেউ বিস্ময় ভরা চোখে তাকিয়েছেন, কারণ অতীতে আমার ও তার মধ্যে ছিল তীক্ষ্ণ মতবিরোধের কাঁটাতার। এমনকি, আমার কলম তার সমালোচনায় তুলে ধরেছিল শাণিত বাক্যের ধার। তাই আপনাদের এই প্রশ্ন অত্যন্ত স্বাভাবিক, যেন শান্ত নদীতে হঠাৎ উঠেছে তরঙ্গের ঝিলিক।
হ্যাঁ, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার দায়িত্ব। এই পরিবর্তনের পেছনে কোনো কূটকৌশল নেই, নেই কোনো স্বার্থের ছায়া বা নাটকীয়তার রঙিন পর্দা। এটি হৃদয়ের গহীনে জেগে ওঠা এক নিঃশব্দ ডাক, যেন ভোরের কুয়াশায় ফুটে ওঠা শিশিরের মতো স্বচ্ছ, যেন নক্ষত্রের আলোয় পথ খুঁজে পাওয়া পথিকের উপলব্ধি। এটি এক গভীর টান—যেখানে সদিচ্ছা, দায়বোধ, আর পরকালের ভয় একত্রে মিলে রচনা করে অন্তরের এক অমলিন সুর।
আমরা এই ব্লগের আঙিনায় বহু বছর একসঙ্গে পথ চলেছি। একে অপরের লেখা পড়েছি, তর্কের উত্তাপে মত বিনিময় করেছি, কখনো হৃদয়ের সেতু বেঁধেছি, কখনো বা বিরোধের কাঁটায় রক্ত ঝরেছে। কিন্তু একটি প্রশ্ন আমার অন্তরকে কুরে কুরে খায়—আল্লাহর তাওহিদের আহ্বান, রাসূল (সা.)-এর মমতাময় বার্তা, সেই অমৃতময় সত্য কি আমি তার কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি? তার মত বিশেষ বিশেষ আরও যারা রয়েছেন, তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি? এই প্রশ্ন আমার হৃদয়ে বেদনার স্পন্দন জাগায়, যেন কোনো প্রিয়জনের হাতছাড়া হওয়ার শূন্যতা।
রোজ হাশরের সেই মহামুহূর্তে, যদি আল্লাহ তাআ'লা জিজ্ঞাসা করেন, “যাদের সঙ্গে এত বছর ভার্চুয়াল জগতে কাটিয়েছ, আমার বাণী কি তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলে? তাদের হেদায়েতের জন্য কি তুমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলে, নাকি নিজের সীমানায় বন্দি ছিলে? নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলে?”—তখন আমি কী উত্তর দেব? আমার কণ্ঠ কি তখন নীরব হয়ে যাবে, নাকি লজ্জায় মাথা নত হবে?
শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা স্বার্থপর বান্দা তো আল্লাহ তাআ'লা চাননি। তিনি আমাদের পাঠিয়েছেন এই ধরাধামে তাঁর খলিফা হিসেবে—যারা নিজে ন্যায়ের পথে চলবে, অন্যকেও আহ্বান জানাবে সেই পথে, আর অন্যায়ের অন্ধকার থেকে ফিরিয়ে আনবে মানুষের হৃদয়। তিনি এমন এক মহান রাসূল (সা.) আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন, যিনি বিরুদ্ধবাদীর দ্বারে বারবার গিয়েছেন তাওহিদের সুমধুর বার্তা নিয়ে। এমনকি, একজনের দরজায় গিয়েছেন ছয়শত বার! আমি তাঁর উম্মত হয়ে কীভাবে নির্লিপ্ত থাকতে পারি? কীভাবে আমার হৃদয় নিশ্চুপ হয়ে থাকবে?
এই লেখা, এই আহ্বান কারও ব্যক্তিত্ব পরিবর্তনের দুঃসাহস নয়। এটি আমার দায়িত্ব পালনের এক বিনীত প্রয়াস, হৃদয়ের দরজায় মৃদু করাঘাতের কোমল স্পর্শ। সত্য কখনো জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যায় না, তবে ভালোবাসার আলোয় তাকে আহ্বান করা যায়। যদি আল্লাহ কাউকে হেদায়েত দান করেন, আর আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সেই পথে একটি পুষ্পের পাপড়ি হয়ে পড়ে, তবে তা আমার জীবনের পরম সৌভাগ্য।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবার অন্তরকে কোমল করুন, যেন তা তাঁর নূরে ভরে ওঠে। সত্যকে গ্রহণযোগ্যভাবে উপস্থাপনের তৌফিক দিন, সত্য গ্রহণের সাহস দিন। ভালোবাসার পথে একে অপরের হাত ধরার শক্তি দিন, যেন আমরা এক কাফেলায় চলি তাঁর দিকে। আমাদের হৃদয় যেন তাঁর আলোয় উদ্ভাসিত হয়, আর আমাদের পথ যেন ধাবমান হয় তাঁরই রহমতের কাছে, যেন নদী ছুটে যায় সাগরের বুকে।
শুভ কামনা সকলের জন্য,
১৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আমাদেরকে তাঁর প্রিয়পাত্র হিসেবে কবুল করুন।
কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা জানবেন। +
২| ১৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:১৪
ইয়া আমিন বলেছেন: আত্মউপলব্ধি, দায়বোধ এবং ভালোবাসা থেকে উৎসারিত এক হৃদয়স্পর্শী আহ্বান। সূরা আন-নাহল-এর ১২৫ নং আয়াতের আলোকে, এটি একজন চিন্তাশীল মুসলিমের অন্তর্জাগতিক তাগিদ এবং দায়বদ্ধতার নীরব অভিব্যক্তি, যা তাওহিদের বার্তাকে সুন্দরভাবে পৌঁছে দেওয়ার আন্তরিক প্রয়াস। লেখকের অতীতের দ্বন্দ্ব ভুলে, আন্তরিক আহ্বান জানানোর প্রচেষ্টা কেবল ব্যক্তিক নয়, বরং একটি বৃহৎ মানবিক ও ঈমানি দায়িত্বের বহিঃপ্রকাশ। এটি কঠোর সমালোচনার বদলে করুণা, বিতর্কের বদলে ভালোবাসা এবং আত্মকেন্দ্রিকতা ভেঙে সহমর্মিতার পথে চলার আহ্বান। আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের সকলকে এমন দায়বোধ ও আন্তরিকতার মাধ্যমে সত্যের পথে ডাকার সৌভাগ্য দান করেন।
১৯ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মূল্যায়নের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। এমন গভীর ও হৃদয়ছোঁয়া মন্তব্য সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এই দায়বোধ ও আন্তরিকতার সাথে সত্যের পথে ডাকার তাওফিক দান করুন। আবারও ধন্যবাদ।
৩| ১৯ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:১৭
যামিনী সুধা বলেছেন:
মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকেরা ২ ভাগে বিভক্ত: (১) দেশের নাগরিক (২) মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ।
আমি আধুনিক সময় ও সভ্যতায় বিশ্বাসী বাংলাদেশী নাগরিক; আমার জীবন নিয়ন্ত্রিত হয় দেশের আইন ও সংবিধনের রূপরাখার ভে্তরে। আমাদের ব্লগার নতুন নকীব হলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ, যিনি জীবন যাপন করেন কোরান ও হাদিষের নিয়ম মেনে, যা ১৪০০ বছে আগে চালু করা হয়েছিলো আরবের মরুভুমিতে; তিনি দেশের আইন ও সংবিধানকে সমীহ করেন না।
১৯ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। তবে আমি দ্বিমত পোষণ করি—ইসলাম কোনো নির্দিষ্ট সময় বা অঞ্চলের জন্য নয়, বরং সব যুগ ও মানুষের জন্য প্রযোজ্য। কোরআন ও হাদীস অনুসরণ মানেই দেশের আইন অমান্য করা নয়। প্রকৃত মুসলিম সর্বদা ন্যায়ের পক্ষে থাকে এবং আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। আবারও ধন্যবাদ।
৪| ১৯ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:২০
যামিনী সুধা বলেছেন:
১৪০০ বছর আগের জীবনধারা, সংস্কৃতি ও নিয়ম কানুন আজকের জন্য অচল। সভ্যতা ক্রমাগতভাবে বিবর্তিত হচ্ছে; আগের নীচু মানের জীবনধারা নিয়ে আজকের বিশ্বে টিকে থাকা অসম্ভব।
১৯ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে ইসলামের শিক্ষা চিরন্তন ও সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য—এটি কেবল ১৪০০ বছরের পুরনো জীবনধারাই নয়, বরং নৈতিকতা, ন্যায় ও মানবিকতার বিশ্বজনীন পথনির্দেশ। ইসলাম চির আধুনিক। মহাপ্রলয়ের পূর্বে ইসলাম ধর্মের চেয়ে আধুনিক আর কিছু আসবে না। সুতরাং, জীবন বিধান এবং অনুকরণীয় একমাত্র আদর্শ হিসেবে ইসলামকেই বেছে নিতে হবে।
আপনি স্রেফ বিভ্রান্তির মধ্যে আছেন এখনও। সন্দেহ, সংশয় আর বিভ্রান্তির পরিবর্তে যথার্থ জ্ঞান অর্জনই শ্রেয়। আবারও ধন্যবাদ।
৫| ১৯ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: তালগাছ নতুন নকিব ভাইয়ের।
১৯ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, বিষয়টি আপনি বুঝতে পারায়। আপনি আসলেই জ্ঞানী লোক।
৬| ১৯ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫৫
নতুন বলেছেন: নতুন নকিব ভাই। আপনি আপনার বিশ্বাসের উপরে ভিক্তি করে মানুষকে ইসলামের পথে দাওয়াত দিচ্ছেন।
আমি আপনাকে ধর্মের বিশ্বাসের চাদরের নিচ থেকে বের হয়ে যুক্তির আলোকে সত্য খুজে বের করার পথে দাওয়াত দিচ্ছি।
যুগে যুগে মানুষকে নিয়ন্ত্রনের জন্য ধর্ম নামক একটা কল্পিত সৃস্টিকর্তা, তাকে সন্তুস্ট করার নিয়ম কানুন, তার রাগ, সাজা এবং অনন্ত সুখময় জীবনের লোভে দেখানো হয়েছে।
যারা যৌক্তিক ভাবনা ভাবেনা, যারা ভয় পায়, যারা আত্নবিশ্বসী না তারা খুবই সহজে ধর্মের সাজার কথায় ধর্ম অনুসরন করে শুরু করে।
কারন যদি ধর্ম সত্যি হয়ে থাকে তবে মৃত্যুর পরে তো বিপদে পড়তে হবেনা। তাই তারা রিস্ক নিতে চায় না।
এভারেস্ট দাড়িয়ে আছে, চুড়ায় উঠা অসম্ভব বলেই সবাই জানতো। কিন্তু একজন মানুষ ভয় কাটিয়ে চুড়ায় রওয়ানা দেয়। পা ফেলে সাগর মাতার চুড়ায়। তারপরে হাজারো মানুষ এভারেস্টের চুড়ায় উঠেছে।
তাই দুনিয়াতে বেশির ভাগ মানুষই দেখবেন রিস্ক নেবেনা। অল্প কিছু মানুষ অজানাকে জানতে প্রশ্ন করতে থাকবে, সত্য খুজতে থাকবে। আর বেশির ভাগই ৯৫% অথবা আরে বেশি ধর্মের নামে কিছু বললেই মেনে নেবে।
১৯ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় নতুন ভাই, প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ, কারণ আপনি শান্তভাবে নিজের মত প্রকাশ করেছেন। এতে আলাপের দরজা খোলা থাকে। ইসলাম আলোচনার, যুক্তির এবং আহ্বানের ধর্ম। কুরআনে আল্লাহ বলেন:
"উদ্বুদ্ধ কর তোমার প্রভুর পথে প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে..." (সূরা নাহল: ১২৫)
প্রথমতঃ আপনার দাবি: "ধর্ম বিশ্বাসের ব্যাপার, যুক্তিতে খুঁজে নিতে হবে সত্য।"
এই কথার উত্তরে বলতে চাই: ইসলাম যুক্তি-বর্জিত অন্ধ বিশ্বাসের নাম নয়। বরং কুরআন বারবার মানুষকে “তাদাব্বুর” (গভীর চিন্তা) ও “তাআক্কুল” (যুক্তি প্রয়োগ) করতে বলেছে। উদাহরণস্বরূপ:
"তারা কি কুরআনের উপর গভীরভাবে চিন্তা করে না?" (সূরা নিসা: ৮২)
আল্লাহ কুরআনে বিশ্বাসী হতে বলার পাশাপাশি তার অস্তিত্ব ও কুদরতকে নিয়ে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ইসলাম বিজ্ঞান ও যুক্তির বিরুদ্ধ নয়, বরং তার পরিপূরক।
দ্বিতীয়তঃ আপনি বলেছেন: "ধর্ম হচ্ছে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার, কাল্পনিক স্রষ্টা তৈরি করেছে মানুষ।"
এই কথার উত্তরে বলতে চাই: তাহলে প্রশ্ন, পৃথিবীর শুরু কোথা থেকে? কিভাবে এত জটিল অথচ সুনির্দিষ্টভাবে সাজানো একটি মহাবিশ্ব এল?
বিজ্ঞান ‘Big Bang’-এর কথা বলে, কিন্তু Big Bang-কে কে ঘটাল?
সূর্য নির্দিষ্ট দূরত্বে না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণ থাকতো না—এটা হঠাৎ ‘দুর্ঘটনা’ হতে পারে না।
সৃষ্টির মধ্যে যে সূক্ষ্মতা ও উদ্দেশ্য রয়েছে, তা একজন পরিপূর্ণ স্রষ্টার নির্দেশ দেয়। স্রেফ ‘হতে পারে’ বলে অস্বীকার করাও অন্ধ যুক্তি।
তৃতীয়তঃ আপনার দাবি: "মানুষ ভয় ও লোভে ধর্ম মেনে চলে।"
এই কথার উত্তরে বলতে চাই: এই বক্তব্যে মানুষকে খুব ছোট করে দেখা হয়।
অনেকে নিরবে ইবাদত করে, রাত জেগে নামাজ পড়ে, অর্থ ব্যয় করে—কোনো লোভ ছাড়া।
আল্লাহ কুরআনে ভয় ও ভালোবাসার ভারসাম্য শিক্ষা দেন:
"তারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে এবং তাঁর অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে।" (সূরা সাজদাহ: ১৬)
এমনকী, বিজ্ঞানীরাও কাজ করেন স্বীকৃতি, সম্মান, বা মানবকল্যাণের আশায়—তাও একধরনের “মোটিভেশন”। তাহলে ধর্মে থাকলে তা দোষ নয়।
চতুর্থতঃ আপনার দাবি: "৯৫% মানুষ প্রশ্ন না করে ধর্ম মানে, ৫% প্রশ্ন করে।"
এই কথার উত্তরে বলতে চাই: সত্যের অনুসন্ধান মানেই ধর্ম-বিরোধিতা নয়। ইসলামে জিজ্ঞাসা করতে উৎসাহ দেওয়া হয়।
"তোমরা যদি না জানো, তবে জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা করো।" (সূরা আম্বিয়া: ৭)
ইসলামের বহু মনিষী যেমন—ইমাম গাজ্জালি, ইবনে রুশদ, ইবনে সিনা—তারা সবাই যুক্তিবাদী, দার্শনিক, অনুসন্ধানী। তারা কেবল বিশ্বাসই করেননি, বিশ্লেষণ করে করেছেন।
আপনি যুক্তি ও চিন্তার আহ্বান জানিয়েছেন, ইসলামের দাওয়াতও একই বিষয়েই আহ্বান জানায়। আপনি যদি সত্যিই মুক্ত চিন্তা করতে চান, তবে অগ্রিম নাকচ না করে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস, কুরআনের বক্তব্য, নবীর জীবন ও ইতিহাস নিরপেক্ষভাবে পড়ুন। আপনি যদি ‘সত্য’ চান, ইনশাআল্লাহ্ পথ পাবেন।
আল্লাহ আপনাকে হিদায়াত দান করুন। আমাদেরকেও হিদায়াতের উপরে চলবার তাওফিক দান করুন। ধন্যবাদ।
৭| ২৪ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:৪২
নতুন বলেছেন: ইসলামের বহু মনিষী যেমন—ইমাম গাজ্জালি, ইবনে রুশদ, ইবনে সিনা—তারা সবাই যুক্তিবাদী, দার্শনিক, অনুসন্ধানী। তারা কেবল বিশ্বাসই করেননি, বিশ্লেষণ করে করেছেন।
ইমাম গাজ্জালী ইবনে সিনাকে কাফের বলেছেন তার কিতাবে।
যাই হোক আপনার সাথে ধর্ম নিয়ে যুক্তি খন্ডনে যাবোনা। কামলায় অনেক ব্যস্ত। জানেনই তো রাজনিতি আর ধর্ম নিয়ে আলোচনায় কোনদিনই সমাধানে আসা যায় না।
ভালো থাকবেন, ধর্ম বর্তমানে মানুষের জীবনে তেমন কোন প্রভাব ফেলছেনা। বরং আমাদের দেশে মোল্যারা, ভারতে পুরুহিতরা, খৃস্টানদের মাঝে পাদ্রীরা ধর্মকে ব্যবসা হিসেবে ব্যবহার করছে।
আশা করি দিন দিন সমাজের মানষের মাঝে সঠিক প্রজ্ঞা সন্চারিত হবে এবং দুনিয়ার মানুষ আরো মানবিক হবে।
২৫ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ইমাম গাজ্জালী তাঁর গ্রন্থ "তাহাফুত আল-ফালাসিফা"–তে ইবনে সিনার দর্শনের কড়া সমালোচনা করেছেন এবং তিনটি মতামতকে ‘কুফরি’ বলেছেন। সেখানে তিনি ইবনে সিনাকে সরাসরি "পুরোপুরি কাফের" বলেননি, বরং বলেন তিনি কিছু বিষয়ে এমন কথা বলেছেন যা ইসলামের মৌলিক আকিদার পরিপন্থী এবং সেই অর্থে কুফরি। এই বিতর্ক ছিল মূলত ইসলামি আকিদা বনাম দার্শনিক যুক্তিবাদের দ্বন্দ্ব।
আপনি যেমনটা বললেন, রাজনীতি আর ধর্ম নিয়ে আলোচনা প্রায়ই ফলপ্রসূ হয় না — বিশেষ করে যখন উদ্দেশ্য হয় বিশ্বাস নয়, বিতর্ক। তবে আপনার মতপ্রকাশের অধিকার আছে, তেমনি অন্যেরও আছে বিশ্বাস নিয়ে দাঁড়াবার অধিকার।
যারা ইসলামের নামে ভুল ব্যবহার করে, তারা ইসলাম নয় — বরং ইসলামের অপব্যবহারকারী। ধর্ম কখনও ব্যবসা নয়, কিন্তু মানুষের লোভ সেটাকে ব্যবসা বানাতে পারে — ঠিক যেমন রাজনীতি, আইন বা জ্ঞানকেও।
ইসলাম সঠিক বুঝে অনুসরণ করলে তা মানুষকে মানবিকতাই শেখায় — “الخلق عيال الله” (সব সৃষ্টি আল্লাহর পরিবার)। যারা এই শিক্ষা ধারণ করে, তারা ধর্মের নামে নয়, মানুষের কল্যাণে কাজ করে।
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমীন।