নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরবানির ইতিহাস ও শিক্ষা

২৫ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:১৯

কুরবানির ইতিহাস ও শিক্ষা

অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

কুরবানি—এই শব্দটি যেন হৃদয়ের গভীরে এক তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করে। এটি শুধু একটি ধর্মীয় আচার নয়, বরং এক অপার ত্যাগের গল্প, এক অতুলনীয় ভালোবাসার কাব্য। কুরবানির প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের হৃদয়কে আল্লাহর কাছে নিয়ে যায়, যেখানে সমর্পণের সুর বেজে ওঠে, ধৈর্যের আলো জ্বলে ওঠে, আর ভালোবাসার সুবাস ছড়িয়ে পড়ে। এই পবিত্র ইবাদত আমাদের নিয়ে যায় হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর সেই অমর ত্যাগের কাছে, যিনি আল্লাহর নির্দেশে নিজের হৃদয়ের টুকরো, প্রিয়তম পুত্রকে কুরবানি করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। এই কাহিনি আমাদের শেখায় ত্যাগের মহিমা, ধৈর্যের অপরিসীম শক্তি এবং আল্লাহর উপর অটল ভরসার অপূর্ব সৌন্দর্য।

কুরবানির ঐতিহাসিক পটভূমি

কুরবানির গল্প শুরু হয় হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর জীবন থেকে, যার হৃদয় ছিল আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ সমর্পিত। পবিত্র কুরআনের সূরা আস-সাফফাতে (৩৭:১০০-১১১) এই হৃদয়স্পর্শী ঘটনার বিবরণ রয়েছে। এক রাতে ইবরাহিম (আ.) স্বপ্নে দেখেন, আল্লাহ তাকে নির্দেশ দিয়েছেন তার প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাঈল (আ.)-কে কুরবানি করতে। এই নির্দেশ ছিল তার জন্য এক মহাপরীক্ষা। ইসমাঈল (আ.) ছিলেন তার বৃদ্ধ বয়সের আলো, যাকে তিনি ও তার স্ত্রী হযরত হাজেরা (আ.) দীর্ঘ অপেক্ষার পর লাভ করেছিলেন। সেই সন্তানকে কুরবানি করার নির্দেশ! কল্পনা করুন, একজন পিতার হৃদয়ে কী ঝড় বয়ে গিয়েছিল! তবুও ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অটল ভালোবাসায় অবিচল থাকলেন। তিনি তাঁর প্রিয় পুত্রের কাছে এই কঠিন সত্য উপস্থাপন করলেন। আর তখনই আমরা দেখি এক অপূর্ব সমর্পণের দৃষ্টান্ত। ইসমাঈল (আ.), যিনি ছিলেন এক শিশু, সানন্দে সম্মতি দিলেন পিতার কথায়!

কুরআনুল কারিমের হৃদয়ছোঁয়া বর্ণনায়:

فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعۡیَ قَالَ یٰبُنَیَّ اِنِّیۡۤ اَرٰی فِی الۡمَنَامِ اَنِّیۡۤ اَذۡبَحُكَ فَانۡظُرۡ مَاذَا تَرٰی ؕ قَالَ یٰۤاَبَتِ افۡعَلۡ مَا تُؤۡمَرُ ۫ سَتَجِدُنِیۡۤ اِنۡ شَآءَ اللّٰهُ مِنَ الصّٰبِرِیۡنَ

অতঃপর যখন সে তার সাথে চলাফেরা করার বয়সে পৌঁছল, তখন সে বলল, ‘হে প্রিয় বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে যবেহ করছি, অতএব দেখ তোমার কী অভিমত’; সে বলল, ‘হে আমার পিতা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, আপনি তাই করুন। আমাকে ইনশাআল্লাহ আপনি অবশ্যই ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন’। -সূরাহ আসসাফফাত, আয়াত ১০২

فَلَمَّاۤ اَسۡلَمَا وَ تَلَّهٗ لِلۡجَبِیۡنِ

দু’জনেই যখন আনুগত্যে মাথা নুইয়ে দিল। আর ইবরাহীম তাকে উপুড় ক’রে শুইয়ে দিল। -সূরাহ আসসাফফাত, আয়াত ১০৩

وَ نَادَیۡنٰهُ اَنۡ یّٰۤاِبۡرٰهِیۡمُ

তখন আমি তাকে ডাক দিলাম, ‘হে ইবরাহীম! -সূরাহ আসসাফফাত, আয়াত ১০৪

قَدۡ صَدَّقۡتَ الرُّءۡیَا ۚ اِنَّا كَذٰلِكَ نَجۡزِی الۡمُحۡسِنِیۡنَ

‘তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছ। নিশ্চয় আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি’। -সূরাহ আসসাফফাত, আয়াত ১০৫

اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الۡبَلٰٓـؤُا الۡمُبِیۡنُ

‘নিশ্চয় এটা ছিল এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা’। -সূরাহ আসসাফফাত, আয়াত ১০৬

وَ فَدَیۡنٰهُ بِذِبۡحٍ عَظِیۡمٍ

আর আমি তাকে মুক্ত করলাম এক মহান কুরবানীর বিনিময়ে। -সূরাহ আসসাফফাত, আয়াত ১০৭

কী অপরূপ ভালোবাসা! কী অসাধারণ আনুগত্য! পিতা-পুত্র দুজনেই আল্লাহর পথে নিজেদের সমর্পণ করতে প্রস্তুত হলেন। যখন ইবরাহিম (আ.) ছুরি হাতে তুলে নিলেন, তখন তাঁর হৃদয়ে ছিল শুধু আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা। আর ঠিক তখনই আল্লাহ তায়ালা তাঁর ত্যাগ ও আনুগত্যের মহিমা দেখে একটি দুম্বা পাঠালেন, যা ইসমাঈল (আ.)-এর পরিবর্তে কুরবানি হলো। এই মুহূর্তে আল্লাহ বললেন, এটি ছিল এক পরীক্ষা, আর তুমি তাতে উত্তীর্ণ হয়েছ! এই অমর ঘটনা থেকেই কুরবানির রীতি শুরু হয়, যা প্রতি বছর ঈদুল আযহায় আমরা পালন করি, হৃদয় ভরে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।

কুরবানির শিক্ষা

কুরবানি শুধু একটি পশু জবাই নয়, এটি হৃদয়ের গভীরে এক আধ্যাত্মিক যাত্রা। এটি আমাদের শেখায় কীভাবে জীবনকে আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করতে হয়, কীভাবে ত্যাগের মাধ্যমে হৃদয়কে পবিত্র করতে হয়।

১. আল্লাহর প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাঈল (আ.)-এর জীবন আমাদের শেখায়, আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা এমন হওয়া উচিত যা আমাদের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসকেও ছাপিয়ে যায়। কুরবানি আমাদের হৃদয়ে এই প্রশ্ন জাগায়—আমরা কি সত্যিই আল্লাহর সন্তুষ্টিকে আমাদের জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য করতে পারি? এটি আমাদের শেখায়, আল্লাহর পথে সমর্পণই জীবনের প্রকৃত অর্থ।

২. ত্যাগের অমৃতময় পাঠ

কুরবানি আমাদের হৃদয়ে ত্যাগের বীজ বপন করে। জীবনে আমাদের প্রিয় জিনিস—সম্পদ, সময়, এমনকি আমাদের ইচ্ছাগুলো—কখনো কখনো আল্লাহর জন্য ত্যাগ করতে হয়। এই ত্যাগ শুধু বাহ্যিক নয়, আমাদের অহংকার, স্বার্থপরতা, আর আত্মকেন্দ্রিকতাকেও জবাই করতে হবে। কুরবানি আমাদের হৃদয়কে শুদ্ধ করে, আমাদের শেখায় কীভাবে নিজেকে ছাড়িয়ে অন্যের জন্য বাঁচতে হয়।

৩. ভাগ করে নেওয়ার পবিত্র আনন্দ

কুরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা—নিজের জন্য, আত্মীয়-স্বজনের জন্য এবং গরিব-দুঃখীদের জন্য—এটি আমাদের হৃদয়ে ভাগ করে নেওয়ার আনন্দ জাগায়। যখন আমরা কোনো দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাই, তখন আমাদের হৃদয়ে এক অপার শান্তি নেমে আসে। কুরবানি আমাদের শেখায়, সুখ তখনই পূর্ণতা পায় যখন তা অন্যের সাথে ভাগ করে নেওয়া যায়।

৪. ধৈর্য ও অটল ভরসা

ইসমাঈল (আ.)-এর ধৈর্য আর আল্লাহর উপর অটুট ভরসা আমাদের হৃদয়ে আলো জ্বালায়। জীবনে যখন ঝড় আসে, যখন পরীক্ষা আমাদের দমিয়ে দিতে চায়, তখন কুরবানির এই গল্প আমাদের শক্তি যোগায়। এটি আমাদের শেখায়, আল্লাহর উপর ভরসা রাখলে কোনো পরীক্ষাই আমাদের ভেঙে দিতে পারে না।

কুরবানির আধুনিক তাৎপর্য

আজকের এই ব্যস্ত, দ্রুতগতির জীবনে কুরবানির শিক্ষা আমাদের হৃদয়ে নতুন করে আলো জ্বালায়। আমরা প্রায় ভুলে যাই, জীবনের প্রকৃত সুখ নিজের জন্য সঞ্চয় করার মধ্যে নয়, বরং অন্যের জন্য উৎসর্গ করার মধ্যে। কুরবানি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমাদের সম্পদ, সময়, আর ভালোবাসা যখন আমরা অন্যের সাথে ভাগ করে নিই, তখনই আমরা আল্লাহর কাছে এক ধাপ এগিয়ে যাই।

এছাড়া, কুরবানি আমাদের পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হতে শেখায়। পশু জবাই ও মাংস বিতরণে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, পরিবেশের প্রতি যত্নশীল থাকা—এটি আমাদের ধর্মীয় দায়িত্বেরই অংশ। কুরবানি আমাদের হৃদয়ে এই সত্য উদ্ভাসিত করে যে, আল্লাহর জন্য এটি আমাদের পক্ষ থেকে নিছক একটি ইবাদতই নয়, বরং এটি সমাজকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয় এবং পৃথিবীকে আরও সুন্দর ও অর্থপূর্ণ করার এক পবিত্র মাধ্যম।

উপসংহার

কুরবানি একটি পবিত্র ইবাদত, যা আমাদের হৃদয়কে আল্লাহর দরবারে পৌঁছে দেয়। এটি শুধু একটি রীতি নয়, বরং একটি জীবনদর্শন—যা আমাদের শেখায় ত্যাগের মাধুর্য, সমর্পণের গভীরতা, আর ভালোবাসার অপরিসীম শক্তি। হযরত ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাঈল (আ.)-এর জীবন আমাদের সামনে তুলে ধরে এক অমর আদর্শ—আল্লাহর প্রতি ভালোবাসাই জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য। প্রতি বছর ঈদুল আযহায় যখন আমরা কুরবানি দিই, তখন আমাদের হৃদয়ে এই শিক্ষাগুলো জাগ্রত হোক। আমরা যেন এই ত্যাগের মাধ্যমে নিজেদের হৃদয়কে শুদ্ধ করি, সমাজকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিই, আর আল্লাহর নৈকট্য লাভ করি।

আল্লাহ আমাদের সকলকে কুরবানির প্রকৃত তাৎপর্য হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৭

ফেনিক্স বলেছেন:



আগের দিনে সব জাতি বলি দিতো; বেদুইনরাও বলি দিতো, সেটা আপনিও করতেছেন।

২৫ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার কথার মানে কি এই যে, হযরত ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাঈল (আ.)-কে কেন্দ্র করে কুরবানির যে প্রেক্ষাপট ও ইতিহাস পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, তা সঠিক নয়?

স্পষ্টভাবে উত্তর দিবেন। ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে ম্যাঁওপ্যাঁও (আপনার ভাষায়) করবেন না প্লিজ!

২৫ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



'যামিনী সুধা'র কী হয়েছে? আবার নতুন আইডি কেন?

২| ২৫ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৯

ফেনিক্স বলেছেন:





ইহদী জাতির জনক ( ইহুদীদের ইতিহাস মতে ) আব্রাহাম উনার সন্তানকে বলি দিতে চেয়েছিলেন; ইহা তালমুদ থেকে বাইবেলে এসেছে; সেখান থেকে কোরানে যোগ করা হয়েছে; আদি যুগে সব জাতি বলি দিতো; মানুষও বলি দেয়া হয়েছে।

২৫ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ইবরাহিম (আ.)-এর কুরবানির ঘটনা কেবল ইহুদি বা খ্রিস্টান ঐতিহ্যে নয়, বরং ইসলামে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আখ্যান, যা কুরআনে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। ইসলাম কুরবানি প্রথাকে শুধু অতীতের অনুসরণ নয়, বরং তাকওয়া, আনুগত্য ও ত্যাগের প্রতীক হিসেবে স্থাপন করেছে। অতএব, কুরবানি কোনো অন্ধ অনুকরণ নয়, বরং মহান আল্লাহর আদেশ পালনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির শিক্ষা।

আপনি তালমুদ, বাইবেল পড়েছেন?

৩| ২৫ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৪১

ফেনিক্স বলেছেন:



যামিনী সুধা নিক ব্যান খেয়েছে; আমাকে যে বছরের পর বছর ব্যান করে যাচ্ছে, আপনি তো ইহার প্রতিবাদ করেননি।

২৫ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



মতের সাথে অমিল থাকতেই পারে। তাতে কি? আমি বিভিন্ন সময় কথা বলেছি, এই ব্লগেই তার প্রমান আছে।

৪| ২৫ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৪

নতুন বলেছেন: মুসলামানদের মাঝে কুরবানী এখন ভালো গরুর মাংস খাওয়ার একটা উতসব।

আমাদের দেশে মোল্যারা কুরবানীতে চামরা, যাকাত, ফেতরার পেছনে অনেক সময় দেয়।

দেশের সাধারন মানুষের কাছেও কুরবানীর গরু পালন করে একটা ভালো আয়ের ব্যবস্থা হয়।

তাই আমাদের সমাজে কুরবানী করা একটা অনেক বড় বিষয়।

আরব সমাজে তারা স্লোটার হাউজে কুরবানী দেয়। আমাদের দেশের মতন এতো বড় উতসব আরব সমাজে না।

২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি যেভাবে কুরবানীকে কেবল মাংস খাওয়ার উৎসব বলছেন, তা একপেশে এবং ভুল। কুরবানী ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যার উদ্দেশ্য আত্মত্যাগ ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আরব দেশ বা বাংলাদেশ – ইবাদতের রূপ আলাদা হলেও উদ্দেশ্য একটাই। কুরবানীর আত্মিক দিকটাই মূল, মাংস নয় (সূরা হজ্জ, আয়াত ৩৭)।

৫| ২৫ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফেনিক্স@যামিনী সুধা ব্যান খাওয়ার একান্ত দায় আপনার নিজের। কেউ আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নাই। আপনার ব্লগিং ধারা হচ্ছে প্রথম ১/২ মাস ঠান্ডা থাকেন তারপর আবার সেই ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে কমেন্ট করা শুরু করেন। :#) । জানেন যে মডু ঐই টপিক নিয়ে কমেন্ট বা লিখলে ব্যান করবেই।

২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



একেবারে যথার্থ বলেছেন। এমন বহুত কামেল(!) লোক আছেন যারা নিজেদের লুঙ্গি ধরে রাখতে পারেন না! উনিও লোক জ্ঞানী বটে, তবে নিজের আইডিটা রক্ষা করতে পারেন না!

৬| ২৫ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

ফেনিক্স বলেছেন:


@সৈয়দ কুতুব ,

আপনি ৩০ জনের যুগে ব্লগিং শুরু করছেন, যাদের মাঝে ২০ জনই লিখতে পারেন না ও কমেন্ট করতে জানেন না; আমি ২০ হাজার ব্লগারের সময় থেকে ব্লগিং করতে করতে ৩০ জনের সময়ে এসে ঠেকেছি। আমরা সবাই ব্লগিং করছি; তবে, আমাদের সবার ব্লগিং একই ধারার নয়।

২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



ইহা মূল্যবান কথা। ব্লগিং কেউ শিখতে চাইলে আপনার কাছে অবশ্যই তাকে আসতে হবে। মাসে মাসে কীভাবে আইডি হারাতে হয়, এটা আপনার চেয়ে বেশি ভালো আর কেউ বলতে পারবে না।

৭| ২৫ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফেনিক্স@সাতমাসে তারজন্য চারটা নিক ব্লক খাবেন ? সোনাগাজী-জেনারেশন ৭১- চেংগিস খান - যামিনী সুধা ?

২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



উনার টোটাল হারানো আইডির সংখ্যা সম্ভবতঃ ডজন ছাড়িয়ে গেছে!

৮| ২৫ শে মে, ২০২৫ রাত ৮:৩৯

কামাল১৮ বলেছেন: কোরবানি সম্পর্কে ফেনিক্স যা বলার বলে দিয়েছে।নতুন করে আর কিছু বলার নাই।পেগানদের কাছ থেকেই উত্তরাধিকার সূত্রে বিভিন্ন গোত্র ও ধর্ম কিছু পরিববর্তন করে গ্রহন করে।মূল বিষয় একই।পশুর জীবন নেয়া।

২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্য ইসলামবিদ্বেষী এবং ইতিহাসবিকৃত। কুরবানী কোনো পেগান প্রথা নয়, বরং এটা হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর স্মৃতি ও আল্লাহর আদেশ পালন। এটা আত্মত্যাগের প্রতীক, কেবল পশু জবাই নয় (সূরা সাবা, আয়াত ৪৬)।

ইসলামের এই মহান ইবাদতকে বিকৃত করে দেখা আপনার অজ্ঞতা প্রকাশ করে।

৯| ২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:১২

ফেনিক্স বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "ইবরাহিম (আ.)-এর কুরবানির ঘটনা কেবল ইহুদি বা খ্রিস্টান ঐতিহ্যে নয়, বরং ইসলামে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আখ্যান, যা কুরআনে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। ইসলাম কুরবানি প্রথাকে শুধু অতীতের অনুসরণ নয়, বরং তাকওয়া, আনুগত্য ও ত্যাগের প্রতীক হিসেবে স্থাপন করেছে। অতএব, কুরবানি কোনো অন্ধ অনুকরণ নয়, বরং মহান আল্লাহর আদেশ পালনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির শিক্ষা।

আপনি তালমুদ, বাইবেল পড়েছেন? "


-আমি বাইবেল, তোরাহ, তালমুদ পড়েছি।
মানুষ যখনই জীবজন্তু বলি দিয়েছে, তারা বলেছে সে সৃষ্টিকর্তার আদেশে তা করেছে; কিন্তু আজ পরিস্কার যে, বলি দেয়া ছিলো কমজ্ঞানী আদি মানুষেদের ভুল প্র্যাকটিস।

২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আমি বাইবেল, তোরাহ, তালমুদ পড়েছি।

-আপনি বাইবেল, তোরাহ বা তালমুদ পড়েছেন বলে দাবি করলেও আপনার বক্তব্যে তা প্রতিফলিত হয়নি। কারণ এই আসমানী ধর্মগুলোর প্রতিটিতেই কুরবানীর ইতিহাস ও তাৎপর্য আছে। আপনি ইসলামকে ছোট করার চেষ্টা করে বরং নিজের মনের সংকীর্ণতা প্রকাশ করছেন। ইসলাম মহান, তাকে অপমান করে কেউ কখনো বড় হতে পারেনি, হবেও না।

২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মানুষ যখনই জীবজন্তু বলি দিয়েছে, তারা বলেছে সে সৃষ্টিকর্তার আদেশে তা করেছে; কিন্তু আজ পরিস্কার যে, বলি দেয়া ছিলো কমজ্ঞানী আদি মানুষেদের ভুল প্র্যাকটিস।

-আপনার কথায় স্পষ্ট, আপনি ঈমানহীনতা ও অহংকারের ব্যাধিতে আক্রান্ত। আপনি যত ধর্মগ্রন্থই পড়ুন না কেন, যদি সত্য উপলব্ধি না করেন, তবে তা কেবল জ্ঞানের ভান মাত্র। কুরবানী আল্লাহর স্পষ্ট হুকুম এবং হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আনুগত্য, ত্যাগ ও আল্লাহভীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। একে "ভুল প্র্যাকটিস" বলা নিছক মনের রোগ এবং বিদ্বেষপূর্ণ বিকৃতি।

১০| ২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: কুরবানি দাও মাংস খাও।
ব্যস শেষ। আমাদের দেশে অনেক পরিবার শুধু কুরবানির সময় মাংস খায়। এজন্য কুরবানি খুবই গুরুত্বপূর্ন।

২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার দৃষ্টিভঙ্গি একপেশে ও অবজ্ঞাসূচক। কুরবানী শুধু মাংস খাওয়ার বিষয় নয়, বরং তা তাকওয়া, ত্যাগ ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত (সূরা হজ্জ, আয়াত ৩৭)।

কুরবানীকে যারা শুধু দুনিয়াবি দৃষ্টিতে দেখে, তারা কখনো এর আসল মাহাত্ম্য বুঝতে পারে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.