![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
সমুদ্রের অতল গহীনে শোকগাথা: বিশ্বের ভয়াবহ সাবমেরিন দুর্ঘটনাসমূহ সাবমেরিনের ছবিটি এআই এর সহায়তায় তৈরিকৃত।
ভূমিকা
সমুদ্রের নিঃশব্দ গভীরতায় সাবমেরিনগুলো যেন ছায়ার মতো বিচরণ করে, সামরিক ও বৈজ্ঞানিক অভিযানে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু যখন এই অত্যাধুনিক যান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তখন তা কেবল যান্ত্রিক ব্যর্থতা নয়, বরং শতশত পরিবারের স্বপ্নভঙ্গের মানবিক ট্র্যাজেডিতে রূপ নেয়। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে আজ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সাবমেরিন দুর্ঘটনা বিশ্ববাসীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। প্রযুক্তিগত ত্রুটি, নকশাগত সীমাবদ্ধতা, মানবিক ভুল বা প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জের কারণে এই দুর্ঘটনাগুলো মর্মান্তিক রূপ নিয়েছে। এই প্রতিবেদনে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সাবমেরিন দুর্ঘটনার বিবরণ, ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির তথ্য তুলে ধরা হলো, যা ইতিহাসে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
উল্লেখযোগ্য সাবমেরিন দুর্ঘটনাসমূহ
১. USS Squalus (যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৩৯)
অবস্থান: নিউ হ্যাম্পশায়ার উপকূল
প্রাণহানি: ২৬ জন
উদ্ধার: ৩৩ জন সফলভাবে উদ্ধার
১৯৩৯ সালের ২৩ মে, সার্গো-ক্লাস সাবমেরিন ইউএসএস স্কুয়ালাস একটি পরীক্ষামূলক ডুবের সময় ভালভ ব্যর্থতার কারণে ৭৩ মিটার গভীরতায় সমুদ্রতলে ডুবে যায়। মার্কিন নৌবাহিনীর অসাধারণ উদ্ধার অভিযানে "Momsen Lung" নামক যন্ত্র ব্যবহার করে ৩৩ জন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এই উদ্ধার অভিযান সাবমেরিন উদ্ধার কৌশল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির পথে মাইলফলক হয়ে ওঠে। সাবমেরিনটি পরে উত্তোলন করে মেরামতের পর ইউএসএস সেলফিশ নামে পুনরায় সেবায় ফিরিয়ে আনা হয়।
২. HMS Thetis (যুক্তরাজ্য, ১৯৩৯)
অবস্থান: আইরিশ সাগর
প্রাণহানি: ৯৯ জন
পরীক্ষামূলক অভিযানের সময় একটি বায়ু-ভেন্ট ভুলভাবে খোলা থাকায় পানির প্রবেশ ঘটে। উদ্ধার অভিযান বিলম্বিত হওয়ায় অনেকে বাঁচার সম্ভাবনা হারান। এই দুর্ঘটনা ব্রিটিশ সাবমেরিন নকশার নিরাপত্তা প্রশ্নে আলোড়ন তোলে।
৩. USS Scorpion (যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৬৮)
অবস্থান: আটলান্টিক মহাসাগর
প্রাণহানি: ৯৯ জন
আমেরিকান নৌবাহিনীর পারমাণবিক চালিত এই সাবমেরিনটি সনাক্তবিহীন কারণে নিখোঁজ হয়। পরে এটি ৩,০০০ মিটার গভীর সমুদ্রতলে পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, ব্যাটারি ত্রুটি বা টর্পেডো বিস্ফোরণ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে নির্দিষ্ট কিছু আজও অজানা।
৪. K-129 (সোভিয়েত ইউনিয়ন, ১৯৬৮)
অবস্থান: প্রশান্ত মহাসাগর
প্রাণহানি: ৯৮ জন
কোল্ড ওয়ারের উত্তাল সময়ে পারমাণবিক সাবমেরিন K-129 রহস্যজনকভাবে ৫,০০০ মিটার গভীরতায় ডুবে যায়। যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তীতে “Project Azorian” নামে গোপন অভিযানে এর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ আজও বিতর্কিত রয়ে গেছে।
৫. K-8 (সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭০)
অবস্থান: বিস্কে উপসাগর
প্রাণহানি: ৫২ জন
বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সাবমেরিনটি উদ্ধার করতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট হয় এবং পরে তা ডুবে যায়। পারমাণবিক চুল্লি সমুদ্রের তলদেশে রয়ে যায়।
৬. K-278 Komsomolets (সোভিয়েত ইউনিয়ন, ১৯৮৯)
অবস্থান: নরওয়েজিয়ান সাগর
প্রাণহানি: ৪২ জন
বিশ্বের গভীরতম স্থানে ডুবতে সক্ষম সাবমেরিনটি onboard অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়। ফলে বিস্ফোরণ ও তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার কারণে পরিবেশগত হুমকি সৃষ্টি করে। রাশিয়ান উদ্ধার প্রচেষ্টা সময়মতো না হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়ে।
৭. K-141 Kursk (রাশিয়া, ২০০০)
অবস্থান: বারেন্টস সাগর
প্রাণহানি: ১১৮ জন
ইতিহাসের অন্যতম মর্মান্তিক সাবমেরিন দুর্ঘটনা। ২০০০ সালের ১২ আগস্ট, অস্কার-২ ক্লাসের এই পারমাণবিক সাবমেরিনটি একটি সামরিক মহড়ার সময় টর্পেডো বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়। প্রাথমিক বিস্ফোরণে বেশিরভাগ ক্রু নিহত হলেও কিছু নাবিক অক্সিজেনের অভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করেন। রাশিয়ার বিলম্বিত উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, এবং পরে আন্তর্জাতিক সহায়তায় সাবমেরিনটি বিশাল খরচে উত্তোলন করা হয়।
৮. ARA San Juan (আর্জেন্টিনা, ২০১৭)
অবস্থান: দক্ষিণ আটলান্টিক
প্রাণহানি: ৪৪ জন
জার্মান নির্মিত এই ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিনটি ব্যাটারির বিস্ফোরণের ফলে সমুদ্রের ৯০০ মিটার গভীরে ডুবে যায়। এক বছর পর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়। বিষয়টি আর্জেন্টিনার সামরিক সক্ষমতা ও দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থার দুর্বল চিত্র তুলে ধরে।
৯. KRI Nanggala-402 (ইন্দোনেশিয়া, ২০২১)
অবস্থান: বালি উপকূল
প্রাণহানি: ৫৩ জন
২০২১ সালের এপ্রিলে প্রশিক্ষণের সময় এই ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিনটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ৮৫০ মিটার গভীরতায় ডুবে যায়। অতিরিক্ত পানির চাপে সাবমেরিনটি তিন টুকরো হয়ে যায়। ধ্বংসাবশেষ সনাক্ত হলেও উদ্ধার সম্ভব হয়নি। এই ঘটনা ইন্দোনেশিয়ার পুরোনো সাবমেরিন বহরের আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
১০. টাইটান সাবমার্সিবল (২০২৩)
অবস্থান: আটলান্টিক মহাসাগর, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে
দুর্ঘটনার ধরন: উচ্চ পানির চাপে বিস্ফোরণ
প্রাণহানি: ৫ জন
২০২৩ সালের ১৮ জুন, ওশানগেট নামক বেসরকারি সংস্থার পরিচালিত টাইটান সাবমার্সিবল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড পানির চাপে বিস্ফোরিত হয় এবং ছোট্ট সাবমার্সিবল নৌযানটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়। এতে ওশানগেটের সিইও ও পাইলট, এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার এবং গভীর সমুদ্র অভিযাত্রী স্টকটন রাশ (৬১), তিনটি গিনেস রেকর্ডধারী, মারিয়ানা ট্রেঞ্চে ডুব দেওয়ার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং ২০২২ সালে মহাকাশ ভ্রমণকারী, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী, অ্যাকশন এভিয়েশনের চেয়ারম্যান হামিশ হার্ডিং (৫৮), পাকিস্তানি-ব্রিটিশ ব্যবসায়ী, এনগ্রো কর্পোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাদা দাউদ (৪৮), স্ট্রাথক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহজাদার পুত্র সুলেমান দাউদ (১৯) এবং “মিস্টার টাইটানিক” খ্যাত ফরাসি টাইটানিক বিশেষজ্ঞ যিনি ৩৭ বার টাইটানিকে ডুব দেন এবং ৫,০০০+ নিদর্শন উদ্ধার করেন পল-অঁরি নার্জোলেত (৭৭), অর্থাৎ ৫ জন আরোহীর সকলেই প্রাণ হারান। পুত্র সুলেমান দাউদ বাবার অনুরোধে অনিচ্ছাসত্ত্বেও এই ভ্রমণে যোগ দিয়েছিলেন। সাবমার্সিবলটি টাইটানিকের কাছাকাছি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে বিপর্যয় ঘটে। পাঁচ দিনের ব্যাপক অনুসন্ধানের পর মার্কিন কোস্ট গার্ড জানায়, প্রচণ্ড পানির চাপে (৬,০০০ পিএসআই) সাবমার্সিবলটি বিস্ফোরিত হয়ে ধ্বংস হয়। ব্যয়বহুল এই ভ্রমনে প্রতি যাত্রীর টিকিট মূল্য ছিল ২,৫০,০০০ ডলার। সাবমার্সিবলটি আন্তর্জাতিক জলে পরিচালিত হওয়ায় কোনো নিরাপত্তা বিধির অধীনে ছিল না।
এই ঘটনায় বেসরকারি উদ্যোগে গভীর সমুদ্র অভিযানের নিরাপত্তা বিধি ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং বাণিজ্যিক সাবমার্সিবলের ঝুঁকি প্রকাশ করে।
দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান
বিশ্বে সাবমেরিন দুর্ঘটনার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা বর্তমান রাশিয়া সর্বাধিক চারটি বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুটি দুর্ঘটনার মাধ্যমে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা এবং ইন্দোনেশিয়া প্রত্যেকে একটি করে উল্লেখযোগ্য দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। আর একটি দুর্ঘটনা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার সময় বেসরকারি টাইটান সাবমার্সিবল নৌযানে যাত্রার সময় সংঘটিত হয়েছে।
উপসংহার
সাবমেরিন প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক, সমুদ্রের অতল গভীরতা এখনও এক রহস্যময় ও প্রতিকূল জগৎ। প্রতিটি দুর্ঘটনা প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এবং মানবিক ভুলের ভয়াবহ পরিণতির সাক্ষ্য বহন করে। কিছু দুর্ঘটনা সামরিক গোপনীয়তার আড়ালে হারিয়ে গেলেও, এগুলো ইতিহাসে “অদৃশ্য ট্র্যাজেডি” হিসেবে রয়ে যায়। সাবমেরিন নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং উদ্ধার ব্যবস্থার মানোন্নয়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের বিপর্যয় প্রতিরোধ সম্ভব। এই শোকগাথাগুলো আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, সাহসী নাবিকদের জীবন রক্ষায় প্রযুক্তি ও মানবিক দক্ষতার সমন্বয় অপরিহার্য।
০১ লা জুন, ২০২৫ সকাল ৮:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি সঠিক বলেছেন—আল্লাহ্ তাআ'লা প্রত্যেকের মৃত্যু নির্ধারিত করেছেন। তবে সতর্কতা অবলম্বন করা ঈমান ও দায়িত্বশীলতার অংশ, কারণ নবী করিম (সা.) নিজেও যুদ্ধের সময় বর্ম পরেছেন। তাই নির্ধারিত মৃত্যুর বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে সাবধানতাও ইসলামী শিক্ষার অংশ।
সুন্দর মন্তব্যটি রেখে যাওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ৩১ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০১
জুন বলেছেন: Click This Link
০১ লা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪৬
নতুন নকিব বলেছেন:
লিঙ্কটি দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ৩১ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩
জুন বলেছেন: লিংকটি ঠিক মত আসে কি না দেখতে গিয়ে মন্তব্য করা হয় নি নতুন নকিব। ব্যারেন্ট সাগরে ডুবে যাওয়া সাবমেরিন নিয়ে আমার দুই পর্বের ছোট্ট লেখাটা পড়ার অনুরোধ রইলো। এটা একটা ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিল নকিব।
০১ লা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭
নতুন নকিব বলেছেন:
দু'টি পর্বই পড়েছি এবং কমেন্ট করেছি। অনেক সুন্দর লিখেছেন। আবারও ধন্যবাদ।
৪| ০১ লা জুন, ২০২৫ দুপুর ১:০৬
জুন বলেছেন: আপনার লেখাটিও খুব ইনফরমেটিভ। ২০২৩ এর জুনে সমুদ্রের অতলে তলিয়ে যাওয়া টাইটানিক দেখতে এক বাবা ও তার ১৯ বছরের ছেলে সহ মোট ৫ জন রওনা হয় ছোট একটি সাবমেরিন করে যার নাম টাইটান । ছেলেটার ইচ্ছে ছিল না যাওয়ার, শুধু বাবার অনুরোধে গিয়েছিল। খুব অল্প সময়ের জন্য ছিল এই ভ্রমণ টাইটানিক এর কাছাকাছি পৌছার সাথে সাথেই প্রচন্ড বিস্ফোরণে বিস্ফোরিত হয়ে মারা গিয়েছিল তারা। খুবই হৃদয়বিদারক ঘটনা নতুন নকিব। এই সাবমেরিন দুর্ঘটনার খবরটিও আপনার লেখায় সংযোগ করতে পারেন।
আমি ভারতের বিশাখাওপটনমের সমুদ্রের তীরে মিউজিয়াম হিসেবে রাখা সাবমেরিন কুরুসুরার ভেতরে ঘুরে এসেছিলাম। এটা নিয়ে ব্লগে আমার ছবি সহ পোস্ট আছে নকিব। কারণ ব্যারেন্ট সাগরের কান্না লেখার পর সাবমেরিন এর ভেতরে কেমন তা দেখার একটা কৌতূহল ছিল।
অনেক কথা লিখে ফেললাম। আশা করি কিছু মনে করবেন না
অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য। আমি একটু সময় নিয়ে উত্তর দিবো।
০১ লা জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
আমি আসলে টাইটানের এই দুর্ঘটনাটি এই তালিকায় যুক্ত করার বিষয়ে পোস্ট লেখার সময়েই ভেবেছিলাম। পরে মনে হয়েছে যে, টাইটান সাবমার্সিবলকে তো পুরোপুরি একটি প্রথাগত সাবমেরিন বলা যায় না। তাছাড়া, বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত এটির ক্ষেত্রে তেমন কোনো নিরাপত্তা প্রটোকলও ছিল না। অধিকন্তু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জেনেছিলাম যে, পাইলট না কি ছিলেন কিছুটা একরোখা এবং অনেকটা দুঃসাহসী। কারও কথায় খুব একটা কর্ণপাত করতেন না। নিরাপত্তার বিষয়ে তার উদ্যোগ যথাযথ ছিল না। নানান দিক বিবেচনায় এটিকে তালিকায় যুক্ত করা থেকে বিরত থেকেছিলাম। যা হোক, সরকারি কিংবা বেসরকারি, উদ্যোগ যেটাই হোক, ভয়াবহভাবে পাঁচ পাঁচজন মানুষের প্রাণহানির মত দুর্ঘটনা তো ঘটেছে। সুতরাং, আপনার কথামত দুর্ঘটনাটিকে পোস্টে যুক্ত করে দিলাম।
আন্তরিক পরামর্শের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪১
অল্প বিদ্যা ভয়ংকর বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন প্রতিটি মৃত্যু ঠিক সেভাবে হবে যেভাবে যার মৃত্যু নির্ধারিত। তবুও সতর্ক থাকাত কথা এসেছে।