![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নাজিম হাসান, জার্মানির কোলন শহরের প্রেমে পড়েছি। পড়ছি যন্ত্র প্রকৌশল এবং কম্পিউটার প্রকৌশলে একসাথে । ভালোবসি ভ্রমন করতে, শখের জন্য গিটার নিয়ে অবসরে টুংটাং।কিছুটা আত্মকেন্দ্রিক, রান্না করা অনেক পছন্দের কাজ। এতোকিছুর পরও কিছু সময় অবশিষ্ট থেকেই যায়, তাই ভাবলাম ব্লগ লিখি।
শিরোনামটা অদ্ভুত হলেও সত্য। যদিও আমি ইজ্ঞিনিয়ারিং পড়ছি, তবে ইজ্ঞিনিয়ারিংয়ের টার্ম, থিওরি এসবের চেয়ে মসলা, তেল এবং লবনের মিশ্রণ নিয়ে খেলতেই বেশী মজা লাগে আজকাল। পড়াশুনার ফাঁকে তাই লাইব্রেরির চেয়ে বেশী সময় আমার রান্নাঘরেই কাটে। হ্যাঁ সবার মতো পাঠকের মনেও হয়তো প্রশ্নের উদয় হতে পারে তাহলে ইজ্ঞিনিয়ারিং কেন? আমার জার্মান বন্ধু, যার সাথে আমার সবসময় প্রতিযোগিতা লেগে থাকে, ডানিয়েল, ও ছেড়ে দিয়েছে ১ বছরের ইজ্ঞিনিয়ারিং পড়ে। এখন পড়ছে পলিটিক্যাল সাইন্স। ওর সাথে আমার প্রতিযোগিতাটা মূলত রান্না নিয়ে, কে কত ভালো রান্না করতে পারে, কে কতো বেশী সুনাম কুড়াতে পারে, এই নিয়ে। সেদিন আমার বাসার ও দাওয়াতে এসে বলে, “তুমি খামোখা জীবনের সুখ নষ্ট করতেসো, পরে আফসোস করবা। তুমি যেহেতু এসবে মজা পাইতেসো তো ইজ্ঞিনিয়ারিংয়ের এইসব কঠিন টার্ম নিয়ে পড়ে থাকার কোনো মানে নেই।” হ্যাঁ, রান্না করা, পরিবেশন করা আমি অনেক উপভোগ করি। ইতোমধ্যে আমার রান্নার গুনগ্রাহির তালিকাতে বাংলাদেশ, জার্মানি, তুরস্ক, কলম্বিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, রাশিয়া, মিশর, তিউনিসিয়া, জর্ডান, ইতালি, পোল্যান্ড, মরক্কো, স্পেনের কতিপয় বন্ধুগণ রয়েছে। তবে ইজ্ঞিনিয়ারিংয়ের কারনে ঘর ছেড়ে প্রবাসে। অন্যরকম একটা টান আছে ইজ্ঞিনিয়ারিংয়ের প্রতি। তবে নিজেকে ইজ্ঞিনিয়ার না, সফল পাচক হিসেবে দেখেই বেশী আনন্দ পাই।
সবার মুখের হাসিতে অদ্ভুত এক সুখ পাওয়া যায়। আর মাসশেষে নিজের বাজার খরচ দেখে বুকের বাম পাশটাতে চিণচিণ ব্যথা। সুখ দুঃখের অদ্ভুত এই মিশ্রণে পেরিয়ে গেলো দুটি বছর। প্রাপ্তি আছে অনেক, অপ্রাপ্তির চেয়ে। এইতো এই ফুটবল বিশ্বকাপে আমার একটা রান্না হঠাৎ করে স্পেশাল ডিশ হয়ে গিয়েছিলো, জার্মানির দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে হেড়ে যাবার পর! পরে লিখব সেই কাহিনী একদিন।
©somewhere in net ltd.