![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন আকাশে আমি উড়িনা । বাস্তবতাই আমার সঙ্গি ।
আমাদের মাতৃভাষা : ভাষা মনের ভাব প্রকাশের অন্যতম বাহন
। মানুষ প্রধানত মাতৃভাষার মাধ্যমেই স্বাধীনভাবে মনের
ভাব প্রকাশ করে থাকে । মা, মাতৃভাষার সাথে নাড়ির টান
সর্ম্পক অবিচ্ছেদ্য । আমরা বাঙালি ,বাংলা আমাদের
মাতৃভাষা । বিশ্বের প্রায় ৩০কোটি মানুষের
মাতৃভাষা বাংলা । মাইকেল ,
বঙ্কিমচন্দ্র ,রবীন্দ্রনাথ ,নজরুল ,জীবনান্দ,শরতচন্দ্রসহ অসংখ্য
সাহিত্যকর্মী ও ভাষাপ্রেমী মনীষীর
কর্মপ্রয়াসে বাংলা ভাষা উন্নীত হয়েছে আন্তর্জাতিক
মানে । ১৯৫২ সালের
২১শে ফেব্রুয়ারী ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের
ঐতিহাসিক আমতলায় হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী একত্র
হয়েছিলেন সেই উদ্দীপ্ত তরুণদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা চলছিল
। রাষ্ট্রভাষা বাঙলা চাইব -এই দাবিতে এক অদ্ভুত
চঞ্চলতা চলছিল । তারা সেইদিন
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সব ধরনের নিপীড়নের বিবরুদেদ্ধ
রুখে দাড়াতে যূথবদ্ধ হয়ছিলেন । তারা সেদিন বজ্রদীপ্ত
কন্ঠে ১৪৪ ধারা ভাংগার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন । তার পর
দলে দলে বিভক্ত হয়ে ছাত্রছাত্রীরা মিছিল বের
করলে পুলিশ তাদের উপর
লাঠিপেটা করে ,কাদানে গ্যাসের শেল
ছোড়ে ,গুলি করে হত্যা করে সালাম,বরকত,রফিক,
শফিক ,জব্বারসহ অরো নাম না জানা অনেককে । কিন্তু সেই
নৃশংস হত্যাকান্ড অমিত প্রাণের কল্লোল
থামাতে পারে না । আন্ন্দোলন
ছড়িয়ে পড়ে গোটা শহরে ,সারা দেশে । তারপরদিন প্রথম
শহীদ দের স্মরণ করে ঢাকায় শহীদ মিনার তৈরী করা হয়
যা পাক শাসক ভেংগে ফেলে।
সময়টা ছিল ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীর
বিকেলে তিনটা ২০ থেকে ৫০ মিনিট । সেই বিকেলের ৩০
মিনিটে তারা নির্ধারণ করে দিয়েঠছলেন আমাদের
জাতি আর মাতৃভাষার ভবিষ্যতকে । এই সেই ৩০ মিনিট যখন
পুলিশ সতর্কবাণী না উচ্চারণ করেই
নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন । এই সেই ৩০ মিনিট
যা প্রতিবাদী তরুণ তরুণীদের সমবেত শক্তিকে অরো বহুগুণ
বাড়িয়ে দিয়েছিল , তাদের সংকল্প আরো অটল
করে তুলেছিল । তারা গুলির সামনে বুক পেতে দেওয়ার সাহস
দেখিয়েছিলেন । সেই ৩০ মিনিটই নির্ধারণ
করে দিয়েছিলেন আমাদের মহান মাতৃভাষার আর জাতির
ভাগ্য ,যা কিনা স্ফুলিংগ হিসেবে কাজ করছে । সেই
স্ফুলিংগ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছিল শহর
থেকে গ্রামে , প্রতিটি জনপদে । এরপর একটি তারিখ
২১শে ফেব্রুয়ারী ,একটি বছর ১৯৫২ সাল আমাদের অত্ত্যন্ত আপন
হয়ে আমাদের হৃদয়ে চিরকালের জন্য ঠাই পেয়ে গেছে ।
আমাদের ভাষা বাংলাকে আমরা নিজের করে পেয়েছি ।
আমরা একটি দেশ পেলাম যার নাম বাংলাদেশ ।
আ,রা একটি দিবস পেলাম যাকে সারা বিশ্ব স্বীকৃতি দিল
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ।
সময়টা ছিল ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীর
বিকেলে তিনটা ২০ থেকে ৫০ মিনিট । সেই বিকেলের ৩০
মিনিটে তারা নির্ধারণ করে দিয়েঠছলেন আমাদের
জাতি আর মাতৃভাষার ভবিষ্যতকে । এই সেই ৩০ মিনিট যখন
পুলিশ সতর্কবাণী না উচ্চারণ করেই
নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন । এই সেই ৩০ মিনিট
যা প্রতিবাদী তরুণ তরুণীদের সমবেত শক্তিকে অরো বহুগুণ
বাড়িয়ে দিয়েছিল , তাদের সংকল্প আরো অটল
করে তুলেছিল । তারা গুলির সামনে বুক পেতে দেওয়ার সাহস
দেখিয়েছিলেন । সেই ৩০ মিনিটই নির্ধারণ
করে দিয়েছিলেন আমাদের মহান মাতৃভাষার আর জাতির
ভাগ্য ,যা কিনা স্ফুলিংগ হিসেবে কাজ করছে । সেই
স্ফুলিংগ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছিল শহর
থেকে গ্রামে , প্রতিটি জনপদে । এরপর একটি তারিখ
২১শে ফেব্রুয়ারী ,একটি বছর ১৯৫২ সাল আমাদের অত্ত্যন্ত আপন
হয়ে আমাদের হৃদয়ে চিরকালের জন্য ঠাই পেয়ে গেছে ।
আমাদের ভাষা বাংলাকে আমরা নিজের করে পেয়েছি ।
আমরা একটি দেশ পেলাম যার নাম বাংলাদেশ ।
আ,রা একটি দিবস পেলাম যাকে সারা বিশ্ব স্বীকৃতি দিল
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে । আমরা এই দিবস
যথাযথ মযদায় পালন করব এবং দেশের মানুষের সামনে এর গুরুত্ব
তুলে ধরব।
বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক
প্রয়াসে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু হয়েছে । ১৯৯৯
সালে জাতিসংঘের শিক্ষা , বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক
সংস্থা (ইউনেস্কো ) এর ৩১তম সম্মেলমন বাংলাদেশের মহান
একুশে ফেব্রুয়ানরকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় । এই ঘোষণার ফলে আমাদের
একুশের গৌরবোজ্জল ইতিহাস বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে গেছে ।
২০০০ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি প্রথম আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন হওয়া এতে নতুন মাত্রা যোগ
করেছে। আমাদের মত জাতিসংঘের ১৮৮টি সদস্য দেশেও
উদযাপিত হয়ে থাকে এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ।
ইতিহাসের আন্তর্জাতিক পরিচিতি ,বিশ্বময় বিস্তার আর
উদযাপন যদি আমাদের ইতিহাসের মূল থেকে বিচ্চ্ছিন্ন
করে ফেলে , তাহলে জাতি হিসেবে আমরা দিন দিন
দেউলিয়া হয়ে পড়ব ।
২১শে ফেব্রুয়ারী সারা দুনিয়া আর্ন্তজাতিক
মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপন
করবে সরকারিভাবে :কিন্তু আমাদের
কাছে ২১শে ফেব্রুয়ারি প্রথমত মহান শহীদ দিবস তারপর
আন্তর্জাকতক মাতৃভাষা দিবস । মহান শহীদ দিবস শব্দ
তিনটি উচ্চারনণ বুকের মধ্যে রক্তের যে দাপাদাপি অনুভব
করি তা একান্তই আমাদের চেতনাজাত ।
বাংলা ভাষার চরম প্রকাশও পূর্ণ বিকাশ ঘটেছে বিশ্ব
মাতৃভাষা দিবসের মাধ্যমে বাংলা ভাষার সংরক্ষণের জন্য
১৯৫২ সালে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল এদেশের
অকুতোভয় সন্তানেরা । তাদের আত্মত্যাগ আজ আনাতর্জাতিক
পরিসরে মর্যাদা লাভ করেছে । বিশ্বের বিভিন্ন মানুষ
তাদের আত্মত্যাগ কে স্মরণ করবে । আমাদের গৌরবদীপ্ত
জীবনকাহিনী বিশ্ববাসী শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে । আর
আমাদের জাতীয় জীবনে বাংলা ভাষার সমৃদ্ধি এ
উন্নতি ত্বরান্বিত করতে হবে ।
©somewhere in net ltd.