![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলমান ১ এর পর থেকে , পুকুরের পানিগুলি ছিল টলটলে পরিস্কার । সেই সাথে আমরা পুকুরের ঘাটটি সব বন্ধু মিলে সপ্তাহে একদিন পরিস্কার করতাম । একদিন শীতের দিন মুখ চড় চড় করছে আমার আবার মুখের চামড়াটি শুষ্ক ছিল তাই ক্রিম নেওয়ার জন্য বোনদের প্রসাধনী নিতে হতো , তাদেরও খুব একটা ছিলো না তাই সেদিন স্নো , পাওডার , ভেজেলিন এক সাথে মুখে মেখে ফেলেছি এবং রদ্দ্রে ছিলাম অনেকক্ষণ তারপর দেখি মুখ চড় চড় করছে । মনে হচ্ছে মুখে যেন আস্তর পড়ে গেছে , তারপর সাবান দিয়ে আবার মুখ কয়েকবার ধুয়ে ফেললাম , তখন আবার মুখ জলতে লাগলো । তখন শীতের দিনে খেজুর গাছ এর রস খেতাম কখনও খুব ভোরে আবার কখনও মাঝ রাতে আবার খেজুর গাছের ছোবড়া পুড়িয়ে মান পাতা ছিদ্র করে তার মধ্যে পোড়া ছাই আগুন সহ বেধে দড়ি দিয়ে সন্ধ্যার পর ঘোরাতে ঘোরাতে রাস্তায় দৌড়ালে আতশবাজির মতো ফুলকি হতো যা ছিল খুব জনপ্রিয়ও ছোট ছেলেদের কাছে । ঠিক বংশীওয়ালার মতো অনেক ছেলেরা দৌড়াতো পিছু পিছু । আবার তখন ছোলা হোড়া খেতাম যা মাঠ থেকে তাজা ছোলার গাছ ফল সহ তুলে এনে সন্ধার আগে আগুন দিয়ে পুড়ায়ে ঐ পোড়া ছাই এর মধ্যে থেকে বেছে হাফ সিদ্ধ ছোলা খেতে খুব মজা লাগতো , খেতে হতো কয়েকজন বন্ধু মিলে আবার খাওয়ার সময় মুখে ঠোঠে কালি হয়ে যেতো যা ভূত সাজার মতো লাগতো আবার কেউ শয়তানি করে মুখে লাগিয়ে দিতো ছাই । আবার মাটির গুলি বানিয়ে তা শুকায়ে বাঁটুল নিয়ে গুগু পাখি মারতে যেতাম সে সাথে নদীর কুলে বক পাখিও মারতাম আবার তখন কাচের গুলিও খেলতাম এবং গুলি খেলায় জীতে গেলে হাফ প্যান্টের পকেটে অনেক গুলি ভরে যেত এবং হাঁটার সময় ঝন ঝন করে বাজতো , মাঝে মাঝে নিজেদের বাড়ীর পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম । তখন আমি একটি মাত্র প্যান্ট / শার্ট এর মালিক ছিলাম তাও আবার প্রতিনিয়ত পরিস্কার করতে হতো ঐ পুকুর ঘাটে । আবার বর্ষা কালে কখনো কখনো কাপড়গুলি সুকাতে হতো হ্যারিকেনের আলোয় । আবার ইস্ত্রি করতাম কয়লার আগুনের ইস্ত্রি দিয়ে যার ছাই কাপড়ের উপর পড়ে দাগ দাগ হয়ে যেতো যা পরলে অদ্ভুত লাগতো তবুও পরতাম তাই ভালো লাগতো । তখন আমার এক বন্ধু একটি নূতন প্যান্ট বানিয়েছিল ঐ প্যান্টটি দেখে আমার খুব ভালো লেগেছিলো , তাই ওর কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছিলাম ২ /১ দিন পরার জন্য , যেদিন বিকালে পরে বাইরে গিয়েছিলাম সেদিনিই কাদা / জল এর পানি পরে নোংরা হয়ে গিয়েছিল তাই সন্ধ্যার পর ভিজা তেনা দিয়ে মুছে রেখেছিলাম পরের দিন পরার জন্য । তখন আমার মনে হতো আমার যদি অনেক প্যান্ট / শার্ট / প্রসাধনী থাকতো তাহলে কতো ভালো হতো । তাই আজ আমার অনেক প্যান্ট / শার্ট / প্রসাধনী হয়েছে , দেখলেই বা ভালো লাগলেই কিনে ফেলি বা ফেলেছি যা রক্ষণাবেক্ষণ করাই এখন ঝামেলা হয়ে গেছে আবার খুব পছন্দের শার্ট / প্যান্টটি তাড়াহুড়ার সময় খুজেও পাওয়া যায় না পরার জন্য । আবার কখনো কখনো ইস্ত্রি করাও থাকেনা । তাই এখন আবার আমার মনে হয় আগে কম ছিলো , সেই ভালো ছিলো ।
©somewhere in net ltd.