নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলু

i am a very hopeful man.. i lead a normal life like others. i like work..basically i want to live in my work

নিলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেশার জগত ৩

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২০





















সব পিতা /মাতাই চায় তাদের সন্তানেরা মানুষ হবে এবং তাদের জন্য তাদের সুনাম বয়ে আনবে এবং তাদের সুসন্তানের জন্য সমাজ ,জাতি , দেশ উপকৃতই হবে । যে নেশা আমাদের নিজ শরীর ধংস করে দেয় , সমাজ , বন্ধু বান্ধবী , আত্মীয় স্বজন সহ সকল স্তর ছিন্ন করে দেয় । মানুষ সৃষ্টি হয়েছে সৃষ্টির জন্য সে যে স্তরেরই হউক আর তা না করে আমরা যুব সমাজ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ি তাতে কারো লাভই হোলও না তাহলে আমার জন্ম গ্রহনই অনর্থক হয়ে গেলো । একদিন এক নেশাগ্রস্থ বন্ধু আমাকে হিরোয়ইন খেতে অনুরোধ করলে তা আমি না করি পরে সে অনেকদিন যাবত খাওয়ার জন্য লেগে থাকে এবং সে অনেক কথা বলেছিল এই খাওয়াতে কি কি হয় , আমি বদ্ধপরিকর ছিলাম যে আমি কোনদিন নেশা স্পর্শ করবোনা , তবে আমি চেইন স্মোকআর সেটাও এখন বাদ দিব ভাবছি তবে আমার এক বন্ধু সেদিন বলছিল যে আমরা তো অন্য কোনও বাজে নেশা করিনি তাই সিগারেটই শুধু খাই । শেষ প্রজন্ত সেই বন্ধুটি নেশাগ্রস্থ হয়ে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়ে এমনকি জেল খানায় থেকেও সুধ্রাতে পারেনি এখন সে ভগ্ন শরীর নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে অযত্নে অবহেলায় । শেষ প্রজন্ত তার স্ত্রীও তালাক দিয়ে চলে গেছে । তারপরও তার ছোট ভাই তার দেখাদেখি এই মরন নেশাগ্রস্থ হয় এবং পরে তার অকালে মিত্তু হয় । এ ব্যাপারে অনেকেই মতামত দেয় যে হতাসাগ্রস্থ থেকে নেশাগ্রস্থ হয় , কিংবা বেকারত্ব থেকে হয় বা পরিবারের অশান্তি থেকে হয় । কিন্তু আমি এসবের একটি কথাকেও সমর্থন করিনা । আমি দেখেছি একটি ছেলে এম এ পাশ করে চাকুরী না পেয়ে ফুটপাতে বসে ঘড়ি মেরামত করতো তারপর মোবাইল ফোন মেরামত কাজ শুরু করে সে এখন কোটিপতি এখন তার চেম্বার দেখলে মনে হয় ঠিক একজন চিকিৎসকের মতো যেখানে রুগীর মতো বসে আছে সবসময় ২০/৩০ জন মোবাইল রুগী , প্রতিজন যদি ১০০ টাকা করেও ভিজিট দেয় তাহলে তার প্রতিদিন তার ইনকাম কমপক্ষে ৩০০০ টাকা মাসে ৯০০০০ টাকা ।

সে এখন প্রাইভেট কারে ঘোরে । আসলে আমরা সবাই লেখাপড়া শিখে চাকুরী করতে চাই তা পিওন হলেও রাজি । এই মন মানসিকতা বদলাতে হবে । আর একজনকে দেখেছি শহরের রাস্তায় কিছু দূর পর পর পান/ বিড়ির দোকান আছে তাদের কাছে ছেলেটি গ্রাম থেকে কম দরে সুপারি সংগ্রহ করে তাদের সাপ্পলাই দিতো এখন সে মটর চাইকেলে ঘুরে বাবসা করে । অন্যজনকে দেখেছি সে সবজি সাপ্লাই দিতো শহরের আভিজাত্য এলাকার বাসা বাড়িতে তাদের চাহিদা মতো , এখন সে স্বাবলম্বী । এসব বাবসা করতে বেশী টাকার দরকার হয় না চাই মানসিকতা । এসব না করে আমি হতাশ হয়ে নেশাগ্রস্থ হয়ে আমাকে ধ্বংস করবো আর আমার সমাজকে করবো নষ্ট তথা দেশকে করবো অশান্ত তা তো বাস্তব সম্মত কথা হতে পারেনা । সেই সাথে যারা শিশুদের এই নেশার জগতের বাহক হিসাবে জড়াচ্ছে , তারা সমাজের ভয়ংকর ক্ষতির কাজটি করছে কারন আজকের শিশু আগামিদিনের যুবক । তাই আমরা বা আমাদের যুব সমাজকে এখনই ফিরে আসতে হবে ঐ রাস্তা থেকে এবং নেশার বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ । আর এসব কাজ করার দায়িত্ব নিতে হবে যুব সমাজকেই । তাই আমরা স্লোগান দেই ====তাড়াও মাদক গড়ও জীবন ======

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.