![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা ইদানিং পুলিশ /র্যাবের গুলি করা , ক্রস ফায়ার নিয়ে নানা মন্তব্য বা নানা কথা বলে যাচ্ছি । সব কথার শেষ কথা , পুলিশের গুলি করা ঠিক নয় বলে আমরা দাবীদার । এই কথাটি নিয়ে , আমার মাথায় , নানা ঘোর / পাক খাচ্ছে । তাহলো , পুলিশ / র্যাবের হাতে , আমরা কেনও বন্দুক দিয়েআবার পুলিশের হাতে শুধু লাটি বা বাঁশী দিলে লোকজন ভয় করে না , এমনকি এই পুলিশ বলে ইয়ার্কি মারতেও চায় । তাই ইদানিং দেখা যায় , তাদের হাতে অটো বন্দুক দেওয়া হচ্ছে , আগে দেখা যেতো লম্বা ত্রি নট ত্রি নামক বন্দুক থাকতো । যা দিয়ে নাকি , একটা একটা গুলি বের হতো এবং বেশ ভারী ছিলও অস্ত্রটি । তারা অনেক সময় রাস্তায় টহল দিতে দিতে , রাস্তায় কোনও এক জায়গায় , বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ফুটপাতের কোনও এক উচু জায়গায় বসে পড়তো , আর অস্ত্রটি পার্শে রেখে দিতো কিংবা বন্দুকের উপর ভর করে দাড়িয়ে থাকতো । তা দেখে আমার মনে হতো , তারা বোধ হয় বন্দুকটির ভারে ক্লান্ত । আবার অনেক সময় দেখতাম , বন্দুকটি উল্টা করে কাঁধে ঝুলিয়ে রাখতো , তা দেখে মনে হোলও , বন্দুক ফুটানোর জন্য , সবসময় প্রস্তুত রাখতে হয় বা সোজা রাখা উচিত , কারন বন্ধুক যখনই ফুটতে চায় , তখনই যাতে ফোটানো যায় , কাল বিলম্ব না করে বা যাতে কাল বিলম্ব না হয় , তাহলে পুলিশের কাঁধে বন্দুক উল্টা দিকে কেনও ? আবার মনে হোলও , পুলিশ বন্দুক উল্টা করে , কাঁধে রাখে বলেই কি , অনেকে অভিযোগ করে যে , পুলিশ কাজ করছে না বা পুলিশের নো একশনের কারনে , সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে বা পুলিশ নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে । এইতো অল্পদিন আগেও দেখলাম , রাস্তায় পুলিশ , আগের নিয়মেই টহলে ছিলও , তখন তো দেখতাম , তারা সকলের সাথেই কথা বলতো , হাসতও , অনেকের অভিযোগ শুনতও , তা দেখে মনে হতো , পুলিশ বোধ হয় জনগনের বন্ধু হয়ে গেছে , আবার বোমায় পিতা হারা ছোট একটি ছেলে বলছে , ও , পুলিশ আমার বাবাকে এনে দিবে । তখন আমার মনে হতো , পুলিশের হাতে ওজোনের বন্দুকটি , যদি না থাকতো , তাহলে বোধ হয় , পুলিশ ফ্রী চলতে পারতো কিংবা ভারের বন্দুক বিহীন জীবন , সুখকর কর্মজীবন হতো । কিন্তু ইদানিং দেখি পুলিশ আর আগের মতো হাঁসে না , কথা কম কয় , এমনকি কাছে ভিড়তেই দেয় না ,তাই অনেকেই বলে , যতো দোষ , পুলিশের । সবসময় বন্দুক সোজা করে তাক করা , আর উল্টা করে কাঁধে ঝুলায়ে রাখে না । কারন জানা গেলো যে , দেশে এখন পেট্রোল বোমার সন্ত্রাসী বেঁড়ে গেছে এবং তারা যত্রতত্র , সাধারন জনগণের উপর ছুঁড়ে মারছে , এমনকি পুলিশের উপরও মারছে । এতে সমাজ পুড়ছে আর দগ্ধ হচ্ছে জান/ মাল । পাশাপাশি সান্তি রক্ষীরাও জখম বা মিত্তুবরন করছে । তাই পুলিশের বন্দুক এখন সোজা এবং তাক করা সন্ত্রাসীদের দিকে , গুলি ফুটছে সন্ত্রাসীদের বুকে অটো সিস্টেমে , এবং পুলিশের পেট্রোল ডিউটীও বেড়ে গেছে , যাতে সন্ত্রাসীদের পেট্রোল বোমার হাত নিস্তেজ হয়ে যায় । পুলিশ এখন গুলি করছে কাদের , যারা সন্ত্রাসী , তাদের । তারা নিচ্চয় সমাজবিরোধী ? তারা নিচ্চয় জনগনের জান / মালের ধ্বংসকারী, সেইহেতু পুলিশ / র্যাব সঠিক কাজটিই করছে । যেহেতু পুলিশ জনগনের জান / মালের / সন্ত্রাস থেকে নিরাপদে রাখার অতন্দ্র প্রহরী বা প্রতিক । কিন্তু আমার জিজ্ঞাসা সেই তাদের কাছে , যেদিন পুলিশ নিরীহ কৃষকদের উপর , তাদের জীবন / জীবিকার , মাটি ও মানুষের কৃষি উৎপাদনের জন্য সার চাইতে গিয়ে গুলি খেয়েছিলও , যেদিন বিদ্যুতের দাবীতে কানসার্টে নিরীহ / নিরস্ত্র জনতার উপর পুলিশ গুলি করেছিলো । সেদিন কার হুকুমে এবং কোন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে পুলিস গুলি করেছিলো , কোন অপরাধে ? কোন আইনে ? কোন ক্ষমতায় ? কার হুকুমে ? কি উদ্দেশে ? এবং কেনও ? সেটা কোন গনতন্ত্র ছিলও ? এর উত্তর কি ? সেদিন মানবিকতা কোথায় ছিলও ? এর বিচার কি হবে ? তা কোন শাসন ব্যাবস্থা ছিলও ? তারা এখন কি বলতে চায় ? তাহলে কি তারা চাচ্ছে যে , জনগনের জান / মাল রক্ষার প্রয়োজন নেই , নাকি পুলিশ / র্যাব নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করবে । আর তারা যা ইচ্ছা তাই করে যাবে । তাই আমাদের একটি রুপ ধরতে হবে , একই অংগে অনেক রুপ ধরলে তো হবে না , সুতারাং আমাদের দেশ / জাতীর উন্নয়নে , এখনি আমাদের একটি রুপ ধরতেই হবে । নইলে রক্ষা আছে বলে মনে হয় না ।
©somewhere in net ltd.