|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 




শব্দগুলি সুণতেই কেমন জানি একটু  ভড়কে যাই বা একটু থেমে যাই বা ভ্রু কুঁচকে যায় । কিন্তু কেনও , আমরা এই শব্দগুলিকে ভয় পাই বা পছন্দ করিনা । আবার সকল ক্ষেত্রেই কি , আমরা অপছন্দ করি ? মনে হয় না , এর কারন কি ? যেটা পছন্দ করিনা , আবার সেটাকেই পছন্দ করি , এটা কেমন কথা । তাহলে আমরা কি চিন্তা / ভাবনা করতে , মাঝে মাঝে ভুল করি ,  না ইচ্ছা করেই করি , না নিজের অজান্তে করি । ব্যাপারটা ভেবে দেখা দরকার বলে মনে করি , তাই লিখছি । একজন টপ মাস্তান বা টপ টেরর কিভাবে সৃষ্টি হয় , বা কিভাবেই বা তার উত্থান হয় সমাজে । কেউ কেউ বলে হতাশা থেকে হয় , আবার কেউ বলে অভাবে হয় , কেউ বলে সংগও দোষে হয় , কেউ বলে নিজের উপর বা নিজের পরিবারের উপর মাস্তানই হলে , তার প্রতিশোধ এর কারনে হয় , কেউ ন্যায় পথের মানসিকতার  কারনে , অন্যায়ের প্রতিবাদের কারনে হয় , কেউ ইচ্ছা করে হয় , কেউ বংশগত কারনে হয় , কেউ নিজেকে সমাজে প্রভাবশালী করার জন্য হয় , আবার কেউ রাজনীতির মার প্যাঁচে পড়ে হয়  । যাকগে যে পথেই হউক  , এই পথকে সমাজ সমর্থন করে না । একবার  এক দৈনিক পত্রিকায় দেখেছিলাম যে ,== মাস্তান বিষয়ক জটিলতা = শিরোনামে একটি খবর । আবার আমাদের সমাজে যদি কোনও মাস্তানকে আসতে দেখে বা আসে , তবে তাকে খুব সমীহ করে , তাকে বেশ আপ্যায়নও করে থাকে । এর কারন মনে হয় , নিজেকে তার ছোবল থেকে মুক্ত রাখার জন্য কিংবা প্রয়োজনে তাকে ব্যাবহার করার জন্য , খাতির যত্ন করা বোধ হয় । কিন্তু ঐ টপ টেরর কি এটা বুঝতে পারে ? মনে হয় না , আবার বুঝলেও ,  তার কিছু বলার থাকে না , কারন তার এই প্রাপ্য যথেষ্ট , এলাকায় কেউ , সন্ত্রাসী কাজকর্ম করলে বা যদি কেউ করে , তাহলে তার বিরুদ্ধে বলতে কেউ চায় না বা বলতে সাহস পায় না । এর কারন হোলও আমাদের দুর্বল মন , লোভ বা লালসা বলে মনে করি , কিংবা নিজে  বাঁচলে , বাপের নামের মতো আর কি । তাহলে আমরা সন্ত্রাস মোকাবেলা কি ভাবে করবো , কিভাবে সন্ত্রাসের ছোবল থেকে মুক্তি পাবো ? সন্ত্রাসীরা কিন্তু মানসিক ভাবে দুর্বল থাকে ,  কিন্তু তাদের  চাপার জোর  ভয়ংকর রুপের  , যে জন্য কখনো কখনো জনরোষে পড়ে মিত্তু হয় তাদের , যাকে বলে গণপিটুনি । টপ মাস্তানরা কিন্তু শক্তিধর ব্যাক্তিদের শেল্টারে থাকতে পছন্দ করে , আবার সেই শেল্টার দাতাও ,  তার হাতেই নাজেহাল হয় বা আঘাতপ্রাপ্ত হয় , কখনো কখনো মিত্তুও হয়।  একে বলে প্রবাদে ===সাপুড়ে মরে সাপের হাতে == । আবার ক্ষমতার পালা বদলেও , সন্ত্রাসীরা একই অবস্থানে থেকে  যায় , কারন মালপানি কামানোর জন্য বা টেন্ডার ভাগাভাগির সময়  , তারা একে অপরের  সম্পূরক হয়ে কাজ করে থাকে , কোনও কোনও ক্ষেত্রে অঞ্চল বা এলাকা ভাগ করে নেয় । একে বলে প্রবাদে ==যে লাউ , সেই কদু ==।  তবে তফাৎ মোটা / চিকন কিংবা স্বাদ / কম বেশী । যারা টপ মাস্তান , তারা কিন্তু সারাজীবন রাতে ভালো করে পরিবার /পরিজন নিয়ে ঘুমাতে পারে না , তারা  কিন্তু পথে পথেই কাঁটায় বেশীর ভাগ সময় , কিংবা নেশার জগতে পড়ে থাকে , কিংবা  আতংকে কাটে  দিন /  রাত  । আবার তাদের ছেলে সন্তানদের ভালো বিয়ে শাদীও হতে চায় না । টাকা তারা ,  যতোই কামাই করুকনা কেনও , সেই টাকার ভোগ নেই শ্বাদের সাথে  । আবার পাড়ায় পাড়ায় আধিপত্তের কারনে , মাস্তান বিষয়ক জটিলতা বাঁধে , তাতে হয় দাংগা , আর  তার থেকে কখনো হয় অপমিরতু । একে বলে ==যেমন কর্ম , তেমন ফল == , যাকে এক কথায় বলে কর্মফল ===। আবার কেউ বলে ,  মাস্তানে মাস্তানে দাংগা নাকি কম হয় , কারন লোহায় লোহায় ঘর্ষণ হলে আগুন ধরে তাই , তারা নিরাপদ দুরত্তে বজায় রেখে চলতে চায় , তারপরও টপ টেরর গীরী  দেখাতে গিয়ে , বাঁধে মারাত্মক দাংগা  । এর প্রবাদে বলে == জোঁকের গায়ে নাকি জোঁক লাগে না ===। কিন্তু জোঁক মানুষের গায়ে লাগে ঠিকই , তবে টের পেতে দেরী হয় , পরে দেখা যায়  , শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে । আবার খেয়াল করে দেখবেন টপ মাস্তানরা  , ক্রস ফাইয়ারকে ভয় করে , অথচ তারা মানুষকে , পাখীর মতো গুলি করে মেরে ফেলে , তাই সন্ত্রাসীরা ক্রসকে সমর্থন করে না , আবার  কখনো  বর্তমান  শেল্টার ছেড়ে , চলে আসে নিরাপদ শেল্টারে বা অন্য শেল্টারে ,কারন সন্ত্রাসীরাও বুঝে নেয়,  বাতাস কোন দিকে বইছে , তারা ঠিক সময়েই , সেই দিকেই পাল তুলে দেয় ।  আর যারা থেকে যায় , তারা কেউ মরে ,  আবার কেউ কেউ  বেঁচে  যায়  ।  আবার আমরা যারা দল করি , তাদের  যতো অবদানই  থাকুক দলের জন্য , কিন্তু দল যখন ক্ষমতায় যায় , তখন এই সন্ত্রাসীরাই ক্ষমতার দলে ভিড়ে যায় , আর দলের  নিবেদিত  ভদ্রলোকগুলি বা দলের  সমাজ কর্মের লোকগুলি অসহায় হয়ে পড়ে কিংবা পিছে পড়ে যায় । এখন যা হচ্ছে ,লোহায় লোহায় ঘর্ষণ , কোনটি পাকা লোহা , কোনটি  কাঁচা লোহা , যার  ঘর্ষণে হচ্ছে আগুন , এবং কেউ অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নিয়ে ঘুরছে  পথে পথে ,আগুন নিভানোর জন্য , কিন্তু যখন  অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রে পানি সংকট হবে , তখন সন্ত্রাস থেকে সন্ত্রাস , সন্ত্রাস থেকে দাংগা , দাংগা থেকে , হার / জিত হবে  ।  কিংবা  অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের পানিতে ভিজে যাবে এক সময়  , তাই আগুনও আর  , জল্বেনা ।  যাই বলি ,  মাস্তানই / সন্ত্রাসী পথের  বা জীবন বেশী  দিন চলে না, যারা এই সন্ত্রাসীদের নিয়ে খেলা করে , লাভ ও লোভে , তাদের মিত্তু বা পরাজয়  হয় ঐ সন্ত্রাসীদের হাতেই । একেই প্রবাদে বলে ===লোভে পাপ , পাপে মিত্তু ===। সন্ত্রাসীরা  সাময়িক ভাবে আমাদের  সমাজকে অশান্ত করছে  মাত্র , যার স্থায়িত্ব খুবই  কম । একে  প্রবাদে বলে ,  ==পীরের বাইড় ,  ১২ বসর ==।  তাই আমাদের একটি সময়ের জন্য , অপেক্ষাই করতে হচ্ছে  , শান্তির অন্বেষণে বোধ হয় ।
 ৮ টি
    	৮ টি    	 +০/-০
    	+০/-০  ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১০:৪২
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১০:৪২
নিলু বলেছেন: ধন্যবাদ , ভালো থাকবেন
২|  ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  সন্ধ্যা  ৭:২৬
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  সন্ধ্যা  ৭:২৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হুম
  ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১০:৪৩
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১০:৪৩
নিলু বলেছেন: ভালো থাকুন
৩|  ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  সন্ধ্যা  ৭:২৯
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  সন্ধ্যা  ৭:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন: 
সন্ত্রাস রাজনীতিই করছে জামাত-শিবির, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ।
  ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১০:৪৪
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১০:৪৪
নিলু বলেছেন: ভালো থাকুন
৪|  ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১০:১৯
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১০:১৯
প্রামানিক বলেছেন: সন্ত্রাস ছাড়া বাংলাদেশের রাজনীতি চোখেই পড়ে না।  
এরকম রাজনীতি কবে যে বন্ধ হবে আল্লাই ভাল জানেন। ধন্যবাদ
  ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১০:৪৫
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১০:৪৫
নিলু বলেছেন: ধন্যবাদ , ভালো থাকুন
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  সন্ধ্যা  ৭:০৮
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  সন্ধ্যা  ৭:০৮
শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: সন্ত্রাসীরা সাময়িক ভাবে আমাদের সমাজকে অশান্ত করছে মাত্র, যার স্থায়িত্ব খুবই কম।
দেখা যাক সামনে কী হয়।