নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলু

i am a very hopeful man.. i lead a normal life like others. i like work..basically i want to live in my work

নিলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মটর সাইকেলে লং ড্রাইভ / পর্ব ২

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

চলমান ১ থেকে , তারপর প্রথমে যেখানে থামলাম সেটা হোলও জাতীয় ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র , যাকে বলে এস আর টি আই , যেটা ঈশ্বরদী উপজেলায় অবস্থিত ।







আমরা দর্শনার্থী হিসাবে প্রবেশ করলাম এবং ঘুরে ঘুরে দেখলাম তাদের উন্নত গবেষণার ইক্ষু জাত প্রক্রিয়া করন ।









ক্যাম্পাসটি খুব সুন্দর তাদের আবার আরও সুন্দর একটি রেস্ট হাউস আছে । সেখানে রাতে থাকাও যায় আমরা সেই রেস্ট হাউসে খুব অল্প সময় বিশ্রাম নিলাম । সেখান থেকে মুলাডৃলি গোপালপুর চিনিকল । সেখানে আবার বধ্যভূমিও আছে মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেককে পাক সেনারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলও । তারপর আমরা বেশ কিছু রাস্তা ঘুরে রাজশাহী জেলার বাঘায় গেলাম । সেখানে বাঘা মসজিদ দেখার জন্য এবং খুব সুন্দর চারু কাজ খচিত মসজিদটি অনেক পুরাতন ।







স্থাপনা পার্শেই একটি ছোটো দীঘির মতো জলাসয় আছে এখানে আবার মৎস্য শিকারিরা আসে মৎস্য শিকার করতে মাঝে মাঝে । পরে চলে গেলাম নাটোর সেই বনলতার নাটোর , কাঁচা গোল্লার নাটোর ।







তাই খেয়ে নিলাম আগে কাঁচা গোল্লা দুজনে মিলে মন মতো আর কিছু বেধে নিলাম সাথে । তারপর গেলাম রাজবাড়ী যাকে বলে উত্তরা গনভবন । ভিতরে প্রবেস করলাম দর্শনার্থী হিসাবে , খুব শুন্দর নিদর্শন ।







এখানে অনেকেই পিকনিকেও এসেছে । শুরু হোলও আবার চলা কিছুদুর যাওয়ার পরে তারমানে আমরা তখন বগুড়ার পথে এরিই মধ্যে নাটোরের সিংরা উপজেলার চলন বিল , যে বিল খুব নামকরা বিল এবং বর্ষার সময় শুধু পানি আর পানি , দেখতে চমৎকার লাগে ।







চলতে চলতে নন্দিগ্রাম , যেখান থেকে শুধু ধান বেচা কেনার পথে পথে হাট আর হাট ।







পৌঁছে গেলাম বগুড়ার সাকপালা মৌড় । এর খুব নিকটেই জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ এবিং মাজিরা কান্টোনমেনট তারপর আমরা চলে গেলাম বগুড়া শহরের সাত মাথা মৌড়ে উদ্দেশ্য ছিলো হোটেলে ভাত খাবো দুপুরের এবং ২ / ১ জন বন্ধুর সাথে দেখা করবো । আকবরিয়া নামক এক হোটেলে খেয়ে নিলাম ঐ বন্ধুদের সাথে করে । বগুড়া শহরটি ছোটো হলেও সুন্দর লাগলো পরে আমরা একটু বিশ্রাম নিয়ে চলে গেলাম মহাস্থান গড় , মহাস্থান গড় ঘুরতে ও যাদুঘর দেখতে একটু বেশী সময় লেগে গেল







আমরা মহাস্থান গড় থেকে একটি বাঁশী কিনে নিলাম , কারন আমার সহযোগী আবার ভালো বাঁশী বাজাতে পারে তাই চলতে চলতে ওর বাঁশীর শূরে আমি চালাতে থাকবো বাইক । এখান থেকে আমরা যাবো গাইবান্ধা তবে তার আগে ঘুরে যাব জয়পুরহাট কয়লা খনি দেখে এবং আজকের রাতে আমরা রাতরই যাপন করবো গাইবান্ধার কোন এক আবাসিক হোটেলে কারন ওখানে ১ দিন থাকবো দেখতে সুন্দরগঞ্জ , সাদুল্লাপুর , ঘোড়া ঘাট সহ অন্যান্য কিছু তারপরের দিন যাব রংপুর । আসার পথে আমরা পথের মাঝে মাধপুর নামক একটি ছোটো গ্রামের ছোটো বাজারে চা খেয়েছিলাম ।







সেই চায়ের দোকানের পার্শেই ছিলও কামার শালা দেখলাম তাদের লোহা দিয়ে বানানো যন্ত্রপাতি । বানাচ্ছে তারা দাওউ, কুড়াল , বটি , কাস্তে সহ নানা সরমজাদি ।







তারপর পথের পার্শেইএকটি গ্রামের সুন্দর বাড়ী । বাড়ীটির মধ্যে আছে পুকুর , ফুল বাগান , বাড়ীর গেট এবং সকল ফল / ফুলের গাছ তার বাড়ীর কাম্পাচের মধ্যেই ।











বাড়িওয়ালার সাথে দেখা চায়ের দোকানে কথা প্রসংগে তিনি আমাদের দেখালেন তার সুন্দর ফল / ফুল সহ তৈরি করা গ্রামের বাড়ী । আমরা মুগ্ধ হয়ে গেলাম তার সৃষ্টি দেখে ।







সে শিক্ষা জীবনে এম এ পাস করে গ্রামেই বসবাস শুরু করে দেয় তার বাড়ীর আশে পার্শের জমিতেই চাষ করে ফল , ফুল আর সবজী এবং পুকুরে মৎস্য চাষ তা থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে তার সংসার ভালই চলে যায় এবং সে বললও তার বাড়ীর জমিটি প্রায় ৬ বিঘা জমির উপর এবং মোট আঙ্গিনাই তার কাটার বেঢ়া দিয়ে ঘেরা তার পাশ দিয়ে আবার সারি সারি খেজুর গাছ আর তাল গাছ লাগানো ।







অন্যান্য ভাই / বোনরা লেখাপড়া শিখে দেশ / বিদেশে চাকুরী করে তারা আসে মাঝে মাঝে । তার এক ছেলে আর এক মেয়ে । মেয়েটি ডাক্তারি পড়ে আর ছেলেটি পড়ে ইঞ্জিনীয়ারিং তার আবার বাড়ীতে ঢুকতেই গেঁটের পার্শে একটি বৈঠক খানা যাকে আবার গ্রামে কেউ কেউ খানকা বলে থাকে সে সেখানে বসে গণসংযোগ করে বা মেহমানদের মেহমানদারি করে থাকে এবং গ্রামীন সমাজের আচার / অনাচার সে দেখে অনেকসময় তাই সে বললও তাদের গ্রামটি খুব সুন্দর তেমন একটা হানাহানি বা খুনাখুনি নেই সেখানে । সকল ধর্ম / গোত্র মিলে মিশে বসবাস করছে একে অপরের তরে ।ভদ্রলোকটি গ্রামে একটি মহিলা কলেজ ও হাই স্কুল করেছে ।

পার্শেই আছে পুকুর পাড়ে গোলটেবিল যেখানে বসে গরমের দিনে জোস্না রাতে গল্প করে সময় কাটায় ।

গোলটেবিলের উপর দিয়ে আবার মাধবী লতা ফুলের গাছ দিয়ে আচ্ছাদিত যা চমৎকার ছায়া করেছে গোলটেবিলটিকে । সে আরও বললো তার আবার একটি নেশা আছে এই গোলটেবিলে বসে দাবা খেলার ।







সে আবার একটি কুকুরও পোষে যে কুকুরটিকে দেখলাম খাঁচায় বন্দী করে রেখেছে দিনের বেলায় ।







তার বাড়ীটি একটি ছোটমোটও পার্ক বলেই মনে হলো । বাড়ীর আঙ্গিনায় আবার গোলাপ ফুলের চাষও করেছে তাই আসার সময় এক গোছা গোলাপ দিয়ে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা জানিয়ে দিলও ঐ গ্রামের ভদ্রলোকটি । তার আরও গল্প ছিলও ঐ গ্রামের কিন্তু আমরা আর শুনতে পারলাম না সময় অভাবে তাই আমরাও বিদায় নিলাম তার কাছে ।











চমতকার তার আথিথীওয়তা যা মনে থাকবে আমাদের চিরদিন ।

চলমান ৩

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

ঢাকাবাসী বলেছেন: ছবিগুলো খুব সুন্দর। ভাল লেগেছে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩০

নিলু বলেছেন: ধন্যবাদ , ভালো থাকুন

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

চন্দনপাল০২৩ বলেছেন: আপু রাজশাহীর বাঘা উপজেলাই গেলেন তারপর নাটোর রাজবাড়ি গেলেন, কিন্তু এই দুই জায়গার মাঝে পুঠিয়ার বিখ্যাত রাজবাড়িতে গেলেন না? মন খারাপ করলাম,এটা অনেক বিখ্যাত রাজবাড়ি আর তার পাশেই আমার জন্মস্থান।আরেক বার ঘুরে আসার নিমন্ত্রণ থাকলো।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

নিলু বলেছেন: ঠিকই বলেছেন , আসলে আমাদের সোজা পথ ছিলও , নাটোর হয়ে বগুড়া , তবুও বাঘা মসজিদ দেখার জন্য , একটু ঘুরে গিয়েছিলাম , তবে পরে পটিয়ায় যাবো , কারন সেখানে তেতুল ঝরায় এবং বাগমারায় আমার বন্ধুরা আছে , তাদের সাথে দেখা করতে , ধন্যবাদ আপনাকে ,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.