![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন মার্কেটে গেলাম শাড়ীর দোকানে , গিয়ে দেখলাম , অনেক ক্রেতার ভিড় , তার মাঝেই শাড়ী পছন্দ করতে লাগলাম , রঙ পছন্দ হয়তো , কাপড় পছন্দ হয় না । আবার শাড়ী পছন্দ হয়তো কিন্তু দামে পোষায় না , আবার হরেক রঙের শাড়ী দেখে , প্রায় সবগুলিই কিনতে মন চায় । কিন্তু মন পারে না তাই এই চাহিদা থেকে ফিরে আসি , অন্যদিকে অন্যজন যখন অন্য একটি শাড়ী দেখছে বা দর কষাকষি করছে কিংবা তার পছন্দ হয়েছে বলে মনে হুচ্ছে ,
তখন মনে হয় ঐ শাড়িটাই বোধ হয় সুন্দর ছিলও , তাই কিনতে মন চায় কিংবা মনে হয় লোকটি যদি শাড়িটা না নিয়ে চলে যেতো, তাহলে আমি নিয়ে নিতাম । তখন ঐ শাড়ীটা আর আছে কিনা দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করি , কিন্তু দোকানদার বলেন যে , আর নেই ঐ একটিই আছে । তখন মন আরও আনচান হয়ে পড়ে । মনে হচ্ছে , ঐ শাড়ীটাই সবচেয়ে ভালো শাড়ি ।
তারপর যখন ঐ লোকটি শাড়িটির দাম দরে না পোষায় , চলে গেলো , তখন আমারও মন ভেংগে গেলো , এবং আমিও কিনলাম না বা কিনতে আর মন চাইলো না । এদিন আর শাড়ী কিনা হলনা , ফিরে গেলাম বাসায় । পরের দিন যাবো ভাবলাম কিন্তু হটাত মনে হোলও যে , শাড়ীর এতো নাম , কারা রাখে , দোকানদার তার ইচ্ছা মতো রাখে না কোম্পানি রাখে । তাহলে বিদেশী শাড়ীর নাম কি ভাবে হয় দেশে ? তাই নিজে থেকেই বেছে নিলাম নিজের বানানো একটি নাম , নামটি হোলও =চুরিচুরি =। পরের দিন দোকানদারকে বললাম যে , ভাই চুরিচুরি নামে শাড়ী আছে , তখন দোকানদার বললও , ছিলও কিন্তু আজকেই শেষ হয়ে গেছে , তবে ২/১ দিন পর আবার আসবে । তখন মনে মনে ভাবলাম যে , তাহলে তো দোকানদাররাই শাড়ীর হরেক নাম রাখে , নিজের মতো করে । তা নাহলে শাড়ীর এতো ভিন্ন ভিন্ন মজার মজার নাম হবে কিভাবে । আবার অন্য একদিন গেলাম অন্য দোকানে , গিয়ে শাড়ী দেখছি , তারাও একটার পর একটা ছড়ীয়ে দিচ্ছে , আমার সামনে , তখন দোকানদেরকে বললাম এতো শাড়ী ছিটাচ্ছেন কেনও ? তার উত্তরে তিনি বলছেন বেচা / বিক্রি হউক না হউক ছিটাতেই হবে । আবার দোকান মালিক বলছে যে , বেচা / বিক্রি না থাকলে , শাড়ী ছিটালে , অন্ততপক্ষে গোছানো কাজে ব্যাস্ত থাকতে পারবে , সেলস ম্যানরা , নতুবা বসে থাকতে থাকতে , অলস হয়ে যাবে তারা ।
তখন আমি কোনটি কিনবো তা আগে থেকেই মনে মনে বেছে নিয়েছিলাম কিন্তু বুঝতে দেয়নি দোকানদারকে যে , আমার ঐ শাড়ীটা পছন্দ হয়েছে , তাই পছন্দের শাড়ীটাকে খুব একটা গুরুত্ত দিচ্ছি না এবং নাড়াচাড়াও খুব একটা করছিনা তাই অন্য একটি শাড়ী পছন্দ হয়েছে বলে ভাব দেখাচ্ছি , আগে দাম জিজ্ঞাসা করলাম , অপছন্দের শাড়ীটাকে , পরে জিজ্ঞাসা করলাম পছন্দের শাড়ীটার দাম । দেখলাম পছন্দের শাড়ীটার দাম চাচ্ছে কম এবং অপছন্দের শাড়ীটার দাম চাচ্ছে বেশী, এবং দোকানদার অপছন্দের শাড়ীটার খুব সুনাম গাচ্ছে এবং বলছে আমাকে নাকি খুব মানিয়েছে বা মানাবে এই শাড়ীতে , ক্যানভাস করে শাড়ীটা বেচতেই হবে বলে মনে হচ্ছে । অথচ একই কোম্পানির একই সুতার শাড়ী , শুধু রঙ বা ডিজাইন আলাদা । কোন একদিন আমাকে একজন বলেছিলও যে , বাজারে পছন্দের জিনিষটাকে আগেই বলবেন না পছন্দ হয়েছে , আর অপছন্দের জিনিষটা নিয়ে নাড়াচাড়া করবেন শুধু , তাহলে ঠকবেন কম ।
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৩
নিলু বলেছেন: ধন্যবাদ , ভালো থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯
শায়মা বলেছেন: এই বুদ্ধি তও জানিনা আপু!

আমি তো যেটা পছন্দ হয় সেটা ছাড়িইনা তাই দোকানদারও ঠকাবার সুযোগ পেয়ে যায়।
একবার চাঁদনীচকে কাপড়ের দোকানে আমি তো একটা কাপড় দেখে একদম আটকে গেছি দোকানদার বললো এক দাম ৫০০০ টাকা আমি ধরতে যাবো আমার কাজিন বলছে খবরদার কিনবিনা, বাইরে চল এই কাপড় ১০০০ থেকে ১২০০। আমি বললাম অসম্ভব তাই হয় নাকি? নিশ্চয়ই কোয়ালিটি খারাপ। নকল , হেন তেন কত কিছু। কিছুতেই যাবোনা টাইপ। দোকানদার তাড়াতাড়ি একটা টুল দিলো আমাকে বসতে আর আমার কাজিনের দিকে ভীষন বিরক্ত হয়ে তাকিয়ে রইলো।
যাইহোক আমি কাজিনের কথা না শুনে সেই কাপড় ৪৫০০ টাকা দিয়ে কিনলাম আর বাইরে এসে দেখি ঠিকই ঐ কাপড়ের দাম এক দাম ১২০০ টাকা ঝুলানো রয়েছে। আমি প্যাকেট খুলে অনেক পার্থক্য খোঁজার ট্রাই করলাম কিন্তু কোনো পার্থক্য না পেয়ে ভগ্ন মনোরথ নিয়ে বাসার দিকে পা বাড়ালাম।