নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলু

i am a very hopeful man.. i lead a normal life like others. i like work..basically i want to live in my work

নিলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরেক নামের শাড়ীর / হরেক রঙ

১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২০










একদিন মার্কেটে গেলাম শাড়ীর দোকানে , গিয়ে দেখলাম , অনেক ক্রেতার ভিড় , তার মাঝেই শাড়ী পছন্দ করতে লাগলাম , রঙ পছন্দ হয়তো , কাপড় পছন্দ হয় না । আবার শাড়ী পছন্দ হয়তো কিন্তু দামে পোষায় না , আবার হরেক রঙের শাড়ী দেখে , প্রায় সবগুলিই কিনতে মন চায় । কিন্তু মন পারে না তাই এই চাহিদা থেকে ফিরে আসি , অন্যদিকে অন্যজন যখন অন্য একটি শাড়ী দেখছে বা দর কষাকষি করছে কিংবা তার পছন্দ হয়েছে বলে মনে হুচ্ছে ,
তখন মনে হয় ঐ শাড়িটাই বোধ হয় সুন্দর ছিলও , তাই কিনতে মন চায় কিংবা মনে হয় লোকটি যদি শাড়িটা না নিয়ে চলে যেতো, তাহলে আমি নিয়ে নিতাম । তখন ঐ শাড়ীটা আর আছে কিনা দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করি , কিন্তু দোকানদার বলেন যে , আর নেই ঐ একটিই আছে । তখন মন আরও আনচান হয়ে পড়ে । মনে হচ্ছে , ঐ শাড়ীটাই সবচেয়ে ভালো শাড়ি ।
তারপর যখন ঐ লোকটি শাড়িটির দাম দরে না পোষায় , চলে গেলো , তখন আমারও মন ভেংগে গেলো , এবং আমিও কিনলাম না বা কিনতে আর মন চাইলো না । এদিন আর শাড়ী কিনা হলো না , ফিরে গেলাম বাসায় । পরের দিন যাবো ভাবলাম কিন্তু হটাত মনে হোলও যে , শাড়ীর এতো নাম , কারা রাখে , দোকানদার তার ইচ্ছা মতো নাম রাখে না কোম্পানি রাখে । তাহলে বিদেশী শাড়ীর নাম কি ভাবে হয় দেশে ? তাই নিজে থেকেই বেছে নিলাম নিজের বানানো একটি নাম , নামটি হোলও =চুরিচুরি =। পরের দিন দোকানদারকে বললাম যে , ভাই চুরিচুরি নামে শাড়ী আছে , তখন দোকানদার বললও , ছিলও কিন্তু আজকেই শেষ হয়ে গেছে , তবে ২/১ দিন পর আবার আসবে । তখন মনে মনে ভাবলাম যে , তাহলে তো দোকানদাররাই শাড়ীর হরেক নাম রাখে , নিজের মতো করে । তা নাহলে শাড়ীর এতো ভিন্ন ভিন্ন মজার মজার নাম হবে কিভাবে । আবার অন্য একদিন গেলাম অন্য দোকানে , গিয়ে শাড়ী দেখছি , তারাও একটার পর একটা ছড়ীয়ে দিচ্ছে , আমার সামনে , তখন দোকানদেরকে বললাম এতো শাড়ী ছিটাচ্ছেন কেনও ? তার উত্তরে তিনি বলছেন বেচা / বিক্রি হউক না হউক ছিটাতেই হবে । আবার দোকান মালিক বলছে যে , বেচা / বিক্রি না থাকলে , শাড়ী ছিটালে , অন্ততপক্ষে গোছানো কাজে ব্যাস্ত থাকতে পারবে , সেলস ম্যানরা , নতুবা বসে থাকতে থাকতে , অলস হয়ে যাবে তারা । আবার আমরা শাড়ীর ভিতরে আঙ্গুল দিয়ে দেখি প্রায় সবাই , কারন এটাতে বোঝা যায় কাপড়ের জমিন কেমন , তার মানে বুনন কেমন , এটা সাধারণত আদিকালের একটা প্রথা ছিলও যে কাপড়টির বুননে সুতা কম না বেশি , যা প্রমান করে কাপড়টি মোটা না পাতলা। তখন মোটা কাপড়ই বেশী ব্যবহার হতো কিন্তু এখন আর এই প্রথা চলেনা তবুও আমরা কাপড়ে আঙ্গুল দিয়ে দেখে যাচ্ছি ।
তখন আমি কোনটি কিনবো তা আগে থেকেই মনে মনে বেছে নিয়েছিলাম কিন্তু বুঝতে দেয়নি দোকানদারকে যে , আমার ঐ শাড়ীটা পছন্দ হয়েছে , তাই পছন্দের শাড়ীটাকে খুব একটা গুরুত্ত দিচ্ছি না এবং নাড়াচাড়াও খুব একটা করছিনা তাই অন্য একটি শাড়ী পছন্দ হয়েছে বলে ভাব দেখাচ্ছি , আগে দাম জিজ্ঞাসা করলাম , অপছন্দের শাড়ীটাকে , পরে জিজ্ঞাসা করলাম পছন্দের শাড়ীটার দাম । দেখলাম পছন্দের শাড়ীটার দাম চাচ্ছে কম এবং অপছন্দের শাড়ীটার দাম চাচ্ছে বেশী, এবং দোকানদার অপছন্দের শাড়ীটার খুব সুনাম গাচ্ছে এবং বলছে আমাকে নাকি খুব মানিয়েছে বা মানাবে এই শাড়ীতে , ক্যানভাস করে শাড়ীটা বেচতেই হবে বলে মনে হচ্ছে । অথচ একই কোম্পানির একই সুতার শাড়ী , শুধু রঙ বা ডিজাইন আলাদা । কোন একদিন আমাকে একজন বলেছিলও যে , বাজারে পছন্দের জিনিষটাকে আগেই বলবেন না পছন্দ হয়েছে , আর অপছন্দের জিনিষটা নিয়ে নাড়াচাড়া করবেন শুধু , তাহলে ঠকবেন কম ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.