|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 
   
  
 
   
 
একসময় বন্দুকের লাইচেঞ্চ করার প্রয়োজন মনে  করেছিলাম  ।  আমার বা আমাদের নিরাপত্তার জন্য  ।  কিন্তু বন্দুক কেনার পর আর কোনদিনই নিরাপত্তার কাজে ব্যাবহার করতে হয়নি ।
 তাই বন্দুকটি বসরের পর  বসর ,  পড়ে থাকতো লকারে ,  শুধু বসরে একবার লাইচেঞ্চ রিনিউ করার সময় হাত পড়তো  । আমার এক বন্ধু ছিলও  , ওর আবার তখন পাখী শিকার করার শখ ছিলও খুব ।  তাই ও মাঝে মাঝে পাখী শিকার করতে যেতো ।  আর তখন আমাকে নিয়ে যেতো শিকারে । অনেকদিন আগে একদিন  বন্ধুটি ,  পাখী শিকারের দিন করলো ।  ওর আবার পাখী শিকারের জন্য সব পোশাক ও সরমজাদি ছিলও । তখন শীতের আগমনের ভাব ভাব  ।  অল্প দিন হোলও বর্ষা কাল শেষ হয়েছে ।  পাখী শিকারে  আবার কয়েকজন  সঙ্গী লাগে ।  কারন পাখী ধরা ও জবাই করে কাঁধে ঝুলাইয়ে নিয়ে বেঢ়াতে লোক লাগে  ।  সংগে আরও ২ /১  জন শিকারি থাকে  ।   তাই পাখী শিকারের দলটি হতো ছোট মোট একটি যাত্রা দলের মতো । খুব ভোরে রওনা দিতে হবে  , তার মানে অন্হধকার থাকতেই পাখীদের  আস্তানায় পৌছে যেতে হবে । ঘটনাস্থল পদ্মা নদীর তীরে । যথারীতি রওনা দিলা ৪ / ৫  টি মটর সাইকেল নিয়ে ।  কুয়াশায় ভিজে যাচ্ছিলাম  , পৌছে গেলাম পদ্মা নদীর পাড়ে ।  সেখানেই  তার শাখা নদীর তীরে । বন্ধুটি পোশাক পরে নিলো এবং মাথায় নিলো দলকচুর পানা  । তখন পার্শেই পাখীদের কিচিরমিচির শোনা যাচ্ছে ।  কিন্তু অন্ধকারে দেখা যাচ্ছে না ।  তবে পাখীরা খুব কাছেই অবস্থান করছে বলে মনে  হোলও  । তখন ঐ নদিতে বুক পানি । আমরা পার্শেই একটু দূরে চলে যাচ্ছি কারন আমাদের গুঞ্জনে বা   শব্দে পাখীরা  টের পেয়ে গেলে উড়ে যেতে পারে । বন্ধুটি চলে যাচ্ছে নদীর তীরে  , তার একটু পরেই বন্ধুটি চীৎকার করে উঠলো বাঁচাও বাঁচাও করে ।  তখন আমরা তার এই চিৎকার শুনে হতভম্ব হয়ে গেলাম এবং  সে বলছে যে  , আমি চোরাবালিতে আঁটকে গেছি  । তাই তাড়াতাড়ি বাঁচা নইলে চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছি ।  তখন আমরা দড়ি যোগাড় করে ,  ওঁর কাছে ফেলে দিলাম ।  তারপর টেনে তুললাম ।  তখন ভোর হয়ে গেছে এবং পাখীরা গেলো সব উড়ে  । তাই পাখীদের আর তীর মারা হোলও না  । তারপর দেখলাম এই মরা গাঙের ঐ  ঘাটে ,  এক গরু কচুরিপানা খেতে গিয়ে চোরাবালিতে গেছে আটকে ।  আর রাখাল ছেলেরা কলার গাছ কেটে গড়াতে গড়াতে যাচ্ছে গরুর কাছে উদ্ধারে  । আর সেই থেকে বর্ষার পর নদীর তীরে যেতে ভয় করে ।  তাই বাড়ী ফিরে এলাম ,   খালি হাতে বাঁটুল নিয়ে ।  পাখী শিকারে আরও একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা আছে তা লিখবো অন্যদিন  ।
 ৩ টি
    	৩ টি    	 +০/-০
    	+০/-০  ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫  দুপুর ১:৫৮
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫  দুপুর ১:৫৮
নিলু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ
  ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫  দুপুর ১:৫৮
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫  দুপুর ১:৫৮
নিলু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫  দুপুর ১:৩৫
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫  দুপুর ১:৩৫
বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: বসরের পর বসর সম্ভবত বছরের পর বছর হবে ।
ভালো লাগল তবে শিকার করা ভালো না ।