নেশার জগত ( পর্ব পাঁচ )

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

নেশা জাতীয় পণ্য কারা আমদানি বা উৎপাদন করছে । তা নিচ্চয় আমাদেরই একজন । তাহলে যারা আমাদের নেশাগ্রস্থ বানাতে চাচ্ছে তারা কি জানেনা বা বুঝে না যে এই নেশা তার পরিবারকেও পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলবে । আবার এই অবৈধ নেশা জাতীয় পণ্য দেশে বাজারজাত বা বেচা কেনা কিভাবে চলে । তাহলে প্রশাসনের কোনও এক স্তরের লোকজন জড়িত বলে মনে হয় । কোনও একদিন শুনেছিলাম যে কোনও কোনও থানায় নাকি মাস ওয়ারী নেশা বিক্রেতাদের টাকা দিতে হয় । তাহলে তারা নাকি বিক্রয়ের জন্য পাশ পেয়ে যায় । অন্যদিকে কিছু ঔষধ কোম্পানি ও কোল্ড ড্রিংক্স কোম্পানি নাকি নানা নামে নানা রোগের জন্য ঔষধ ও কোল্ড ড্রিংক্স প্রস্তুত করেছে । তাতে নাকি নেশার কাজই বেশী হয় । যা নাকি মানুষজন নেশার জন্য খেয়ে যাচ্ছে অবাধে । এই যদি অবস্থা হয় তাহলে নেশা বন্ধ হবে কি করে ? যাকগে কারা নেশায় বেশী আকৃষ্ট হয় বা হতে চায় ? আমার ধারনা অভাব বা হতাশার জন্য নেশাগ্রস্থ হওয়ার সঠিক কারন হতে পারে না । কেউ বলে অভাবে স্বভাব নষ্ট । অন্যদিকে অন্যজন বলে স্বভাবে বা চলার ভুলেও অভাব ধেয়ে আসে বা অভাবগ্রস্থ হয়ে পড়ে । কারন রাজার ভাণ্ডারও ফুরিয়ে যায় অপচয়ের বা অপথের খরচের কারনে । সমাজে বখে যাওয়া ছেলে / মেয়েরা এবং পরিবারের নিয়ন্ত্রণ বিহীন ছেলে / মেয়েরাই এই নেশার জগতে পদচারনাই বেশী । সুতারাং পরিবারের ভুলেই বা উদাসীনার কারনেই সমাজে নেশার হার বাড়ছে বলে মনে করি । আমি ছেলে / মেয়ে জন্ম দাতা অথচ আমি তাদের মানুষ হিসাবে গড়ে তূলতে দায়িত্ব পালন না করে উদাসীনতা দেখাবো । তাতো হতে পারেনা । আবার কোনটি নেশা জাতীয় পণ্য তাও বুঝতে পারিনা । যেমন মদ , চুয়ানি , স্প্রিট , গাঁজা , হিরোইন , ফেঞ্চিডিল , ইয়াবা , চরস , বিড়ি / সিগারেট , মাল , ইনজেকসন নেশা , তালের রস , তাড়ি সহ নানা নাম । চলমান ৬

০ টি +০/-০