![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভেবেছিলাম চেন্নাই যাওয়ার আগেই কলিকাতা এবং মুর্শিদাবাদ জেলা ঘুরে যাবো কিন্তু সে সিদ্ধান্ত বদলাতে হোলও । সুতারাং চেন্নাই থেকে ফিরে কলিকাতা ও মুর্শিদাবাদ ঘুরবো । কলিকাতা থেকে চেন্নাই সড়ক / রেল পথের দুরত্ত প্রায় ২৫০০ কিলোমিটার এবং রেল পথে যেতে ৩০ / ৩৫ ঘণ্টা একটানা রেল পথে ভ্রমন করতে হবে । যা অনেক খানি কষ্টদায়ক মনে হোলও । তাই বিমানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম । বিমানে দমদম বিমান বন্দর থেকে চেন্নাই যেতে সময় লাগবে ২ ঘণ্টা । জলঙ্গি থেকে কৃষ্ণনগর রেল স্টেশন উদ্দেশে ১১ ফেব্রু ১৬ তারিখে সকাল ৯ টায় মাইক্রো যোগে রওনা দিলাম । জলঙ্গি থেকে কলিকাতার দুরত্ত প্রায় ৩০০ কিলোমিটার । তাই আমরা সড়ক পথে যাবো কৃষ্ণনগর পজন্ত এবং কৃষ্ণনগর থেকে কলিকাতা যাবো রেল পথে । কৃষ্ণনগর ষ্টেশন পৌঁছে রেল গাড়ীতে উঠলাম । রেলটি কৃষ্ণনগর থেকে কলিকাতা ছাড়ে । খুব ভিড় । রেলটি লোকাল ট্রেন হিসাবে চলাচল করে কলিকাতার পথে । কিছুক্ষণ পর পর ছাড়ে ষ্টেশন থেকে । ট্রেন টি বিদ্যুৎ চালিত । লোকাল ট্রেন হলেও বেশ দ্রুতই চলে । পথে রাণাঘাট সহ নানা ষ্টেশন পার হয়ে দমদম চলছে । আজ রাত থাকবো দমদম বিমানবন্দর এলাকার এক হোটেলে । যেহেতু কাল সকালেই দমদম বিমান বন্দর থেকে বিমানে উঠতে হবে তাই কলিকাতা শহরে গেলাম না । দমদম থেকে কলিকাতার দুরত্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার । আমরা বিকালে দমদম রেল স্টেশনে নামলাম এবং দমদম ২ নম্বর রোডের একটি হোটেলে উঠলাম । সন্ধ্যার আগে দমদম এলাকা ঘুরে দেখলাম । পরের দিন সকাল ১১ ৫০ এ ফ্লাইট । যথারীতি আমরা ১২ ফেব্রু ১৬ বেলা ২ টার সময় চেন্নাই বিমান বন্দরে পৌঁছে গেলাম । এয়ার পোর্ট থেকে ট্যাক্সি নিয়ে চলে গেলাম এপোলো হাসপাতাল এলাকার একটি হোটেলে । হোটেলটি চেন্নাইয়ের গ্রিমস রোডে অবস্থিত । যা চেন্নাই বিমান বন্দর থেকে ১৮ / ২০ কিলোমিটার দুরত্তে অবস্থিত । ভারতের তামিল নাডু রাজ্যের সিটি শহরের নাম চেন্নাই । আগে মাদ্রাজ বলতো । এখানের মানুষগুলি হিন্দি এবং ইংরেজিতে কথা বলতে পারে । তবে স্থানীয়রা তামিল ভাষায় কথা বলে । যাকগে যে হোটেলে আমরা উঠলাম সেই এলাকাকে আবার বাঙালি পট্টীও বলে । সেখানে আসামের অনেক বাঙালি বাস করে । সন্ধ্যার আগে বের হলাম বাইরে । নুতন শহর অচেনা / অজানা । কিছু কিছু মানুষের সাথে কথা বলে শহর সম্পর্কে জেনে নেবার চেষ্টা করলাম । চলমান =৪
©somewhere in net ltd.