নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলু

i am a very hopeful man.. i lead a normal life like others. i like work..basically i want to live in my work

নিলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবনা - মুর্শিদাবাদ - কলিকাতা - চেন্নাই ভ্রমন ( পর্ব সাত )

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

সকালে পিনটু মামা সহ তার ছেলে / মেয়ে জিত ও ফিজা সহ রওনা দিলাম মাইক্রো করে মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ থানার নবাব সিরাজুদ্দউলার বাড়ী দেখতে । পথে দমকল থানা সহ নানা থানা এলাকা পার হয়ে বহরমপুর শহরে । সেখানে পদ্মা নদীর পাড়ে ব্রিজের কাছে গাড়ী থামালাম । পদ্মা নদীতে অনেক পানি বহমান । পরে আমি ও জিত গেলাম বহরমপুর শহরের খারগাহ বাজারে অটোতে । পরে ফিরে এসে আবার রওনা দিলাম নবাব বাড়ীর দিকে । পথে মতিঝিল নামক এক জায়গায় একটি পার্কে ঢুকলাম। তার একটি জায়গার নাম ছিলও ইচ্ছাগঞ্জ । নামটি সুন্দর লাগলো । ওখানে পিনটু মামা জিত ও ফিজা নৌকায় চড়লো । পরে ৩ টার দিকে নবাব বাড়ী এলাকায় গেলাম । ঘুরে ঘুরে দেখলাম বিশাল এলাকাটি । নানা নকশায় তৈরি স্থাপনাগুলি দেখলাম । ঐ সময় মনে হয়েছে যে এতো প্রাচীনকালে তারা কিভাবে এগুলি তৈরি করেছিলো কারন তখন তো অনেক কিছুরই অভাব ছিলও । ঘাটতি ছিলও নানা সুযোগ সুবিধার । তারপরও তারা নানা কায়দায় / নানা নকশায় তৈরি করেছিলো । এটা আসলেই ভাববার বিষয় । অন্যদিকে ঐসকল স্থাপনাগুলি এখনো সুন্দর রয়েছে । স্থাপনাগুলির ভিত এখনো শক্তিশালী । স্থানীয় লোকজন একে আবার হাজার দুয়ারী বলে । কারন হিসাবে জানা যায় । নবাব বাড়ীতে সকল স্থাপনার হাজারটি দরজা আছে তাই । পরে আবার শুরু করলাম যাত্রা বেলা ৪ টার দিকে আমরা ইসলামপুর থানা শহরের একটি হোটেলে খেলাম । তখন জিতের নানা আসলো । তিনি তাদের বাসায় যেতে বললেন । আমরা সময় অভাবে আর গেলাম না । সন্ধ্যার আগেই আমরা পিনটু মামার বাড়ী বিদুপুর পৌঁছে গেলাম । সন্ধ্যার আমি ও পিনটু মামা মটর সাইকেলে করে গেলাম জলঙ্গি বাজারে ঘুরতে । আমরা ২১ ফেব্রু ১৬ তারিখে দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম । ২০ তারিখে আমি ও পিনটু মামা মটর সাইকেলে করে আশে / পাশের গ্রামগুলি ঘুরে দেখলাম । পরে সন্ধ্যার পরে সেই বকুল মাস্টার সাহেবের বাসায় যাবো । উনি অবশ্য তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য পূর্বেই বলে রেখেছেন । সন্ধ্যার পরে গেলাম উনার বাসায় আমি , আব্বাস ও পিনটু মামা । উনার একটি ছেলে দুটি মেয়ে । ছেলেটির বয়স হবে ৭ /৮ বসর । ছেলেটি দূরের এক মাদ্রাসায় হাফেজিয়া পড়ে । উনি খুব ধর্ম ভীরু মানুষ । পরে উনার সাথে স্থানীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে কথা হোলও । তাতে জানা গেলো থানা পর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদবী হোলও বি ডি ও অর্থাৎ ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার । প্রতিটি থানা এলাকাকে একটি ব্লক বলে । তার প্রধান হলেন রাজনৈতিক দলের মধ্য থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি হলেন থানা সভাপতি । যাদের আমাদের দেশে বলে উপজেলা চেয়ারম্যান / উপজেলা নির্বাহী অফিসার । নিম্নস্তরে গ্রাম পঞ্চায়েত । তার হেডকে বলে প্রধান । আমদের দেশে বলে ইউনিয়ন পরিষদ এবং চেয়ারম্যান । পঞ্চায়েত সদস্যদের বলে মেম্বার । স্থানীয় উন্নয়ন ব্লক গুলির মাধ্যমেই হয়ে থাকে । যারা বি ডি ও তারা পচ্চিম বাংলার সিভিল সার্ভিসের লোক । প্রতিটি রাজ্যের আলাদা আলাদা সিভিল সার্ভিস আছে । আবার কেন্দ্রিয়ভাবে আই সি এস আছে । ভারতে মুসলমানরা ভালই আছে বলেই মনে হোলও । এবারের ভারত সফর ভালই লাগলো । কাল সকালে ফিরে যাবো নিজ দেশে । চলমান -৮

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.