পাবনা - মুর্শিদাবাদ - কলিকাতা - চেন্নাই ভ্রমন ( শেষ পর্ব )

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

ভারতের পচ্চিম বঙ্গের সরকার প্রতিটি বাড়িতে খাদ্য সহয়াতা দিচ্ছে খুব অল্প দরে । যেটা সাধারন মানুষের মধ্যে সুনাম বয়ে এনেছে বলে মনে হোল । আবার মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল ছাত্র / ছাত্রীদের মধ্যে নূতন বাইসাইকেল দিয়েছে। ছাত্র / ছাত্রীদের স্কুলে আসার জন্য পচ্ছিমবঙ্গ জুড়ে। আবার তৃনমূল কংগ্রেস সরকার পচ্ছিমবংগের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিথির উন্নয়নওঁ করেছে বলে জানা গেলো । তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ভালই দেশ চালাচ্ছে বলে মনে হোল । অন্যদিকে দলের সদস্যাদের প্রতি রয়েছে খুব সহানুভূতি । কখনো দলের সদস্য কোনও সমস্যায় পড়লে দলের সকল সদস্যই নিঃস্বার্থ ভাবে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে । অল্পদিনের মধ্যেই নির্বাচন হবে শুনলা । পচ্ছিমবংগের মানুষের মধ্যে দেখলাম খুব সাধারণ জীবন যাপন করতে অভ্যাসী এবং মৃতব্যয়ী । ২১ ২ ১৬ তারিখে সকাল ৭ টার দিকে গেদে বর্ডারের উদ্দেশে পিনটু মামার গাড়ীতে করে রওনা দিলাম । গাড়ীটি ড্রাইভ করছে পিনটু মামা । আমরা পথে করিমপুরে চা খেলাম । পরে শুরু করলাম যাত্রা । গেদে বর্ডারে পৌঁছে গেলাম বেলা ১১ টার দিকে । কাস্টম করে বর্ডার পার হওয়ার জন্য ভারত অঞ্চলের রাস্তা টুকু পার হওয়ার জন্য ভ্যানে । যা ভারতের নাগরিকরাই চালায় । ওখানে ভ্যান ছাড়া বিকল্প কোন যান নেই । পরে ভারত অঞ্চলের রাস্তা টুকু পার হলাম ভ্যানে চড়ে । পরের অংশটুকু পার হলাম বাংলাদেশের ভ্যানে । যে অংশটুকু খুবই কম । পায়ে হাঁটলে ২ মিনিট লাগতে পারে । সেখানে বিজিবি / কাস্টম চেক শেষ করে চা খেলাম বর্ডার প্রান্তে বসে । অনেক আগেই আগেই ড্রাইভার গাড়ী নিয়ে অপেক্ষা করছিলো বাংলাদেশ প্রান্তে । বেলা ১২ টার দিকে রওনা দিলাম বাড়ী উদ্দেশে । পরে চুয়াডাঙ্গা জেলা হয়ে কুষ্টিয়া জেলা ভেড়ামারা হয়ে লালন সাহ সেতু হয়ে পাকশী হার্ডিঞ্জ রেল সেতুর পাশ দিয়ে পৌঁছে গেলাম রূপপুর আনবিক শক্তি কমিশনের পার্শের ছি এন জি পাম্পে গ্যাস নেওয়ার জন্য । দেশের মাটিতে পা দিয়েই মনে হচ্ছিলো যেন আমি এখন স্বাধীন । আসলেই ভিন দেশে অবস্থান করা কালে কেন জানি সব সময়ই পরাধীন মনে হয় । বেলা ৩ টার দিকে বাড়ী পৌঁছে গেলাম । পরের বার যাবো ভারতের আসাম , শিলং , গোহাটি , শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি । এই পজন্তই এবারের ভারত সফরের কাহিনীর ইতি টানলাম ।

০ টি +০/-০