![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের মানুষজন বেশীর ভাগই মামলা / মোকদ্দমায় জড়িত হয়ে পড়ে নানাভাবে নানাসময়ে । আর এই কারনেই হয়ে যাচ্ছে মামলার জট । প্রবাদে আছে যে আদালত পাড়ায় যখন এসেই পড়েছি তাই মামলা একটি টুকেই যাই অপর পক্ষের বিরুদ্ধে । আদালত পাড়ায় মামলা মোকদ্দমা লিখে মউরিগণ । যারা বিজ্ঞ আইনজীবীর সহকারী হিসাবে কাজ করে । তারা মেঝেতে পাটি পেড়ে বসে আছে মামলা /মোকদ্দমা লিখার জন্য । আমরা বাদী যখন মামলা লিখতে বলি তখন মউরীগণ আমার ঘটনার সারমর্ম জেনে নিয়ে লিখতে শুরু করে । কিংবা মউরীদের বললে তারা সারমর্ম বানিয়ে দেয় কখনো কখনো কেউ কেউ । তারপর মউরী লিখতে লিখতে বলে আসামী কারা হবে । তখন আমি বাদী ভাবতে শুরু করি কাকে কাকে বা কাদের আসামী করা যায় । তখন ঐ মউরীর কাছে অন্য একজন বাদী মামলা লিখের জন্য চলে এসেছে । তাই সে দ্রুত আমাকে আসামীর নাম / ঠিকানা বলতে বলে । কারন তিনি অন্য একটি মামলার আরজি লিখবে । তার মক্কেল বসে আছে । আমি বাদী এরই মধ্যে ৩০ / ৩৫ জনকে আসামী করেছি । আরও ভাবছি কাদের নাম দেওয়া যায় । কিন্তু বিজ্ঞ মউরী আর অপেক্ষা করতে নারাজ । তাই বিজ্ঞ মউরী লিখে দিচ্ছে মামলার আরজির শেষে যে আরও অনেকে এবং আমাকে থানায় গিয়ে বিজ্ঞ তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বলে বা তদন্তের সময় বাদ বাকী নাম গুলি অন্তর্ভুক্তি করার জন্য বলবেন । মামলাটি লিখে নিকটস্থ থানায় জমা করলাম থানার মুন্সী সাহেবের কাছে । এবার পুলিশের সাব- ইন্সপেক্টর এর কাছে যাবে তদন্তের জন্য । তারপর মামলাটি এন্ট্রি হবে জি আর মামলা হিসাবে । তখন বিজ্ঞ তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত সাপেক্ষে বা সাক্ষীদের বক্তব্য অনুসারে বা তার বিশ্বাসের উপর মামলাটির চার্জশীট বা ফাইনাল রিপোর্ট হবে । কেউ কেউ আবার বিজ্ঞ আদালতেও ঐ মামলাটি দায়ের করেন । যাকে বলে সি আর মামলা । বিজ্ঞ আদালতের বিচারক এর সন্তুষ্টি হলে সরাসরি আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারী করতে পারেন কিংবা তদন্ত সাপেক্ষে মামলাটি গ্রহন করতে পারেন । এক্ষেত্রে মামলাটি হবে পিটিশন মামলা । চলমান ২
©somewhere in net ltd.