![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ সকালে ভাবলাম মটর সাইকেল নিয়ে পাবনা যাবো দাশুরিয়া হয়ে । সেই মোতাবেক মটর সাইকেল নিয়ে ১০ টার দিকে রওনা দিলাম । মটর সাইকেল চালাবে টুটুল আর পিছনে বসে যাবো । যাওয়ার সময় বাঁশেরবাদা ব্রীজ হয়ে গেলাম । কারন ব্রিজের কাছে লিচু বাগানটি দেখে যাবো । তারপর বাঁশেরবাদা হয়ে দশভাগা জোলা হয়ে খড়ের ডাইর হয়ে ভারইমারী হয়ে চুড়িওয়ালা সাঁকো হয়ে দাসুরিয়া যাবো । অনেকদিন ঐ এলাকাগুলি দিয়ে যাইনি । তাই দেখে যাবো গ্রামগুলি । আমি আবার সময় পেলে নানা সময়ে নানাদিক নানা পথে যাই কারন তাতে অনেকদিনের চেনা এলাকাগুলি দেখা যায় । আমরা যখন খড়ের ডাইর দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন টেপাগাড়ি খাল দেখে মনে হোলও ভরা গাঙের অবস্থা এখন মরা গাঙ । একসময় এই নদীতে নৌকা চলতো। এমনকি বর্ষা কালে নৌকা বাইচ হতো প্রতিবসর । মানুষজন চলতো নৌকায় । মাছ ছিলও প্রচুর । অথৈ জল ছিলও । ছিলোনা তড়া । ব্রিজের উপর থেকে ছেলেরা ঝাঁপ দিতো নদিতে আর গোসল করতো । আর এই সময় মাজা পানিতে দূর দূরান্তের গ্রাম থেকে লোকজন আসতো পলো নিয়ে মাছ ধরতে । মনে হতো নদিভরা পলো নিয়ে লোক আর লোক । আর ঝফ ঝফ ধ্বনি । মাছ মেরে কাঁধে করে নিয়ে যেতো । তখন অবশ্য আকাশে ঘন মেঘ লেগেছে । অনেকদিন পর খরার পর সকাল বেলার ঠাণ্ডা বাতাসের আমেজ আর মটর সাইকেল জার্নি ভালই লাগছিলো । পরে ভাঁড়ই মারী গ্রামে গিয়ে জনাব আবুল হোসেন শাহ্ সাহেবের বাড়ীর সামনে গিয়ে মনে হোলও তার অতীত জীবনের সৃতির কথা । তিনি একজন কৃষক হোলেও তিনি সবসময় সাধু ভাষায় কথা বলতেন । তিনি কৃষি কাজ করে ছেলে / মেয়েদের শিক্ষিত করেছিলেন এবং সুন্দর বাড়ী ঘর নির্মাণ করেছিলেন । তার বাড়ীতে সব ফল মুলের গাছ ছিলও । নৌকা থেকে নেমেই তার বাড়ীর সীমানা । নদীর পাড়ে সুন্দর মনোরম পরিবেশ । তার বড় ছেলে পাকিস্থানে লাহোরে লেখা পঢ়া করতো । ১৯৭১ ইং সনে পাকিস্থানেই নিখোঁজ হয়ে যান আর তাকে পাওয়া যায়নি । বড় ছেলেটি খুব স্মার্ট ছিলও । তিনার আর একটি ছেলে নাম তার আনিছ শাহ্ কিছুদিন আগে খুন হন । ছেলেটি খুব ভালো ছিলও । তার অকাল মিত্তু আমাদের ব্যাথিত করে । ছেলেটি এলাকার উন্নয়নে খুব আগ্রহ ছিলও । পরে আনন্দ বাজার হয়ে চুড়িওয়ালা সাঁকো হয়ে তেতুলতলা হয়ে দাসুরিয়া বাজারে গিয়ে একটা কাজ সেরে নিলাম এবং মোড়ে বসে চা খেলাম । ঐ মোড় থেকেই খুলনা , যশোর ,কুষ্টিয়া , সাতক্ষীরা , ফরিদপুর , চুয়াডাঙ্গা , মেহেরপুর , বাগেরহাট , বরিশাল এর দিকে বাস চলাচল করে । অন্যদিকে রাজশাহী , নওঁগা , বগুড়া , দিনাজপুর , গাইবান্ধা , জয়পুরহাট , নাটোর , ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় নীলফামারী , লাল্দমনিরহাট এর দিকেও বাস চলাচল করে থাকে । পরে পাবনার উদ্দেশে রওনা দিলাম । পথে পাবনা চিনিকল , কালিকাপুর , ভবানিপুর , আটমাইল , সাতমাইল , সীড গোডাউন , টেবুনিয়া , মজিদপুর , গাছপাড়া , নুরপুর হয়ে পাবনা শহরে পৌঁছে গেলাম বেলা ১২ টার দিকে । দাসুরিয়া থেকে পাবনা আসার পথে পাবনা চিনিকল ,টেবুনিয়া বীজ খামার ও এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখলাম । কারন ওইসব স্থানে এককালে পদচারনা ছিলও । কিন্তু অনেক দিন দেখা নেই তাই ঘুরে গেলাম ।
২| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৮
নিলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১০
হুকুম আলী বলেছেন: ভাল লাগল। আপনার ভ্রমণ। তবে দুঃখ পেলাম আবুল হোসেন শাহের কাহিনীতে।