![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল সকালে ১০ টার দিকে আমি অ টুটুল মটর সাইকেল নিয়ে রওনা দিলাম ঈশরদীর দিকে । মটর সাইকেল চালাচ্ছে টুটুল । আগে খুব মটর সাইকেল চালাতাম কিন্তু এখন আর চালাতে ভালো লাগে না । তাই চালকের পিছনের ছিটেই বসে বসে চলি । ঈশরদী যাবো ভিন্ন ভিন্ন পথে । কারন আগে যেসব পথ দিয়ে যেতাম । সেই সব পথে অনেক দিন আর যাওয়া হয় না । যে পথগুলি ছিলও খুব চেনা এবং পথের মানুষগুলির সাথে ছিলও খুব সম্পর্ক । তাই ভাবলাম পুরাতন পথগুলি দেখে যাবো এবং পথের পুরাতন মানুষজনের সাথে দেখা করে যাবো ( যদি দেখা হয় ) । বাসেরবাদা , আওতাপারা , ছলিম্পুর , কাঁঠাল বাড়ী , জগন্নাতপর , মানিকনগর , জয়নগর , নুতনহাট , রুপপুর আনবিকের উন্নয়ন এলাকা হয়ে পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের তলা দিয়ে মরা পদ্মা নদী দেখে পাকশী ডিভিসনাল রেল অফিস , পাকশী রিসোর্ট , নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল , ঈশরদী ই পি জেড তালতলা পাইলট লাইন দিয়ে ঈশরদী পৌঁছে যাবো । পথের যে সকল এলাকা গুলি দেখলাম তাতে অনেক পরিবর্তন দেখা গেলো যেমন পথে ছোট ছোট বাজার হয়েছে । তার নুতন নুতন নাম রাখা হয়েছে যেমন তিন মাদার তলা , বিশ্বও রোড মোড় , তিন মাথা সহ অন্যান্য নাম । অনেক মানুষের সাথেই দেখা হলনা । তবে রাস্তার আশে পাঁশে হয়েছে অনেক লিচু বাগান । লিচু এখনো পাকে নি বা তার গায়ে কোনও রঙ হয়নি । রং হলে হয়তো আমরা লিচুর পাকা রঙের সাথে মিশে যেতাম । কারন রাস্তার উপরই লিচুর ডালগুলি ঝুলছে লিচু সহ । নুতনহাটের মোড়ে এসে দেখলাম অনেক পরিবর্তন । আণবিক শক্তি কমিশনের আবাসিক এলাকার কাজ চলছে নুতন করে । যা কিছুদিন আগেও পরিতাক্ত হিসাবে পড়ে ছিলও । এরপরেই দেখলাম এককালের রেলওয়ে বোর্ডের চীফ ইঞ্জিনিয়ার জনাব গফুর সাহেবের সুব্দর নক্সার বাড়ি টি দেখলাম । যা একসময় ছিলও সুন্দর তা আর এখন বহন করছে না তার সৌন্দর্য । চলে গেলাম রুপপুর মোড়ে । ওখানে বসে চা খেলাম এবং অনেক চেনা লোকজনের সাথে দেখা হোলও কথা হোলও । পরে রুপপুর আনবিক শক্তি কমিশনের উন্নয়ন এলাকা দেখে লালন শাহ্ এর সেতুর পাঁশ দিয়ে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের তলায় গেলাম । দেখলাম পদ্মা নদীতে পানি নেই । আছে ঐ পাঁড়ের অর্থাৎ ভেড়ামারার দিকের ২/ ৩ গার্ডারের নিচে কিছু পানি আছে । পরে শুনলাম এই ব্রিজের নীচে ছুটির দিনে প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় হয় । ঢাকার আশুলিয়ার চেয়েও বেশী । পরে রেল অফিস এ যাওয়ার পথে দেখলাম , সুন্দর সুন্দর বাংলো বাড়ী যা পদ্মা নদীর পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে । এগুলি তৈরি হয়েছিলো লালন শাহ্ দেতু তৈরির সময় আবাসিক এলাকা হিসাবে । পথে দেখলাম আগের বড় বড় গাছ কমে গেছে যা ব্রিটিশ আমলে লাগানো হয়েছিলো । আগের মতো সৌন্দর্যও নেই । আগে এই এলাকা ছিলও খুব মনোরম পরিবেশ । পাকশী রেল বাজার হয়ে পাকশী রিসোর্টের পাঁশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখা হোলও তার মালিকের ছোট ভাই আরজুর সাথে । সে আমাদের নিয়ে গেলো ভিতরে । ভিতরটা ভালই সুন্দর হয়েছে । ভিতরে গেস্ট হাউস ও আছে সুন্দর । আছে পিকনিক স্পট , আছে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দেখার মতো / আনন্দ উপভোগ করার আকর্ষণীয় অবকাঠাম । দূর / দুরান্ত থেকে প্রতিদিনই অনেকেই আসছে পিকনিক করতে বা দর্শন করতে । ওখানে বসে চা খেলাম আবার । তারপর নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল গেঁটে গিয়ে দেখলাম পরিতাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে । পরে ই পি জেড হয়ে তালতলা পাইলট লাইন দিয়ে যাওয়ার সময় মনে হোলও এই লাইনের পাইলট চলতো । চঢ়েছি অনেক বার । যা চলতো পাকশী থেকে ঈশরদী প্রজন্ত বিনা ভাড়ায় প্রতিদিন । এই ট্রেন টির নাম ছিলও পাইলট রেল । অনেক দিন আগেই বন্ধ হয়ে গেছে এই পথের ঐ রেল । তাই রেল লাইন টি এখন পরিতাক্ত । তার পাঁশ দিয়েই চলে গেলাম ঈশরদী ।একসময় আমার এইসব এলাকায় পদচারনা ছিলও অনেক । , যার সৃতি এখনো ভুলা যায় না ।
©somewhere in net ltd.