বিড়ি / সিগারেট / হুঁকা ও ধূমপান

০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

দেশে বা বিশ্ব ব্যাপী কতো সংখ্যক মানুষ ধূমপান করে জানিনা । অন্যদিকে মানুষ নানা নেশায় অভভাস্থ । যেমন , সিগারেট , চুরুট , মদপান , চরস , ফেন্সিডিল , হিরোইন , গাঁজা , স্প্রিট , ইয়াবা , চুয়ানী , তামাক , আলাপাতা , জর্দা , আলাপাতা সহ নানা নামের । সব নেশাই বোধ হয় মানব দেহে ক্ষতিকর । তারপরও মানুষ কেনও খায় বা করে । জানিনা এব্যাপারে কোনও তথ্য বা গবেষণা করা হয়েছে কিনা ? আমি যতদুর জানি একজন মানুষ নেশা করে কখনো হতাশা / দুক্ষ / বেদনা থেকে মুক্ত থাকার জন্য , সখ করে , বন্ধুর পাল্টানে পড়ে , দেখাদেখি করে , সেক্স বাড়ে বলে গুঁজবে , কিংবা বেশ মজা লাগে বলে অভভাস্থ হয়ে পড়ে । কিন্তু কেনও আমরা তো জানি যে কোনও নেশাই মানব দেহে ক্ষতিকর । আমি আজকে আলোচনা করবো সিগারেট ও ধূমপান নিয়ে । সিগারেটের নানা নাম দেশী / বিদেশী সিগারেটের । যেমন নেভী , সুরমা , বক , ব্রিসটল , সিজার , গোল্ডলীফ , বেন্সন হেজেজ , ডার্বি , তিস্তা , স্টার , কেটু , সুপার , মেরিছ সহ নানা নাম । রয়েছে নানা রঙের প্যাকেট । ধূমপান মেয়ে / ছেলেরা উভয়ই করে থাকে বলে জানা যায় । সিগারেটের গায়ের উপর ধূমপান শরীরের জন্য ক্ষতিকর বিষপান লিখা থাকে কিন্তু আমি দেখেছি যারা ধূমপান করে তারা ঐ সংবিধিবদ্ধ প্রতীক চিহ্ন দেখেই না বা তাদের চোখেই পড়ে না । তাহলে সতর্কীকরণ করে লাভ হোলও কি ? তাই সিগারেট কোম্পানিগুলি কি এতেই দায় মুক্ত ? সিগারেট শুধু নিজেরই ক্ষতি করেনা । ক্ষতি করে পরিবারের সদস্যদের । সেই সাথে অনেক সময় সিগারেটের / বিড়ির আগুনে নিজের / পরের সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে যায় । আবার কম দামী / বেশী দামী সিগারেটের মধ্যে তফাৎ কি ? যদি কম / বেশী দামী সিগারেট দেহের জন্য কম / বেশী ক্ষতি হয় । আদিকালে মানুষজন হুঁকা খেয়ে নেশা করতো বলে জানা তা নাকি স্বাস্থ্য সম্মত ছিলও কারন হুঁকার ধোঁয়া হুঁকার পানির মধ্যে দিয়ে দেহের ভিতরে যেতো । তাই তা নাকি স্বাস্থ্য সম্মত ছিলও । কিন্তু আমরা আধুনিকতার আদলে বানিয়ে ফেলেছি বেন্সন হেজেজ সহ নানা নামের দামী সিগারেট । তারপরও হচ্ছে না স্বাস্থ্য সম্মত ধূমপান । তাহলে এর প্রচার কেনও করা হয় না । আবার দেখা যায় পাতার / কাগজের বিড়ি এবং ফিল্টার / নন ফিল্টার সিগারেট । আমার কথা যা বিষপানের শামিল , তা উৎপাদন কেনও হয় বা আমদানী / রপ্তানী হয় বিশ্বব্যাপী ? আবার যদি বলা হয় সিগারেট / বিড়ি প্রস্তুত কারখানাগুলিতে অনেক মানুষের কর্ম জড়িত তাহলে তাদেরও শরীরের ক্ষতি হচ্ছে বা ঝুঁকি থাকে । তাহলে তাদের কেনও ঝুঁকি ভাতা দেওয়া হয় না ? কিন্তু রাষ্ট্রের অনেককে যারা টেবিল / চেয়ারে বসে কাজ করে তাদের ঝুঁকি ভাতা দেওয়া হয় । অন্যদিকে সিগারেট কোম্পানিগুলি দিনের পর দিন সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করেই যাচ্ছে বিনা ঘোষণায় যখন / তখন । কেউ যদি বলে সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি পেলে মানুষজন ধূমপান ছেড়ে দিবে । আমি মনে করি এটা ভুল ধারণা । কারন সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধির কারনে দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে কি ? বরং মানুষজন আত্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দিন দিন । বরং সিগারেট কোম্পানিগুলির লাভ দিন দিন বাড়ছে । এমনকি শিশুরাও দিন দিন ধূমপানের দিকে ঝুঁকে পড়ছে ।এই অবস্থায় অনেকে বলে সরকারের ট্যাক্স আয়ের জন্য সিগারেট বা ধুপান জাতীয়ও পণ্য উৎপাদন করার সুযোগ দেয় । তাহলে বিশ্বব্যাপী সব সরকারিই কি সুস্থ মানব দেহের চেয়ে সরকারের আয়কেই বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে কি ? এই যদি সরকারের নীতি হয় তাহলে অনেক অবৈধ কাজের পথের সুযোগ দিলে সরকারের অনেক আয় হতে পারে বলে মনে করি ।

১ টি +১/-০