![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওই পাত্রে সুরা ঢেলে দাও খানিকটা
আপাতত খানিকটা।
ভৃত্যদের আদেশ করো সিংহাসন সাজাতে
আজ দরবার বসবে শুধু তোমায়-আমায়।
মূলতবি থাকবে সকল রাজকার্য
আনোন্দৎসবের পয়গাম পাঠাও সকল প্রজায়।
আমি আজ 'ফিরদৌস' ঈত্বর গা'য়ে মেখে
মাতিয়ে দেবো এই ধরা সুগন্ধি বায়ে
ভরিয়ে দেবো- পূর্ণতার পরম আশ্লেষে।
স্নান শেষে তুমি সামনে এসে দাঁড়ালে
যতনে গড়া বেল-যুথিকা'র মালা-
জড়াবো তোমার ঘন-ঘোর কৃষ্ণ লহরে।
চাঁদ'টাকে একপাশে রেখে
পাশে বসো তুমি ফরাস'টা বিছিয়ে।
দ্রাক্ষা-পূর্ণ রেকাবী'টা সামনে থাকুক
কোমল এবং শুদ্ধ নিষাদ-এ গাওয়া ঠুমরী
গ্রামোফোন'টায় যখন ছড়াবে রঙ
আমি আরো এক পাত্র নেবো তখন।
আকন্ঠ পানে আমি আজ মাতাল হবো
তুমি বাঁধা দিও না- দোহাই প্রিয়া!
তুমি খুলে দিও কাশ্মীরে'র গোপন প্রান্তর
আমি তুষার শুভ্র পাহাড় চড়বো
ছুঁয়ে দেব কৃষ্ণ-মেঘ; আলতো করে বারে-বার।
পাহাড় পেরিয়ে আমি নদী'তে যাবো-
নদী পেরিয়ে সাগর।
ডুববো- ভাসবো; ভাসবো- ডুববো
আগুন জ্বালবো আগুন- তুমি ভয় পেওনা
ওই দেখো জোনাকি'র দল
দ্যাখো বেড়া ডিঙ্গোচ্ছে ঘোড়া-
একটি- দুইটি- তিনটি।
অনুপ্রবেশকারী দখল নিয়েছে একে-একে
প্রান্তরের পর প্রান্তর
শুভ্র পাহাড়
জঙ্গলে ভরা মাঠ
গিরি-খাত
নদী-সাগর
ঘাঁটি গেড়ে বিষ্ফোরণ ঘটাচ্ছে
আনবিক বোমা'র
একের পর এক।
দ্যাখো ভোর হচ্ছে-
এবার তবে ভৈরবী বাঁজুক
'বাবুল মোরা নৈহর ছুটহি যায়' আহা!
তির-তির করে কাঁপছে জড়ি-মোড়া জরায়ু
আমি টের পাই।
আহ্-হ! অস্ফুটে শব্দ ফোটে
তোমার-আমার যুগল ওষ্ঠে
বেঁকে যাওয়া ধনুক ছটফট করে তৃষ্ণায়!
ঠিক এই মূহুর্তে-
আরেক পাত্র সুরা দেবে আমায়?
হাঁটু জল- কোমড় জল- ডুবে যাচ্ছি
আমি- তুমি- আমরা
উত্তাল ঢেউয়ে ফুঁসছে সাগর
ওই তো- ওই তো তীর
চলো এবার নৌকো ভেড়াই।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২
প্রলয় নীল বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন। ভাল থাকুন।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনবদ্য +++
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০২
প্রলয় নীল বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫
সুলতানা রহমান বলেছেন: অদ্ভুত!
তবে ভাল।