![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হু - সম্পূর্ন রাজনীতি মুক্ত একটি ব্লগ। এখানে বাংলা সহ বিশ্ব সাহিত্যের মজার কিছু ছোট গল্প প্রকাশ করা হবে। এই গল্প গুলো প্রকাশের ক্ষেত্রে আমার নিজস্ব কোন সৃজনশীলতা নেই যেটি আছে সেটি হলো পরিশ্রম। এছাড়া মাঝে মাঝে নিজের লেখা দু একটি ছোট গল্প পেতে পারেন, তবে সেই গল্পের মান নিয়ে আমি নিজেই সন্দিহান। এই ব্লগটির বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রত্নতত্ত্ব, সমাজ, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে আগ্রহী।
১২
নাসীরুদ্দীন লেখাপড়া বেশি জানে না ঠিকই, কিন্তু তার গাঁয়ের এমন অনেক লোক আছে যাদের বিদ্যে তার চেয়েও অনেক কম। তাদেরই একজন নাসীরুদ্দীনকে দিয়ে নিজের ভাইকে একটা চিঠি লেখাল। লেখা শেষ হলে পরে সে বললে. ‘মোল্লাসাহেব কী লিখলেন এক বার পড়ে দেন, যদি কিছু বাদটাদ গিয়ে থাকে’।
নাসীরুদ্দীন ‘প্রিয় ভাই আমার’ পর্যন্ত পড়ে ঠেকে গিয়ে বলল, ‘পরের কথাটা ‘বাক্স’ না ‘গরম’ না ‘ছাগল’ সেটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না’।
‘সেকি মোল্লাসাহেব, অপনার লেখা চিঠি আপনিই পড়তে পারেন না ত অপরে পড়বে কি করে?’
‘সেটা আমি কি জানি?’ বলল নাসীরুদ্দীন। ‘আমায় লিখতে বললে আমি লিখলাম। পড়াটাও কি আমার কাজ নাকি?’
লোকটা কিছুক্ষণ ভেবে মাথা নেড়ে বলল. ‘তা ঠিকই বললেন বটে। আর এ চিঠি ত আপনাকে লেখা নয়. কাজেই আপনি না পরলে আর ক্ষতি কী?’
‘হক কথা’ বলল নাসীরুদ্দীন।
১৩
একদিন রাত্রে দুজনের পায়ের শব্দ পেয়ে নাসীরুদ্দীন ভয়ে একটা আলমারিতে ঢুকে লুকিয়ে রইল।
লোকদুটো ছিল চোর। তারা বাক্সপ্যাটরা সবই খুলছে, সেই সথে আলমারিটাও খুলে দেখে তাতে মোল্লাসাহেব ঘাপটি মেরে আছেন।
‘কি হল মোল্লাসাহেব লুকিয়ে কেন?’
‘লজ্জায় বললে নাসীরুদ্দীন। ‘আমার বাড়িতে তোমাদের নেবার মতো কিছুই নেই তাই লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না ভাই’।
১৪
নাসীরুদ্দীন রাস্তা দিয়ে হাঁটছে, পাশে ফুলে ফলে ভরা বাগিচা দেখে তার মধ্যে গিয়ে ঢুকল। প্রকৃতির শোভাও উপভোগ করা হবে, শর্টকাটও হবে।
কিছুদুর যেতে না যেতেই নাসীরুদ্দীন এক গর্তের মধ্যে পড়ল, আর পড়তেই তার মনে এক চিন্তার উদয় হল।
‘ভাগ্যে পথে পথ ছেড়ে বনে ঢুকেছিলাম’, ভাবল নাসীরুদ্দীন ‘এই মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশেই যদি এমন বিপদ লুকিয়ে থাকে, তাহলে না জানি ধুলো কাদায় ভরা রাস্তার কত নাজেহাল হতে হতো’।
১৫
রাজা মশাই একদিন নাসীরুদ্দীনকে ডেকে বললেন, ‘বনে গিয়ে ভাল্লুক মেরে আনো’।
নাসীরুদ্দীন রাজার আদেশ অমান্য করে কী করে?
অগত্যা তাকে যেতেই হল।অ
বন থেকে ফেরার পর একজন তাকে জিগ্যেস করল, ‘কেমন হল শিখার মোল্লাসাহেব?’
‘চমৎকার’ বললেন মোল্লাসাহেব
‘কপা ভাল্লুক মারলেন?’
‘একটিও না’
‘বটে? কটাকে ধাওয়া করলেন?’
‘একটিও না’।
‘সে কি ! কটা দেখলেন?’
‘একটিও না’।
‘তাহলে চমৎকার হল কি করে?’
‘ভাল্লুক শিকার করতে গিয়ে সে জানোয়ারের দেখা না পাওয়ার চেয়ে চমৎকার আর কী হতে পারে?’
১৬
এক চাষা নাসীরুদ্দীনের কাছে এসে বলল, ‘বাড়িতে চিঠি দিতে হবে মোল্লাসাহেব। মেহের বানি করে আপনি যদি লিখে দেন’।
নাসীরুদ্দীন মাথা নাড়লে। ‘সে হবে না’
‘কেন মোল্লা সাহেব?’
‘আমার পায়ে জখম’।
‘তাতে কী হল মোল্লা সাহেব?’ চাষা অবাক হয়ে বলল ‘পায়ের সঙ্গে চিঠির কী সম্পর্ক?’
নাসীরুদ্দীন বলল. ‘আমার হাতের লেখা কেউ পড়তে পরে না। তাই চিঠির সেঙ্গে আমাকেও যেতে হবে সে চিঠি পড়ে দিতে। জখম পায়ে সেটা হবে কি করে শুনি?’
১৭
এক বেকুবের শখ হয়েছে সে পন্ডিত হবে। সে মনে মনে ভাবল মোল্লার ত নামডাক আছে পন্ডিত হিসেবে তার কাছেই যাওয়া যাক, যদি কিছু শেখা যায়।
অনেক খানি পথ পাহাড় ভেঙে উঠে সে খুঁজে পেল নাসীরুদ্দীনের বাসস্থান। ঢোকবার আগে জানালা দিয়ে দেখল মোল্লাসাহেব ঘরের এক কোণ ধুনুচির সামনে বসে নিজের দু হাতের তেলো মুখের সামনে ধরে তাতে ফু দিচ্ছে।
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
হু বলেছেন: হু.....
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮
এম আর ইকবাল বলেছেন:
চলতে থাকুক ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২
হু বলেছেন: আশা করি চালাতে সক্ষম হব। অপনারা যদি সাথে থাকেন........
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
নাম বলবো না বলেছেন: হু মজা হয়েছে।