নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হু

হু

হু - সম্পূর্ন রাজনীতি মুক্ত একটি ব্লগ। এখানে বাংলা সহ বিশ্ব সাহিত্যের মজার কিছু ছোট গল্প প্রকাশ করা হবে। এই গল্প গুলো প্রকাশের ক্ষেত্রে আমার নিজস্ব কোন সৃজনশীলতা নেই যেটি আছে সেটি হলো পরিশ্রম। এছাড়া মাঝে মাঝে নিজের লেখা দু একটি ছোট গল্প পেতে পারেন, তবে সেই গল্পের মান নিয়ে আমি নিজেই সন্দিহান। এই ব্লগটির বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রত্নতত্ত্ব, সমাজ, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে আগ্রহী।

হু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডেভিড নালীন: মুক্তিযোদ্ধের বিদেশীবন্ধু নাকি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন চোরাকারবারী।

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

অতি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সরকার ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধে সহায্য করার জন্য কয়েক জন বিদেশী নাগরিককে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। ডেভিড নালীন ঠিক তেমনই একজন সম্মাননা প্রাপ্ত বিদেশী নাগরিক





ডেভিড নালীন।





ডেভিড নালীন কে আমি সাংস্কৃতিক সম্পদ চোরাকারবারি হিসেবেই জানি। মুক্তি যোদ্ধে তার অবদান সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানি না। যদি কারো জানা থাকে তবে আমাকে তার অবদান সম্পর্কে জানিয়ে সাহায্য করবেন।



ডেভিড নালীন একজন চিকিৎসক ও গবেষক। তিনি ১৯৭১ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে ICDDRB এর পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মোট দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন, প্রথম বার- ১৯৬৭-১৭৭০ এবং ১৯৭২-১৯৭৭ সাল পর্যন্ত। মাঝখানে শুধু ১৯৭১ সালে তিনি দায়িত্ব পালন করেন নি। এই সময় তিনি বাংলাদেশে ছিলেন না।



ডেভিড নালীণ একক ভাবে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সম্পদ চুরি করে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে প্রথম স্থান অধীকারী। ধারণা করার হয় তিনি ২০০ এর বেশি মূর্তি ও অন্যান্য নিদর্শন নিজের সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যান।



রোবিন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত ডেভিড নালীনের চুরি করা প্রত্ন নিদর্শণ।





ব্রুকলিন মিউজিয়ামের একটি মূর্তি যেটি ডেভিড নালীন চুরি করেন বাংলাদেশ থেকে।





ডেভিড নালীনের চৌর্যবৃত্তি সম্পর্কে প্রথম সংবাদ প্রকাশিত হয় ১৮ নভ, ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বিচিত্রা ম্যাগাজিনে। ডা নালীন তার সাংস্কৃতিক সম্পদ প্রদর্শন, সংরক্ষণ ও শিক্ষার কাজে ব্যবহারের জন্য Fogg art museum of Harvard University কতৃপক্ষকে প্রদান করেন। এই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ড. পারভীন হাসান তার পিএচডি এর কাজে এখানে অবস্থান করছিলেন। এই প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত নিদর্শন সমূহের গায়ে যে সকল ট্যাগ লাগানো ছিল তাতে উৎস বা প্রাপ্তি স্থান হিসেবে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ ছিল। এই প্রদর্শনীতে একটি ‘বিষ্ণু” মূর্তি প্রদর্শিত হয় । এই ‘বিষ্ণু’ মূর্তিটি সংগ্রহ করেছিলেন ড. নলীনীকান্ত ভট্টশালী এবং এই মূর্তিটির বর্ণানা করেছেন তার Iconography of Buddhist and Brahmanical Sculpture in Decea Museum বই এ।





















সাপ্তাহিক বিচিত্রা ম্যাগাজিনের কয়েকটি স্ক্রীন শর্ট।



ড, পারভীন হাসান পরবর্তী সময়ে তৎকালীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পরিচালক ড, নাজিমুদ্দিন কে জানালে তিনি এই মূর্তিগুলো ফিরিয়ে আনার উদ্দ্যেগ নেয়। এই জন্য তিনি হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এইশিয়া শিল্পকলা বিভাগের প্রধানকে চিঠি লিখেন। এর ফলে ডা নালীন তার নিদর্শন গুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করে নেন।

১৯৮৫ সালে ডেভিড নালীন তার সংগ্রহে থাকা নিদর্শনগুলোর একটি ক্যাটালগ প্রকাশ করেন। এই ক্যাটালগেও বিষ্ণু মূর্তির ছবি ও বর্ণনা ছিল।





ডেভিড নালীন তার সংগ্রহে থাকা নিদর্শণ গুলো পরবর্তী কালে বিভিন্ন জাদুঘরে বিক্রয় করে দেন। এই নিদর্শনগুলোর কিছু অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় জাদুঘরে কিছুদিন প্রদর্শিত হতে দেখা যায়। তবে বর্তমানে এই নিদর্শন গুলো কোথায় আছে সে সম্পর্কে জানা যায় না।





মন্তব্য: একটি দেশের যুদ্ধের সময় ঐ দেশের সাংস্কৃতিক সম্পদ চুরি করে নিয়ে যাওয়া কোন ধরনের বন্ধুত্বের পরিচয়? খুব প্রশ্ন জাগে সত্যিই কি ডেভিড নালীন বন্ধু ছিলেন নাকি বন্ধুর ছদ্ধবেশী চোর?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাল পোস্ট।এ
সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে চাই।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

আশীষ কুমার বলেছেন: সব জায়গায় ঘাপলা। কে বন্ধু কে শত্রু তা চিনতেই বাঙালীর এত বছর গেলো....। ভালো পোস্ট। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.